রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বালুবাসা গ্রামে গেল ৩০ নভেম্বর রাতে পিটিয়ে ও কুপিয়ে তরুণ সাহাব উদ্দিনকে (২৬) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে নিহতের ভাই আনছার উল্লাহ।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাতে রামু থানায় দায়েরকৃত ওই মামলায় কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মো. ইসমাঈল নোমান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন, কলিম উল্লাহ, আনছার, ওবাইদুল কাদের রিমনসহ ১৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমন কান্তি চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় ওই এলাকার মোস্তাক মিয়ার ছেলে আনছার উল্লাহকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অধিকতর যাচাই-বাছাই করে বাকি অপরাধীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে বাদি দাবি করেন- নিহত সাহাব উদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে গরু ব্যবসা করে আসছিল। আসামিরা সকলেই তাঁর (সাহাব উদ্দিনের) শত্রু। ঘটনার দিন তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। খবর পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
তবে ঘটনার পরের দিন স্থানীয় কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, দলবল নিয়ে এসে স্থানীয় তিন ব্যক্তিকে জিম্মি করে তাঁদের কাছে থাকা নগদ টাকা লুটের সময় এলাকাবাসীর গণপিটুনির পর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাহাব উদ্দিনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে সাহাব উদ্দিন নিহতের ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।