ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার? ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লো বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দারা টেকনাফ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক: দলীয় লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন উখিয়ায় পুলিশের পৃথক অভিযানে মিলল ১০ হাজার ইয়াবা ওপার থেকে ছোড়া গুলি পায়ে বিঁধলো নারীর খুনিয়া পালংয়ে চলন্তগাড়িতে ফিল্মি কায়দায় ডা’কা’তি, মোবাইলও টাকা ছিনতাই চকরিয়ায় ফের ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃ’ত্যু সেন্ট মার্টিন দখলকারীদের বিরুদ্ধে জোরালো বার্তা দিয়েছি: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উখিয়ায় ৮ খুদে হাফেজার কোরআন সবিনা খতম উপলক্ষে নানান আয়োজন বাবার সাথে মাছ ধরতে গিয়ে রেজুখালে স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজ মহেশখালীর যুবদল নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ আরফাতের অকাল মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদের শোক রামু বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান সম্পন্ন বসতি বে রিসোর্টের সাথে লুৎফর রহমান কাজলের সম্পৃক্ততা নেই – কর্তৃপক্ষ নির্বাচনি জোট নিয়ে কোনো দলের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: আখতার রেস্তোরাঁ শিল্প বাঁচাতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কক্সবাজারের রেস্তোরাঁ মালিকদের…

খুনের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের রিমান্ড মঞ্জুর

খুনের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী অঞ্চল) কাজী মো. তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ২৯ আগস্ট অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কের অনন্যা আবাসিক এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি খুন বায়েজিদ বোস্তামী থানা সীমানা–সংলগ্ন হাটহাজারীতে পড়েছে। সেই খুনের মামলায় সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ২৯ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকা–সংলগ্ন অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কে দুই যুবককে গুলি করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাসুদ কায়সার ও মো. আনিস। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকায় নাহার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দিয়ে দুজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলে আসা দুষ্কৃতকারীর ছোড়া গুলিতে আনিস ঘটনাস্থলে মারা যান। কায়সার দৌড়ে কিছু দূর যাওয়ার পর মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করে ধরে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় কায়সারকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মাসুদ কায়সারকে যেখানে গুলি করে খুন করা হয়েছে, সেটি নগরের শেষ প্রান্ত পেরিয়ে হাটহাজারী উপজেলার কুয়াইশ এলাকায় পড়েছে। এ জন্য তাঁর ভাই মো. আরিফ বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। এতে পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে খুনের কথা উল্লেখ করা হয়।

গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে তাঁকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন নগর পুলিশ কমিশনার। সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেওয়ার পর ৩০ জানুয়ারি ধরিয়ে দিতে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১৫টি মামলা রয়েছে। সাজ্জাদ কারাগারে থাকার সময় ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় করা মামলায়ও সাজ্জাদকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

সূত্র: প্রথম আলো

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার?

This will close in 6 seconds

খুনের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট সময় : ০৫:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

খুনের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী অঞ্চল) কাজী মো. তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ২৯ আগস্ট অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কের অনন্যা আবাসিক এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি খুন বায়েজিদ বোস্তামী থানা সীমানা–সংলগ্ন হাটহাজারীতে পড়েছে। সেই খুনের মামলায় সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ২৯ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকা–সংলগ্ন অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কে দুই যুবককে গুলি করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাসুদ কায়সার ও মো. আনিস। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকায় নাহার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দিয়ে দুজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলে আসা দুষ্কৃতকারীর ছোড়া গুলিতে আনিস ঘটনাস্থলে মারা যান। কায়সার দৌড়ে কিছু দূর যাওয়ার পর মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করে ধরে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় কায়সারকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মাসুদ কায়সারকে যেখানে গুলি করে খুন করা হয়েছে, সেটি নগরের শেষ প্রান্ত পেরিয়ে হাটহাজারী উপজেলার কুয়াইশ এলাকায় পড়েছে। এ জন্য তাঁর ভাই মো. আরিফ বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। এতে পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে খুনের কথা উল্লেখ করা হয়।

গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে তাঁকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন নগর পুলিশ কমিশনার। সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেওয়ার পর ৩০ জানুয়ারি ধরিয়ে দিতে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১৫টি মামলা রয়েছে। সাজ্জাদ কারাগারে থাকার সময় ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় করা মামলায়ও সাজ্জাদকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

সূত্র: প্রথম আলো