ঢাকা ১০:৩১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম মাতারবাড়িতে শ্রমিক দলের সভাপতি মামুনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন মধ্যরাতে ইডেন গার্ডেনের ‘ছাদ থেকে পড়ে’ যুবকের মৃত্যু! বাঁকখালী নদীর তীরে পুনঃদখল উচ্ছেদে প্রশাসনের ফের অভিযান টেকনাফে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ যুবকের লাশ নাফ নদীতে ২০২৬ বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল ‘ট্রায়োন্ডা’ উন্মোচন ৩৯ জন নারী শিশু আটকে ছিলো পাহাড়ে! রাজা কংসনারায়ণের দূর্গা পূজা ও সমাজের ঐক্য ডিসেম্বরে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে দেশে ফিরছেন সেফুদা! সু’মু’দ ফ্লো’টি’লা’য় পৌঁছে গেলো টিটিএনের সংবাদ, শহীদুল আলমের ফেসবুক পোস্ট.. জালিয়াপালংয়ে জেলা আমীর আনোয়ারী-“জামায়াতে ইসলামী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” বিসর্জনের সুরে ‘ফিলিস্তিন মুক্তির’ প্রার্থনা টেকনাফে বিএনপি কার্যালয়ে র‍্যাবের অভিযান: ‘স্বৈরাচারী পদক্ষেপ’ বলছে স্থানীয় নেতারা বৈরি আবহাওয়াতেও কক্সবাজারে হোটেল রুম ‘সোল্ড আউট’ কক্সবাজারে চুরি হওয়া ৬৫ মোবাইলসহ কুমিল্লা থেকে ‘চোর’ গ্রেপ্তার

খুনের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের রিমান্ড মঞ্জুর

খুনের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী অঞ্চল) কাজী মো. তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ২৯ আগস্ট অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কের অনন্যা আবাসিক এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি খুন বায়েজিদ বোস্তামী থানা সীমানা–সংলগ্ন হাটহাজারীতে পড়েছে। সেই খুনের মামলায় সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ২৯ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকা–সংলগ্ন অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কে দুই যুবককে গুলি করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাসুদ কায়সার ও মো. আনিস। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকায় নাহার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দিয়ে দুজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলে আসা দুষ্কৃতকারীর ছোড়া গুলিতে আনিস ঘটনাস্থলে মারা যান। কায়সার দৌড়ে কিছু দূর যাওয়ার পর মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করে ধরে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় কায়সারকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মাসুদ কায়সারকে যেখানে গুলি করে খুন করা হয়েছে, সেটি নগরের শেষ প্রান্ত পেরিয়ে হাটহাজারী উপজেলার কুয়াইশ এলাকায় পড়েছে। এ জন্য তাঁর ভাই মো. আরিফ বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। এতে পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে খুনের কথা উল্লেখ করা হয়।

গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে তাঁকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন নগর পুলিশ কমিশনার। সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেওয়ার পর ৩০ জানুয়ারি ধরিয়ে দিতে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১৫টি মামলা রয়েছে। সাজ্জাদ কারাগারে থাকার সময় ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় করা মামলায়ও সাজ্জাদকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

সূত্র: প্রথম আলো

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

উখিয়া হাসপাতালের ২ টন ময়লা অপসারণ করলো বিডি ক্লিন টিম

This will close in 6 seconds

খুনের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদের রিমান্ড মঞ্জুর

আপডেট সময় : ০৫:১৭:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

খুনের মামলায় ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

অতিরিক্ত চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (হাটহাজারী অঞ্চল) কাজী মো. তারেক আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের ২৯ আগস্ট অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কের অনন্যা আবাসিক এলাকায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে একটি খুন বায়েজিদ বোস্তামী থানা সীমানা–সংলগ্ন হাটহাজারীতে পড়েছে। সেই খুনের মামলায় সাজ্জাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বছরের ২৯ আগস্ট চট্টগ্রাম নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকা–সংলগ্ন অক্সিজেন–কুয়াইশ সড়কে দুই যুবককে গুলি করা হয়। নিহত ব্যক্তিরা হলেন মাসুদ কায়সার ও মো. আনিস। পুলিশের ভাষ্য অনুযায়ী, নগরের অনন্যা আবাসিক এলাকায় নাহার কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দিয়ে দুজন হেঁটে যাচ্ছিলেন। মোটরসাইকেলে আসা দুষ্কৃতকারীর ছোড়া গুলিতে আনিস ঘটনাস্থলে মারা যান। কায়সার দৌড়ে কিছু দূর যাওয়ার পর মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁকে ধাওয়া করে ধরে গুলি করা হয়। আহত অবস্থায় কায়সারকে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মাসুদ কায়সারকে যেখানে গুলি করে খুন করা হয়েছে, সেটি নগরের শেষ প্রান্ত পেরিয়ে হাটহাজারী উপজেলার কুয়াইশ এলাকায় পড়েছে। এ জন্য তাঁর ভাই মো. আরিফ বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় মামলা করেন। মামলায় সাজ্জাদসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়। এতে পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁকে খুনের কথা উল্লেখ করা হয়।

গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে তাঁকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন নগর পুলিশ কমিশনার। সাজ্জাদ বায়েজিদ বোস্তামী থানার ওসি আরিফুর রহমানকে ফেসবুক লাইভে এসে পেটানোর হুমকি দেওয়ার পর ৩০ জানুয়ারি ধরিয়ে দিতে পুরস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও চাঁদাবাজির ১৫টি মামলা রয়েছে। সাজ্জাদ কারাগারে থাকার সময় ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়ায় জোড়া খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় করা মামলায়ও সাজ্জাদকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে।

সূত্র: প্রথম আলো