কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের অব্যবস্থাপনা ও দখলদারির জন্য স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ। তার অভিযোগ, প্রশাসনের ব্যর্থতার কারণেই বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত ক্রমে সৌন্দর্য হারাচ্ছে।
শনিবার এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেন, “সমুদ্র সৈকতের বিষয়গুলো দেখার জন্য বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি আছে। কিন্তু তারা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে না। সম্প্রতি সৈকত দখল নিয়ে যে সমালোচনা উঠেছে, এর পেছনেও প্রশাসনের ব্যর্থতা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের নামে–বেনামে কার্ড দিয়ে সৈকত দখলের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।”
তার অভিযোগ, অসংখ্য কার্ডের দৌরাত্ম্যে সৈকতে যত্রতত্র দোকান বসানো হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেই। ফলে সমুদ্র সৈকতের মূল আকর্ষণ অবিরাম বালুচর, যা হারিয়ে যাচ্ছে।
বিদেশি সমুদ্রসৈকতের সঙ্গে তুলনা টেনে আপেল মাহমুদ বলেন, “বিদেশের কোনো বিচে কি এভাবে সৌন্দর্য নষ্ট হতে দেখেছেন? কক্সবাজারের পরিচিতি বালির সৈকত হিসেবে। অনেকে আসেন বালিতে গড়াগড়ি করতে। কিন্তু সৈকতে গেলে চোখে পড়ে শুধু হকার।”
তিনি আরও বলেন, পর্যটকরা সৈকতে বসে বিশ্রাম নিতে গেলেও শান্তি পান না। “কেউ চিপস নিয়ে হাজির, কেউ সিদ্ধ ডিম, কেউ আনারকলি। আবার কেউ অনুমতি ছাড়াই মাথায় হাত দিয়ে বলে ‘ম্যাসাজ লাগবে?’ এতে বিরক্ত হচ্ছেন পর্যটকরা।”
তার মতে, এ অব্যবস্থাপনা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আপেল মাহমুদ বলেন, কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চালু হলে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা বাড়বে। তখন টুরিস্ট পুলিশকে আরও সতর্কভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবে বর্তমান অব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের দায়সারাভাবে দায়িত্ব পালন সৈকতের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে।