ঢাকা ০১:৩৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আমি আর বাঁচতে চাইনা,ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ’ চেয়ে কক্সবাজারে মশাল মিছিল কুতুবদিয়ায় জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস পালিত কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে নানান কর্মসূচী মাধ্যমে সালাউদ্দিন আহমেদের ১১ তম গুম দিবস পালন কক্সবাজারে মার্কিন নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার “ এফ-কমার্স এন্ড ডিজিটাল মার্কেটিং ” শীর্ষক প্রশিক্ষণের সনদ বিতরণ সম্পন্ন কক্সবাজারে দুর্যোগ প্রস্তুতি মহড়া ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত উখিয়ায় ঢালুতে আটকে আছে মালবাহী লরি! দীর্ঘ যানজট হলেও জানেন না হাইওয়ে ওসি মাগুরার শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ শুক্রবার কক্সবাজার আসছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম! সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক! “আমার বোনের কান্না, আর না-আর না” পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বানৌজা পেকুয়া

চাঁদা না দেয়ায় স্থাপনা ভাংচুরের অভিযোগ করলো মারমেইড

রামুর পেঁচারদ্বীপ এলাকায় মারমেইডের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে নির্মিত স্থাপনায় ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে নিজেদের ভুক্তভোগী দাবী করে ‘মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেড’ কর্তৃপক্ষ বলছে, ধেছুয়াপালং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ ও রামু উপজেলা ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত (কানুনগো) মাহবুবুর রহমান সার্ভেয়ার চাঁদা না পেয়ে এসব করেছেন।

প্রতিষ্ঠানটি ওই অভিযোগে উল্লেখ করে, ‘মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেড’ ব্যবসায়িক সাফল্যে কিছু ব্যক্তি ঈর্ষান্বিত হয়ে ব্যক্তি শক্রতামূলক আচরণ শুরু করে। সম্প্রতি চক্রটি প্রত্যক্ষভাবে ধেছুয়াপালং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ ও রামু উপজেলা ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত (কানুনগো) মাহবুবুর রহমান সার্ভেয়ার সুকৌশলে চাঁদা দাবি করে আসছিল। দাবিকৃত অর্থ না দিলে এলাকায় ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলে সম্প্রতি এমন হুমকি দেয় তাদের।

মারমেইড বিচ রিসোর্টে সুইমিং পুল, কটেজ, শিশুদের খেলাধুলার মাঠ ও লন রয়েছে। রিসোর্ট থেকে পশ্চিমের খোলা জায়গায় দিয়ে পর্যটকদের সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার সুবিধার্থে নিজস্ব মালিকানাধীন জায়গায় একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়। কিন্তু, অভিযুক্ত সেলিম উল্লাহ ও মাহবুব আলম অবৈধ আর্থিক সুবিধা (ঘুষ) ও চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে নানা মিথ্যা কল্পকাহিনী রচনা করে। খরিদকৃত জোত জমিকে খাস জমি নামে মিথ্যা অভিযোগ করে। এমনকি কোন নোটিশ ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সম্প্রতি এই কাঠের সেতুটি ভাংচুর করে। শুধু তাই নয়, প্রবল আক্রোশে ভাংচুরকৃত স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, দুর্নীতিবাজ সেলিম উল্লাহ ইতিপূর্বে জালিয়াতির মাধ্য ১৪/০৬/১৯৬২ তারিখের ৪৮৫৩ দলিলকে পরিবর্তন করে ১৯৮২ সালের দলিল বানিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নামজারী ও জমাভাগ করে ৪৬৯ নং খতিয়ান তৈরি করেছে। প্রতারণার মাধ্যমে তৈরিকৃত নামজারী মামলার প্রস্তাবনা, প্রতিবেদন ও তৈরিকৃত ৪৬৯ নং খতিয়ানে তার স্বাক্ষর রয়েছে। শুধু তাই নয় ৪৬৯ নং খতিয়ান থেকে সেলিম উল্লাহ পরবর্তীতে নামজারী ৫৪০, ৫২৮ ও ৯৭৬ খতিয়ান তৈরি করে। এই জঘন্য জালিয়াতির কারণে জেলা প্রশাসকের রাজস্ব আদালতে মামলাও করা হয়।

সেই মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। আদালতে বিচারাধীন মামলার বিষয় গোপন করে বেআইনীভাবে তিনি মারমেইডের স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এই ধ্বংসযজ্ঞের কারণে কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় মারমেইড কর্তৃপক্ষের। এছাড়া তিন কোটি টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে। ভাঙা সেতুটির কারণে বিদেশি পর্যটকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এ কারণে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে মারমেইড কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সেলিম উল্লাহ ও মাহবুব আলমের অপসারণসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে ভূমি সহকারী সেলিম উল্লাহকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলে তার উত্তরে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ। আর এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

জনপ্রিয় সংবাদ

আমি আর বাঁচতে চাইনা,ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

This will close in 6 seconds

চাঁদা না দেয়ায় স্থাপনা ভাংচুরের অভিযোগ করলো মারমেইড

আপডেট সময় : ০৮:৩২:৫২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

রামুর পেঁচারদ্বীপ এলাকায় মারমেইডের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে নির্মিত স্থাপনায় ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে নিজেদের ভুক্তভোগী দাবী করে ‘মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেড’ কর্তৃপক্ষ বলছে, ধেছুয়াপালং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ ও রামু উপজেলা ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত (কানুনগো) মাহবুবুর রহমান সার্ভেয়ার চাঁদা না পেয়ে এসব করেছেন।

প্রতিষ্ঠানটি ওই অভিযোগে উল্লেখ করে, ‘মারমেইড ইকো ট্যুরিজম লিমিটেড’ ব্যবসায়িক সাফল্যে কিছু ব্যক্তি ঈর্ষান্বিত হয়ে ব্যক্তি শক্রতামূলক আচরণ শুরু করে। সম্প্রতি চক্রটি প্রত্যক্ষভাবে ধেছুয়াপালং ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সেলিম উল্লাহ ও রামু উপজেলা ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত (কানুনগো) মাহবুবুর রহমান সার্ভেয়ার সুকৌশলে চাঁদা দাবি করে আসছিল। দাবিকৃত অর্থ না দিলে এলাকায় ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না বলে সম্প্রতি এমন হুমকি দেয় তাদের।

মারমেইড বিচ রিসোর্টে সুইমিং পুল, কটেজ, শিশুদের খেলাধুলার মাঠ ও লন রয়েছে। রিসোর্ট থেকে পশ্চিমের খোলা জায়গায় দিয়ে পর্যটকদের সমুদ্র সৈকতে যাওয়ার সুবিধার্থে নিজস্ব মালিকানাধীন জায়গায় একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করা হয়। কিন্তু, অভিযুক্ত সেলিম উল্লাহ ও মাহবুব আলম অবৈধ আর্থিক সুবিধা (ঘুষ) ও চাঁদা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে নানা মিথ্যা কল্পকাহিনী রচনা করে। খরিদকৃত জোত জমিকে খাস জমি নামে মিথ্যা অভিযোগ করে। এমনকি কোন নোটিশ ও আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সম্প্রতি এই কাঠের সেতুটি ভাংচুর করে। শুধু তাই নয়, প্রবল আক্রোশে ভাংচুরকৃত স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, দুর্নীতিবাজ সেলিম উল্লাহ ইতিপূর্বে জালিয়াতির মাধ্য ১৪/০৬/১৯৬২ তারিখের ৪৮৫৩ দলিলকে পরিবর্তন করে ১৯৮২ সালের দলিল বানিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নামজারী ও জমাভাগ করে ৪৬৯ নং খতিয়ান তৈরি করেছে। প্রতারণার মাধ্যমে তৈরিকৃত নামজারী মামলার প্রস্তাবনা, প্রতিবেদন ও তৈরিকৃত ৪৬৯ নং খতিয়ানে তার স্বাক্ষর রয়েছে। শুধু তাই নয় ৪৬৯ নং খতিয়ান থেকে সেলিম উল্লাহ পরবর্তীতে নামজারী ৫৪০, ৫২৮ ও ৯৭৬ খতিয়ান তৈরি করে। এই জঘন্য জালিয়াতির কারণে জেলা প্রশাসকের রাজস্ব আদালতে মামলাও করা হয়।

সেই মামলা এখনও বিচারাধীন রয়েছে। আদালতে বিচারাধীন মামলার বিষয় গোপন করে বেআইনীভাবে তিনি মারমেইডের স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এই ধ্বংসযজ্ঞের কারণে কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয় মারমেইড কর্তৃপক্ষের। এছাড়া তিন কোটি টাকার ব্যবসায়িক ক্ষতি হয়েছে। ভাঙা সেতুটির কারণে বিদেশি পর্যটকদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এ কারণে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করেছে মারমেইড কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে সেলিম উল্লাহ ও মাহবুব আলমের অপসারণসহ তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে ভূমি সহকারী সেলিম উল্লাহকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সংযোগ স্থাপন করা যায়নি। পরে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলে তার উত্তরে তিনি বলেন, আমি অসুস্থ। আর এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।