ঢাকা ১১:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই হ’ত্যা’কা’ণ্ড ইতিহাসের কলঙ্ক, শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন : খালেদা জিয়া” সিসিএন ও সিজেএন এর জয় হাসনাত-সারজিসকে ১০০ বার ফোন দিলেও রিসিভ করে না: শহীদ আবদুল্লাহর মায়ের অভিযোগ ভোটের তারিখ বা সম্ভাব্য সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়নি: সিইসি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় একই পরিবারের ১৩ জনসহ ৪৬ জনের মৃত্যু জুলাইকে সবার গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করুন : প্রধান উপদেষ্টা তারেক জিয়া দেশে ফিরছেন ২৮ জুলাই! কচ্ছপিয়ায় বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ইয়াবা বিক্রি: ইয়াবা’সহ ধৃত ভুট্টো সালাহউদ্দিন আহমদের জন্মদিনে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের নানা আয়োজন কক্সবাজার সরকারি কলেজ একাউন্টিং ক্লাবের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানকে ফুলেল শুভেচ্ছা আগামী ২০ জুলাই থেকে শহীদ দৌলত ময়দানে হবে বৃক্ষ মেলা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নুরুল আবছারের পরিবারকে কোস্ট ফাউন্ডেশনের ১ লক্ষ টাকা অনুদান গর্জনিয়ার বড়বিল থেকে পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার : পৃথক ঘটনায় দুজন আটক উখিয়ার গফুর চেয়ারম্যানের দুই দিনের ‘রিমান্ড’ মঞ্জুর

পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পৌঁছালো ঢাবি স্কাউট গ্রুপের ৪ শিক্ষার্থী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের ৪ জনের একটি টীম ১৫০ কিমি পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের পৌঁছেছে। “প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড” অর্জনের লক্ষ্যে ৫ দিনে পায়ে হেঁটে পরিভ্রমণ করে তারা। রোভারিংয়ের সর্বোচ্চ সম্মান এই অ্যাওয়ার্ড অর্জনের একটি ধাপ হলো “পরিভ্রমণকারী ব্যাজ”। এটি অর্জনের জন্য রোভারদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পায়ে হেঁটে ১৫০ কিমি, বা সাইকেলযোগে ৫০০ কিমি, অথবা নৌকাযোগে ২৫০ কিমি ভ্রমণ করতে হয়।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট দলের চার সদস্য আহসান উল্লাহ (টীম লিডার), সারতাজ সাহাদৎ, জয়নাল আবেদীন, এবং শাহজাহান সম্রাট কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এর মাধ্যমে পরিভ্রমণ শেষ করেন।

১৩ ডিসেম্বর পরিভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমদিন চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ৩৪ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে সরকারি গাছবাড়িয়া কলেজে পৌঁছেন তারা। দ্বিতীয় দিন সরকারি গাছবাড়িয়া কলেজ, চন্দনাইশ থেকে ২৮ কিলোমিটার অতিক্রম করে লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদে পৌঁছে, তৃতীয় দিন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ থেকে ৩১ কিলোমিটার হেঁটে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ এবং চতুর্থ দিন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ থেকে ২৮ কিলোমিটার ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদে পৌঁছেন তারা। সর্বশেষ পঞ্চম দিন ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদ থেকে ৩০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে চূড়ান্ত গন্তব্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছে। প্রথিমধ্যে তারা সরকারি দফতরগুলোতে দফতর প্রধানদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং জনসচেতনতায় সমসাময়িক ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করেন।

টিম লিডার আহসান উল্লাহ বলেন, স্কাউটিংয়ের সবচেয়ে অ্যাডভেঞ্চারাস ও এক্সাসাইটিং অংশ এই পরিভ্রমণ। আমরা সাধারণত, পাহাড়ি এলাকা, ঐতিহাসিক স্থান, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর এলাকাকেই বেছে নিই। পরিভ্রমণের মাধ্যমে আমরা তাঁদের জীবনাচার সম্পর্কে ধারণা অর্জন করি। এবার আমি আমার জন্মভূমি মাটি ও মানুষের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জীবনাচার সম্পর্কে জানতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রোডটি বেঁছে নিয়েছি। এর মাধ্যমের আমরা আমাদের অভিষ্ট্য লক্ষ্য রোভারিংয়ের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে আমরা মাটি ও মানুষের গর্বিত করতে পারবো বলে আশাকরি।

উল্লেখ্য আহসান উল্লাহ কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং জয়নাল আবেদীন টেকনাফ উপজেলার কৃতি সন্তান।

ট্যাগ :

জুলাই হ’ত্যা’কা’ণ্ড ইতিহাসের কলঙ্ক, শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন : খালেদা জিয়া”

This will close in 6 seconds

পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পৌঁছালো ঢাবি স্কাউট গ্রুপের ৪ শিক্ষার্থী

আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোভার স্কাউট গ্রুপের ৪ জনের একটি টীম ১৫০ কিমি পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের পৌঁছেছে। “প্রেসিডেন্ট’স রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড” অর্জনের লক্ষ্যে ৫ দিনে পায়ে হেঁটে পরিভ্রমণ করে তারা। রোভারিংয়ের সর্বোচ্চ সম্মান এই অ্যাওয়ার্ড অর্জনের একটি ধাপ হলো “পরিভ্রমণকারী ব্যাজ”। এটি অর্জনের জন্য রোভারদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পায়ে হেঁটে ১৫০ কিমি, বা সাইকেলযোগে ৫০০ কিমি, অথবা নৌকাযোগে ২৫০ কিমি ভ্রমণ করতে হয়।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোভার স্কাউট দলের চার সদস্য আহসান উল্লাহ (টীম লিডার), সারতাজ সাহাদৎ, জয়নাল আবেদীন, এবং শাহজাহান সম্রাট কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এর মাধ্যমে পরিভ্রমণ শেষ করেন।

১৩ ডিসেম্বর পরিভ্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথমদিন চট্টগ্রাম কলেজ থেকে ৩৪ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে সরকারি গাছবাড়িয়া কলেজে পৌঁছেন তারা। দ্বিতীয় দিন সরকারি গাছবাড়িয়া কলেজ, চন্দনাইশ থেকে ২৮ কিলোমিটার অতিক্রম করে লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদে পৌঁছে, তৃতীয় দিন লোহাগাড়া উপজেলা পরিষদ থেকে ৩১ কিলোমিটার হেঁটে চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ এবং চতুর্থ দিন চকরিয়া কোরক বিদ্যাপীঠ থেকে ২৮ কিলোমিটার ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদে পৌঁছেন তারা। সর্বশেষ পঞ্চম দিন ঈদগাঁও উপজেলা পরিষদ থেকে ৩০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে চূড়ান্ত গন্তব্য কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে পৌঁছে। প্রথিমধ্যে তারা সরকারি দফতরগুলোতে দফতর প্রধানদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং জনসচেতনতায় সমসাময়িক ইস্যু, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এবং প্রকৃতি পর্যবেক্ষণ করেন।

টিম লিডার আহসান উল্লাহ বলেন, স্কাউটিংয়ের সবচেয়ে অ্যাডভেঞ্চারাস ও এক্সাসাইটিং অংশ এই পরিভ্রমণ। আমরা সাধারণত, পাহাড়ি এলাকা, ঐতিহাসিক স্থান, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীগুলোর এলাকাকেই বেছে নিই। পরিভ্রমণের মাধ্যমে আমরা তাঁদের জীবনাচার সম্পর্কে ধারণা অর্জন করি। এবার আমি আমার জন্মভূমি মাটি ও মানুষের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও জীবনাচার সম্পর্কে জানতে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রোডটি বেঁছে নিয়েছি। এর মাধ্যমের আমরা আমাদের অভিষ্ট্য লক্ষ্য রোভারিংয়ের সর্বোচ্চ অ্যাওয়ার্ড প্রেসিডেন্ট রোভার স্কাউট অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে আমরা মাটি ও মানুষের গর্বিত করতে পারবো বলে আশাকরি।

উল্লেখ্য আহসান উল্লাহ কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং জয়নাল আবেদীন টেকনাফ উপজেলার কৃতি সন্তান।