বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপের প্রভাবে দেশের আট বিভাগেই আগামী দুই তিন দিন বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
সেই সঙ্গে দমকা বা ঝড়ো হাওয়ার কারণে উপকূলীয় ১৫ জেলার নিম্নাঞ্চল জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।
শনিবার আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিম্নচাপটি বর্তমানে ভারতের বিহারে অবস্থান করছে। আগামী দুই-তিন বৃষ্টিপাত বেশি হতে পারে। এরপরও কম-বেশি বৃষ্টিপাত থাকবে।”
এদিন নিম্নচাপ সম্পর্কিত আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন ঝাড়খন্ডে অবস্থান করছে।
এটি আরো পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, অমাবস্যা ও নিম্নচাপের কারণে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরিশাল, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ এক থেকে তিন ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এজন্য উত্তর বঙ্গোপসাগর অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের শনিবার সকালের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা ও ময়মনসিংহ বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
এই সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
গেল ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে সর্বোচ্চ ৬৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত নথিবদ্ধ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই সময়ে রাজধানীতেও ১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
এই সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর ডিমলায় ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সূত্র: বিডিনিউজ