ঢাকা ১০:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ আধুনিক সমাজ গঠনের অঙ্গীকারে পূর্ব জোয়ারিয়ানালা এলাকাবাসীর মতবিনিময় ২৩ ডিসেম্বর সাবেক মন্ত্রী মৌলভী ফরিদ আহমদের ৫৩তম শাহাদত বার্ষিকী চমকপ্রদ কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন ইয়ুথ হিউম্যানিট্যারিয়ান সার্ভিস অর্গানাইজেশন – পুলিশ সুপার আল-আসাদ কুতুবদিয়ার তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে সারা বছর: রয়েছে সুখ্যাতি আন্তর্জাতিকভাবে বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা দু’মাসে ঢুকেছে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা শিশু হত্যার জেরে এক বছর নিষিদ্ধ টিকটক শীতের মধ্যেই কক্সবাজার শহরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি সাগরে নিম্নচাপ: হতে পারে বৃষ্টি বছরের দীর্ঘতম রাত আজ উখিয়ায় উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে টিসিবি পণ্য জব্দ, তিন ব্যবসায়ীকে অর্থদন্ড আজ বিছানা না গোছানোর দিন! নিজের অপকর্ম আড়াল করতেই কারাগার থেকে অপপ্রচার চালাচ্ছেন জসিম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল রুটে চলবে ‘প্রবাল’ ও ‘শৈবাল’

কচ্ছপিয়ায় শত বছরের সড়কের উন্নয়ন কাজে বনবিভাগের বাঁধা : স্থানীয়দের ক্ষোভ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া রামুর ডাক্তারকাটা ও নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলী সড়কে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রামু। এ সড়ক দিয়ে শত বছর আগে থেকে দুই উপজেলার মানুষ চলাচল করছে।

কিন্তু এই সড়কের আঁধা কিলোমিটার অংশে উন্নয়ন কাজ থামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বনবিভাগের বিরুদ্ধে। বাকি ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও বনবিভাগের বাঁধার কারণে মাত্র আঁধা কিলোমিটার অংশে কাজ বন্ধ রয়েছে।

এলজিইডির রামু উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন কবীর জানিয়েছেন- ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ কিলোমিটারের ওই সড়কে কাজ করছে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বন্ধ থাকা আঁধা কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নকাজ চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ৪০ পাড়া-গ্রামের ছাত্র শিক্ষক, শিশুবৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ। তাঁরা বনবিভাগের পক্ষ থেকে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বক্তারা বলেন- মামলায় বনবিভাগ দাবী করেন এ আঁধা কিলোমিটার এলাকা নিজেদের বাগান এলাকা। অথচ এসব ডাহা মিথ্যা। এ মিথ্যা মামলার পর ঠিকাদার পাঁচ মাস ধরে কাজ বন্ধ রেখেছে। বাকী অবশিষ্ট কাজ শেষ হলেও এ কাজটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছেন তারা কাজ বন্ধ রেখেছেন বন বিভাগের একটি মামলার কারণে। স্থানীয় ১০২ বছর বয়সী আবু ছৈয়দ বলেন- শত বছর ধরে সড়কটি চালু আছে।

জানতে চাইলে রামুর বাঁঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: সরওয়ার জাহান জানিয়েছেন- সড়কের একাংশে বনবিভাগের জায়গা রয়েছে, এনিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। আদালতের সিদ্ধান্ত মতে আমরা ব্যবস্থা নিব।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন- নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার ৪০ গ্রামের শতশত মানুষ সড়কের আঁধা কিলোমিটার অংশের নির্মান কাজ দ্রুত শুরুর জন্য মানববন্ধনে অংশ নেন। এ মানববন্ধনে অংশ নেন, ছাত্র-শিক্ষক-কৃষক-গাড়ি চালক-সীমান্তের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবি ও অন্যান্য পেশার কয়েক শত মানুষ । এ সড়কটি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর থেকে গিয়ে ঠেকছে ফুলতলী সীমান্তে। মাঝখানের আঁধা কিলোমিটার অংশ পড়েছে রামু উপজেলাধীন বাঁকখালী বনবিভাগের। এ অংশেও সড়ক আছে অনেক বড় আকারে। যা দীর্ঘ ২ শত বছর ধরে নানা বাহনে লোকজন চলাচল করছে। আর এ অংশের সড়কে দুধারে বাগান আছে ঠিকই সড়কের আশপাশে কোন বাগান নেই।

তারা অভিযোগ করে বলেন, বনবিভাগ
এ সত্যকে ঢেকে সড়কে বাগানের পালিত শতশত গাছ আছে দাবী করে মিথ্যা মামলা করে। যাতে ঠিকাদার অনিরাপদ মনে করে কাজ বন্ধ রাখে। সড়কটি কয়েকটি কোটি টাকার কাজের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হলেও মাত্র আঁধা কিলোমিটার অংশে হাত দিতে পারছে না ঠিকাদার। এমতাবস্থায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। তারা বলেন এ সড়কে যাতায়াত করে ৪০ গ্রামের মানুষ । সড়কের শেষাংশে আছে ২টি সকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিজিবির তিনটি সীমান্ত চৌকি। ১০টি অস্থায়ী চৌকি। বেসরকারী ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১০টি। রাবার বাগান, অন্যান্য ফলের বাগান রয়েছে হাজার হাজার একর। বিশেষ করে বাংলাদেশ-মিয়ামার সীমান্তে যে কোন ধরণের জরুরী যোগাযোগে এ সড়কটি অন্যতম মাধ্যম। এ কারণে সড়কটি অতিদ্রুত সংস্কারকরণে ব্যবস্থা নিতে সরকারের উপরি মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সমাজ সেবক
নুরুল ইসমাম, ইসমাইল, বদিউল আলম, শামশুল আলম মেম্বার, নুরুল ইসলাম মেম্বার, হারু মিয়া মেম্বার, আহামদ নবী মেম্বার, মাওলানা রশিদ আহমেদ, বাইক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন, স্থানীয় মুরব্বি আব্দুল মতলব, বাদশা মিয়া এবং মহিলাদের মধ্যে রাবেয়া আক্তার। সঞ্চালনা করেন কলিম মুহাম্মদ সোহেল।

ট্যাগ :

কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির শপথ গ্রহণ

This will close in 6 seconds

কচ্ছপিয়ায় শত বছরের সড়কের উন্নয়ন কাজে বনবিভাগের বাঁধা : স্থানীয়দের ক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৮:৪১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত লাগোয়া রামুর ডাক্তারকাটা ও নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলী সড়কে উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) রামু। এ সড়ক দিয়ে শত বছর আগে থেকে দুই উপজেলার মানুষ চলাচল করছে।

কিন্তু এই সড়কের আঁধা কিলোমিটার অংশে উন্নয়ন কাজ থামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বনবিভাগের বিরুদ্ধে। বাকি ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও বনবিভাগের বাঁধার কারণে মাত্র আঁধা কিলোমিটার অংশে কাজ বন্ধ রয়েছে।

এলজিইডির রামু উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন কবীর জানিয়েছেন- ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পাঁচ কিলোমিটারের ওই সড়কে কাজ করছে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বন্ধ থাকা আঁধা কিলোমিটার সড়ক উন্নয়নকাজ চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ৪০ পাড়া-গ্রামের ছাত্র শিক্ষক, শিশুবৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ। তাঁরা বনবিভাগের পক্ষ থেকে করা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

বক্তারা বলেন- মামলায় বনবিভাগ দাবী করেন এ আঁধা কিলোমিটার এলাকা নিজেদের বাগান এলাকা। অথচ এসব ডাহা মিথ্যা। এ মিথ্যা মামলার পর ঠিকাদার পাঁচ মাস ধরে কাজ বন্ধ রেখেছে। বাকী অবশিষ্ট কাজ শেষ হলেও এ কাজটি অসম্পূর্ণ রয়ে গেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছেন তারা কাজ বন্ধ রেখেছেন বন বিভাগের একটি মামলার কারণে। স্থানীয় ১০২ বছর বয়সী আবু ছৈয়দ বলেন- শত বছর ধরে সড়কটি চালু আছে।

জানতে চাইলে রামুর বাঁঘখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: সরওয়ার জাহান জানিয়েছেন- সড়কের একাংশে বনবিভাগের জায়গা রয়েছে, এনিয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। আদালতের সিদ্ধান্ত মতে আমরা ব্যবস্থা নিব।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন- নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার ৪০ গ্রামের শতশত মানুষ সড়কের আঁধা কিলোমিটার অংশের নির্মান কাজ দ্রুত শুরুর জন্য মানববন্ধনে অংশ নেন। এ মানববন্ধনে অংশ নেন, ছাত্র-শিক্ষক-কৃষক-গাড়ি চালক-সীমান্তের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাকুরিজীবি ও অন্যান্য পেশার কয়েক শত মানুষ । এ সড়কটি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর থেকে গিয়ে ঠেকছে ফুলতলী সীমান্তে। মাঝখানের আঁধা কিলোমিটার অংশ পড়েছে রামু উপজেলাধীন বাঁকখালী বনবিভাগের। এ অংশেও সড়ক আছে অনেক বড় আকারে। যা দীর্ঘ ২ শত বছর ধরে নানা বাহনে লোকজন চলাচল করছে। আর এ অংশের সড়কে দুধারে বাগান আছে ঠিকই সড়কের আশপাশে কোন বাগান নেই।

তারা অভিযোগ করে বলেন, বনবিভাগ
এ সত্যকে ঢেকে সড়কে বাগানের পালিত শতশত গাছ আছে দাবী করে মিথ্যা মামলা করে। যাতে ঠিকাদার অনিরাপদ মনে করে কাজ বন্ধ রাখে। সড়কটি কয়েকটি কোটি টাকার কাজের ৮০ ভাগ কাজ শেষ হলেও মাত্র আঁধা কিলোমিটার অংশে হাত দিতে পারছে না ঠিকাদার। এমতাবস্থায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে এলাকাবাসী। তারা বলেন এ সড়কে যাতায়াত করে ৪০ গ্রামের মানুষ । সড়কের শেষাংশে আছে ২টি সকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিজিবির তিনটি সীমান্ত চৌকি। ১০টি অস্থায়ী চৌকি। বেসরকারী ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ১০টি। রাবার বাগান, অন্যান্য ফলের বাগান রয়েছে হাজার হাজার একর। বিশেষ করে বাংলাদেশ-মিয়ামার সীমান্তে যে কোন ধরণের জরুরী যোগাযোগে এ সড়কটি অন্যতম মাধ্যম। এ কারণে সড়কটি অতিদ্রুত সংস্কারকরণে ব্যবস্থা নিতে সরকারের উপরি মহলের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন তাঁরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন- স্থানীয় সমাজ সেবক
নুরুল ইসমাম, ইসমাইল, বদিউল আলম, শামশুল আলম মেম্বার, নুরুল ইসলাম মেম্বার, হারু মিয়া মেম্বার, আহামদ নবী মেম্বার, মাওলানা রশিদ আহমেদ, বাইক সমিতির সভাপতি জসিম উদ্দিন, স্থানীয় মুরব্বি আব্দুল মতলব, বাদশা মিয়া এবং মহিলাদের মধ্যে রাবেয়া আক্তার। সঞ্চালনা করেন কলিম মুহাম্মদ সোহেল।