ঢাকা ০৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ শুক্রবার কক্সবাজার আসছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব জামালপুরের ‘যৌনপল্লী’ থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্প – মাদকের এডি দিদারুলের যত অপকর্ম! সাংবাদিককে ফাঁসাতে কক্সবাজার মাদকদ্রব্য অধিদপ্তরের লাইভ নাটক! “আমার বোনের কান্না, আর না-আর না” পেকুয়ার বানৌজা শেখ হাসিনা নৌঘাঁটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে বানৌজা পেকুয়া পেকুয়ার নৌঘাঁটি সহ সামরিক বাহিনীর ৮ সংস্থা-স্থাপনার নাম পরিবর্তন ধর্ম উপদেষ্টা কক্সবাজার আসছেন সোমবার: জেলা মডেল মসজিদ উদ্বোধন করবেন চকরিয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান: ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা মব ভায়োল্যান্স সৃষ্টিকারী সকলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: মাহফুজ আলম ব্যারিস্টার সাফফাত ফারদিন চৌধুরী – মরিচ্যাপালং উচ্চ বিদ্যালয়ের নতুন সভাপতি রিজার্ভ এখন ২১.৪০ বিলিয়ন ডলার ধর্ষণের মামলা ৯০ দিনে শেষ করতে আইন হচ্ছে : উপদেষ্টা বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট এর পরিচালনা বোর্ডের সদস্য হলেন কাজল বদরখালীতে মহেশখালী পারাপারের গাড়ি যখন ইচ্ছে আটকে দিচ্ছে কতিপয় লোকজন

কচ্ছপিয়ায় শত বছরের সড়কের উন্নয়ন কাজে বনবিভাগের বাঁধা : স্থানীয়দের ক্ষোভ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া রামুর ডাক্তারকাটা ও নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলী সড়কে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রামু। এ সড়ক দিয়ে শত বছর আগে থেকে দুই উপজেলার মানুষ চলাচল করছে।

কিন্তু এই সড়কের আঁধা কিলোমিটার অংশে উন্নয়ন কাজ থামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বনবিভাগের বিরুদ্ধে। বাকি ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও বনবিভাগের বাঁধার কারণে মাত্র আঁধা কিলোমিটার অংশে কাজ বন্ধ রয়েছে।

এলজিইডির রামু উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন কবীর জানিয়েছেন- ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ কিলোমিটারের ওই সড়কে কাজ করছে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বন্ধ থাকা আঁধা কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নকাজ চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ৪০ পাড়া-গ্রামের ছাত্র শিক্ষক, শিশুবৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ। তাঁরা বনবিভাগের পক্ষ থেকে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বক্তারা বলেন- মামলায় বনবিভাগ দাবী করেন এ আঁধা কিলোমিটার এলাকা নিজেদের বাগান এলাকা। অথচ এসব ডাহা মিথ্যা। এ মিথ্যা মামলার পর ঠিকাদার পাঁচ মাস ধরে কাজ বন্ধ রেখেছে। বাকী অবশিষ্ট কাজ শেষ হলেও এ কাজটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছেন তারা কাজ বন্ধ রেখেছেন বন বিভাগের একটি মামলার কারণে। স্থানীয় ১০২ বছর বয়সী আবু ছৈয়দ বলেন- শত বছর ধরে সড়কটি চালু আছে।

জানতে চাইলে রামুর বাঁঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: সরওয়ার জাহান জানিয়েছেন- সড়কের একাংশে বনবিভাগের জায়গা রয়েছে, এনিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। আদালতের সিদ্ধান্ত মতে আমরা ব্যবস্থা নিব।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন- নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার ৪০ গ্রামের শতশত মানুষ সড়কের আঁধা কিলোমিটার অংশের নির্মান কাজ দ্রুত শুরুর জন্য মানববন্ধনে অংশ নেন। এ মানববন্ধনে অংশ নেন, ছাত্র-শিক্ষক-কৃষক-গাড়ি চালক-সীমান্তের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবি ও অন্যান্য পেশার কয়েক শত মানুষ । এ সড়কটি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর থেকে গিয়ে ঠেকছে ফুলতলী সীমান্তে। মাঝখানের আঁধা কিলোমিটার অংশ পড়েছে রামু উপজেলাধীন বাঁকখালী বনবিভাগের। এ অংশেও সড়ক আছে অনেক বড় আকারে। যা দীর্ঘ ২ শত বছর ধরে নানা বাহনে লোকজন চলাচল করছে। আর এ অংশের সড়কে দুধারে বাগান আছে ঠিকই সড়কের আশপাশে কোন বাগান নেই।

তারা অভিযোগ করে বলেন, বনবিভাগ
এ সত্যকে ঢেকে সড়কে বাগানের পালিত শতশত গাছ আছে দাবী করে মিথ্যা মামলা করে। যাতে ঠিকাদার অনিরাপদ মনে করে কাজ বন্ধ রাখে। সড়কটি কয়েকটি কোটি টাকার কাজের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হলেও মাত্র আঁধা কিলোমিটার অংশে হাত দিতে পারছে না ঠিকাদার। এমতাবস্থায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। তারা বলেন এ সড়কে যাতায়াত করে ৪০ গ্রামের মানুষ । সড়কের শেষাংশে আছে ২টি সকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিজিবির তিনটি সীমান্ত চৌকি। ১০টি অস্থায়ী চৌকি। বেসরকারী ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১০টি। রাবার বাগান, অন্যান্য ফলের বাগান রয়েছে হাজার হাজার একর। বিশেষ করে বাংলাদেশ-মিয়ামার সীমান্তে যে কোন ধরণের জরুরী যোগাযোগে এ সড়কটি অন্যতম মাধ্যম। এ কারণে সড়কটি অতিদ্রুত সংস্কারকরণে ব্যবস্থা নিতে সরকারের উপরি মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সমাজ সেবক
নুরুল ইসমাম, ইসমাইল, বদিউল আলম, শামশুল আলম মেম্বার, নুরুল ইসলাম মেম্বার, হারু মিয়া মেম্বার, আহামদ নবী মেম্বার, মাওলানা রশিদ আহমেদ, বাইক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন, স্থানীয় মুরব্বি আব্দুল মতলব, বাদশা মিয়া এবং মহিলাদের মধ্যে রাবেয়া আক্তার। সঞ্চালনা করেন কলিম মুহাম্মদ সোহেল।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজার এসে পর্যটকদের আর চিন্তা নেই এসে গেছে ‘ভ্রমণিকা’ অ্যাপ

This will close in 6 seconds

কচ্ছপিয়ায় শত বছরের সড়কের উন্নয়ন কাজে বনবিভাগের বাঁধা : স্থানীয়দের ক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৮:৪১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া রামুর ডাক্তারকাটা ও নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলী সড়কে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রামু। এ সড়ক দিয়ে শত বছর আগে থেকে দুই উপজেলার মানুষ চলাচল করছে।

কিন্তু এই সড়কের আঁধা কিলোমিটার অংশে উন্নয়ন কাজ থামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বনবিভাগের বিরুদ্ধে। বাকি ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও বনবিভাগের বাঁধার কারণে মাত্র আঁধা কিলোমিটার অংশে কাজ বন্ধ রয়েছে।

এলজিইডির রামু উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন কবীর জানিয়েছেন- ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ কিলোমিটারের ওই সড়কে কাজ করছে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বন্ধ থাকা আঁধা কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নকাজ চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ৪০ পাড়া-গ্রামের ছাত্র শিক্ষক, শিশুবৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ। তাঁরা বনবিভাগের পক্ষ থেকে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বক্তারা বলেন- মামলায় বনবিভাগ দাবী করেন এ আঁধা কিলোমিটার এলাকা নিজেদের বাগান এলাকা। অথচ এসব ডাহা মিথ্যা। এ মিথ্যা মামলার পর ঠিকাদার পাঁচ মাস ধরে কাজ বন্ধ রেখেছে। বাকী অবশিষ্ট কাজ শেষ হলেও এ কাজটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছেন তারা কাজ বন্ধ রেখেছেন বন বিভাগের একটি মামলার কারণে। স্থানীয় ১০২ বছর বয়সী আবু ছৈয়দ বলেন- শত বছর ধরে সড়কটি চালু আছে।

জানতে চাইলে রামুর বাঁঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: সরওয়ার জাহান জানিয়েছেন- সড়কের একাংশে বনবিভাগের জায়গা রয়েছে, এনিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। আদালতের সিদ্ধান্ত মতে আমরা ব্যবস্থা নিব।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন- নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার ৪০ গ্রামের শতশত মানুষ সড়কের আঁধা কিলোমিটার অংশের নির্মান কাজ দ্রুত শুরুর জন্য মানববন্ধনে অংশ নেন। এ মানববন্ধনে অংশ নেন, ছাত্র-শিক্ষক-কৃষক-গাড়ি চালক-সীমান্তের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবি ও অন্যান্য পেশার কয়েক শত মানুষ । এ সড়কটি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর থেকে গিয়ে ঠেকছে ফুলতলী সীমান্তে। মাঝখানের আঁধা কিলোমিটার অংশ পড়েছে রামু উপজেলাধীন বাঁকখালী বনবিভাগের। এ অংশেও সড়ক আছে অনেক বড় আকারে। যা দীর্ঘ ২ শত বছর ধরে নানা বাহনে লোকজন চলাচল করছে। আর এ অংশের সড়কে দুধারে বাগান আছে ঠিকই সড়কের আশপাশে কোন বাগান নেই।

তারা অভিযোগ করে বলেন, বনবিভাগ
এ সত্যকে ঢেকে সড়কে বাগানের পালিত শতশত গাছ আছে দাবী করে মিথ্যা মামলা করে। যাতে ঠিকাদার অনিরাপদ মনে করে কাজ বন্ধ রাখে। সড়কটি কয়েকটি কোটি টাকার কাজের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হলেও মাত্র আঁধা কিলোমিটার অংশে হাত দিতে পারছে না ঠিকাদার। এমতাবস্থায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। তারা বলেন এ সড়কে যাতায়াত করে ৪০ গ্রামের মানুষ । সড়কের শেষাংশে আছে ২টি সকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিজিবির তিনটি সীমান্ত চৌকি। ১০টি অস্থায়ী চৌকি। বেসরকারী ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১০টি। রাবার বাগান, অন্যান্য ফলের বাগান রয়েছে হাজার হাজার একর। বিশেষ করে বাংলাদেশ-মিয়ামার সীমান্তে যে কোন ধরণের জরুরী যোগাযোগে এ সড়কটি অন্যতম মাধ্যম। এ কারণে সড়কটি অতিদ্রুত সংস্কারকরণে ব্যবস্থা নিতে সরকারের উপরি মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সমাজ সেবক
নুরুল ইসমাম, ইসমাইল, বদিউল আলম, শামশুল আলম মেম্বার, নুরুল ইসলাম মেম্বার, হারু মিয়া মেম্বার, আহামদ নবী মেম্বার, মাওলানা রশিদ আহমেদ, বাইক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন, স্থানীয় মুরব্বি আব্দুল মতলব, বাদশা মিয়া এবং মহিলাদের মধ্যে রাবেয়া আক্তার। সঞ্চালনা করেন কলিম মুহাম্মদ সোহেল।