পরিবেশগত সংকটাপন্ন হওয়ায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত সীমিতকরন ও প্লাস্টিক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞাসহ নানান বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। কিন্তু বিধিনিষেধের মাঝেও প্লাস্টিক যাচ্ছে দেশের একমাত্র প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার কিছু সময় পর মালামাল পরিবহনকারী একটি ট্রলার ভিড়ে সেন্টমার্টিন ঘাটে। ট্রলারেই বিভিন্ন পণ্যের সাথে দেখা যায় ‘তড়িৎ ব্যবহার্য'(ওয়ান টাইম) বেশ কিছু প্লাস্টিক প্যাকেজিং নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দ্বীপে। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হিসেবে চিহ্নিত।
এসংক্রান্ত একটি স্থিরচিত্রসহ উদ্বেগ প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেয় জাহিদ হাসান শুভ নামের এক ব্যক্তি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি ও মলিকিউলার বায়োলজি বিভাগের ছাত্র জাহিদের সাথে যোগাযোগ হয় টিটিএনের। তিনি নিশ্চিত করেন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা সময়েই, বিভাগের শিক্ষা সফর শেষ করে ফেরার পথে ছবিটি নিজের মুঠোফোনে ধারন করেন।
জাহিদের ছবির সূত্র ধরেই টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরীর সাথে কথা হয় আমাদের। মুঠোফোনে তিনি জানান, প্লাস্টিকের ক্ষেত্রে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। সেইসাথে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে দ্বীপের সামগ্রিক চিত্র নজরে রাখা হয়েছে আর ট্রলারে মালামাল পরিবহনের বিষয়টিতে সহযোগিতা করছেন বিজিবি ও কোস্টগার্ড।
সময় ও ট্রলারের অবস্থান নিশ্চিত করে আদনান চৌধুরীকে প্লাস্টিক প্যাকেজিং যাওয়ার বিষয়টি অবহিত করা হলে তিনি ছবি পাঠাতে বলেন। ছবি পাঠানোর পর ক্ষুদে বার্তায় তিনি ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান।
এদিকে টিটিএনের কাছে ছবি সরবরাহ করা পর্যটক জাহিদ হাসান শুভ বলেন, “বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে দূষণ থেকে রক্ষায় সরকারের যে উদ্যোগ সেটা প্রশংসনীয়। মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন একটা দ্বীপে মালামাল পরিবহণ তদারক করা এবং নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা কঠিন কোন কাজ নয়। এমন সিদ্ধান্ত থাকা সত্বেও পরিবেশের অন্যতম দূষক প্লাস্টিক প্যাকেজিং এত বিশাল পরিমানে সেন্টমার্টিনে ব্যবহারের উদ্দ্যেশে নিয়ে আসতে দেখা হতাশাজনক।”