কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ফেলোশিপ পেলেন সাংবাদিক তৌফিকুল ইসলাম লিপু। সাংবাদিক তৌফিকুল ইসলাম লিপু দীর্ঘ একযুগের বেশী সময় ধরে স্থানীয়, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে কাজ করছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন মাধ্যম দি টেরিটোরিয়্যাল নিউজ (টিটিএন) এর সিইও, ডয়েচে ভেলে বাংলা এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের কক্সবাজার প্রতিনিধি।
সংবাদমাধ্যম কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিচালিত টেকশই মিডিয়া কোলাবোরেশন প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান সাংবাদিক লিপুর হাতে সনদ ও চেক তুলে দেন অতিথিরা। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকায় অয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকল্পের মিডিয়া ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় লিপুসহ পাঁচজন সাংবাদিককে তাদের কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ফেলোশিপ প্রদান করা হয়। ফেলোশিপের অংশ হিসেবে, প্রতিটি বিজয়ী সাংবাদিকগণ তাদের নির্বাচিত বিষয়ের ওপর অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করেন।পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক এবং তাদের প্রতিবেদনগুলো হলো: ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের কক্সবাজার প্রতিনিধি তৌফিকুল ইসলাম লিপু, তিনি সংকট, সংঘাত ও শরণার্থী থিমের অধীনে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। চ্যানেল আইয়ের নিজস্ব প্রতিবেদক রিপোর্টার সারোয়ার আজম মানিক, যিনি জিওগ্রাফিক ও পরিবেশগত সমস্যা থিমের অধীনে উপকূলীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে জলবায়ু স্থানান্তর বিষয়ক প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এখম টেলিভিশনের কক্সবাজার প্রতিনিধি মনতোষ বেদজ্ঞ ও দৈনিক কক্সবাজারের রোখসানা আক্তার সুমি, উভয়ই উন্নয়ন, অবকাঠামো ও পর্যটন থিমের অধীনে অতি-পর্যটন ও এর প্রতিক্রিয়া বিষয়ক প্রতিবেদন জমা দেন এবং ক্লাইমেট ওয়াচ এর লোকমান হাকিম, জিওগ্রাফিক ও পরিবেশগত সমস্যা থিমের অধীনে উপকূলীয় ভাঙ্গন ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি বিষয়ক প্রতিবেদন তৈরি ও প্রকাশ করেন।
উক্ত প্রকল্পটি বেটারস্টোরিজ লিমিটেডের নেতৃত্বে, কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিবিইউজে) এর সহ-নেতৃত্বে,
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে, ফ্রি প্রেস আনলিমিটেড এবং আর্টিকেল নাইনটিনের সহায়তায় পরিচালিত এক বছরের একটি উদ্যোগ।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ আবু তাহের এবং বেটারস্টোরিজ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ স্টোরিটেলার জনাব মিনহাজ আনোয়ার । অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন টেকশই ল্যাবের এডভাইজর আসিফ মুনীর এবং
ফেলোশিপ প্রোগ্রামের মেন্টর ও জুরিবৃন্দ। উপস্থিত জুরি সদস্যরা হলেন ফ্যাক্টওয়াচ এর রিসার্চ কোঅর্ডিনেটর জুলকার নাঈন, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্ট স বাংলাদেশ (ইউল্যাব), এর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক ড. মাহমুদুননবী, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি) এর গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক
মালিহা তাবাসসুম এবং মিডিয়া ট্রেইনার ও কনসালট্যান্ট ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট শেহাজ সিন্ধ। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল কক্সবাজারের স্থানীয় সাংবাদিকদের মানবিক সংকট সম্পর্কিত সংবাদগুলোকে গভীরতা, ও স্পষ্টতার সঙ্গে তুলে
ধরার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
অনুষ্ঠানে আবু তাহের বলেন,আজকের এই প্রোগ্রামটি আমাদের দেখিয়েছে যে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন সীমিত নয় । আমরা এই প্রশিক্ষণ মডিউলগুলো এমনভাবে তৈরি করেছি যেন সঠিক উদ্যোগের মাধ্যমে আমরা আরও মডিউল তৈরি করতে পারি, যা কেবল বাংলাদেশ নয়, যেন পুরো বিশ্বের মানুষকেই এখান থেকে শিখতে আকৃষ্ট করে।”
মিনহাজ আনোয়ার তাঁর বক্তব্যে বলেন,
“কক্সবাজারের মানবিক কার্যক্রমের উন্নয়নে আমরা টেকসই পরিবেশ তৈরি করছি যার লক্ষ্য হলো
কক্সবাজারের বাইরেও আরও দূরে পৌঁছানো, যাতে আমাদের জ্ঞান ও দক্ষতা ব্যবহার করে স্থানীয় কমিউনিটির জন্য ২৫% রিসোর্স ব্যবহারের যে বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতি রয়েছে তা কেবল একটি স্বপ্ন না থেকে বাস্তবে রূপ নেয়, বিশেষ করে যারা বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
টেকশই মিডিয়া কোলাবোরেশন এর ফেলোশিপ প্রোগ্রামে ৩০ জন অংশগ্রহণকারীকে কক্সবাজারের মানবিক সংকট বিষয়ক রিপোর্টিং এ অ্যাসাইনমেন্টে প্রদান এবং প্রোগ্রামের আওতায় বিশেষ মেন্টরশিপ ট্রেইনিং দেয়া করা হয় । ট্রেইনিং শেষে অংশগ্রহণকারীগণ কর্তৃ ক জমা দেয়া ও
প্রকাশিত প্রতিবেদনসমূহ হতে জুরিদের স্কোরের ভিত্তিতে শীর্ষ পাঁচটি প্রতিবেদন নির্বাচিত হয়, এবং এর লেখকরা ফেলোশিপ অর্জন করেন ।
নিজস্ব প্রতিবেদক : 





















