বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) যৌথভাবে মানব পাচারকারী চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করেছে। পাশাপাশি পাচারকারীদের হাতে বন্দি ৮৪ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের দাবী করা হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে যৌথ বাহিনী জানিয়েছে, রোববার টেকনাফের দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে অভিযান শুরু হয়। গোয়েন্দা তথ্য এবং ভুক্তভোগীদের বর্ণনার ভিত্তিতে প্রথমে বাহারছড়া কচ্ছপিয়া এলাকা থেকে চারজন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়। এরপর রাজাছড়া পাহাড়ের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আরও ৩৭ জন উদ্ধার করা হয়। দমদমিয়া বিওপি এলাকা থেকে চারজনকে উদ্ধার করে মোট ৮৪ জনকে পাচারকারীদের হাত থেকে মুক্ত করা হয়।
র্যাব ও বিজিবি আরো জানায়, অভিযানের সময় পাচারকারীরা যৌথ বাহিনীর ওপর গুলি চালায়। কিন্তু বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা প্রাণ ঝুঁকিতে ফেলে কৌশলে অভিযান চালিয়ে ২ জন পাচারকারীকে আটক করে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি বিদেশী পিস্তল, একটি একনলা বন্দুক, একটি ওয়ান শুটার গান, দুইটি দেশী রামদা ও একটি চাকু।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে আব্দুল্লাহ (২১), সাইফুল ইসলাম (২০) ও মো. ইব্রাহিম (২০)। তাদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় মামলা হয়েছে।
২ বিজিবি ও র্যাবের এই যৌথ অভিযান দেশের নিরাপত্তা ও মানব পাচার বিরোধী জিরো টলারেন্স নীতির প্রমাণ স্বরূপ জানিয়ে যৌথ বাহিনী বলছে, দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং মানব পাচারকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।