চলতি বছর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে গোসলে নেমে ১২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এখন পর্যন্ত। আর জেলার বিভিন্ন স্থানে আরো ৫০ জনের অধিক মানুষ পানিতে ডুবে মারা গেছে।
এর মধ্যে কুতুবদিয়া, উখিয়া ও রামুত উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে।
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিচার্স বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এই তথ্য জানিয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে কাজ করে থাকে সংস্থাটি।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিশ্বে পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সচেতনামূলক র্যালী বের করে সিআইপিআরবি’র সি সেইফ প্রজেক্ট। র্যালী শেষে সি সেইফ প্রজেক্টের মাঠ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ২০১৪ সাল থেকে অদ্যবদি ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে তারা ৭৯৫ জনকে পানি থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে সি সেইফ লাইফগার্ড। এরমধ্যেই সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে যায়। তারমধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও এখনো ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও অরিত্র হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।
“বিশ্বে প্রতিবছর ২ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ প্রতি বছর পানিতে ডুবে মারা যায়। তারমধ্যে বাংলাদেশে ১৯ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। গড় হিসাব করলে প্রতিদিন ৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ৪০ জনই শিশু। এই নিরব মহামারীকে প্রতিরোধ করার জন্য জাতিসংঘ ২০২১ সালে ২৫ জুলাই বিশ্ব দিবস উপলক্ষে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা চাই মানুষ এই দিবসকে উপলক্ষ করে সকলেই সচেতন ও সতর্ক হোক। নিজেরা নিরাপদ থাকুক।”
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসলে লাইফগার্ডের পরামর্শ মেনে চলুন। বিভিন্ন এলাকায় সাঁতার প্রশিক্ষণ শুরু হোক। পানিতে ডুবে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু প্রতিরোধে সকলেকেই সতর্ক হওয়া জরুরি। এই নিরব মহামারী প্রতিরোধে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।
তবে কক্সবাজার পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়নি।
এবিষয়ে সমাজকর্মী কলিম উল্লাহ বলেন, সরকারের উচিত বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে সৈকতে লাইফগার্ড সেবা চালু করা। এছাড়া কোথায় গোসলে নামবে এবং কোথায় গোসলে নামা যাবেনা সেটি নির্ধারণ করে দেওয়া।