কক্সবাজারের বালিয়াড়ি সমুদ্রসৈকত দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদে উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ জন্য মন্ত্রণালয় থেকে মঙ্গলবার ভূমি মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আইন অমান্য করে দেওয়া দোকানের লাইসেন্স বাতিলের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কক্সবাজার সৈকতের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক পরিবেশ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অথচ আইন ও বিধিবহির্ভূতভাবে দোকানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ এবং প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০১৬ অনুযায়ী ইসিএ ঘোষিত এলাকায় কোনো স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে পরিবেশের ক্ষতিকর স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
মন্ত্রণালয় বলছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া ভবিষ্যতে যেন আর কোনো দোকান বা স্থাপনা গড়ে না ওঠে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে।
সরকার ১৯৯৯ সালের ১৯ এপ্রিল কক্সবাজার-টেকনাফ সমুদ্রসৈকতকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণা করে। এরপর বিভিন্ন সময়ে হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্টও এ এলাকায় যেকোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। তবু স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে বা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় বালিয়াড়িতে দোকানপাট ও স্থাপনা গড়ে ওঠে।
পরিবেশবিদেরা বলছেন, সৈকতের প্রাকৃতিক বালিয়াড়ি শুধু পর্যটন নয়, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য রক্ষার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো ধ্বংস হলে কক্সবাজারের পরিবেশ বিপর্যস্ত হবে। তাই সরকারের এ উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়ন জরুরি
সূত্র: সমকাল