ঢাকা ১২:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৮ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাবলু চেয়ারম্যান, রানিম আহবায়ক: ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদ গঠিত কক্সবাজারে কোন ‘মাসুদ’ কে ভালো হতে বললেন তাহেরি! যুবদের কর্মমুখী হতে হবে -যুব কল্যাণ অনুদানের চেক বিতরণকালে জেলা প্রশাসক টৈটংয়ে খালার বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে প্রাণ গেলো দুই ভাই-বোনের মহেশখালীতে অস্ত্রসহ একাধিক হত্যা মামলার আসামি আটক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন’স অ্যাওয়ার্ড পেলেন তাশরিফা ফাইরুজ মনোনয়নপত্র বিতরণ কাল; উখিয়া অনলাইন প্রেসক্লাবের নির্বাচন ৮ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির ভারত না দক্ষিণ আফ্রিকা, কে হবে নতুন চ্যাম্পিয়ন? ‘নৌকা’ উপহার পেয়ে বিপাকে উপদেষ্টা, ফেসবুকে চাইলেন পরামর্শ সারাদেশে আজ যেমন থাকবে আবহাওয়া গাইবান্ধায় গরু চোর সন্দেহে ৩ জনকে পিটিয়ে হত্যা মিয়ানমারে পাচারকালে ১৫’শ বস্তা সিমেন্টসহ আটক ১১: দুটি বোট জব্দ চবি ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হলেন রামুর শাহজালাল শাহীন নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে এবার ১৩ ভরি স্বর্ণ ও ১০ ভরি রুপা উদ্ধার
পানিতে ডুবে মৃত্যুর উদ্বেগজনক চিত্র

কক্সবাজারে ৭ মাসে প্রাণ গেল ৬০ জনের

চলতি বছর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে গোসলে নেমে ১২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এখন পর্যন্ত। আর জেলার বিভিন্ন স্থানে আরো ৫০ জনের অধিক মানুষ পানিতে ডুবে মারা গেছে।

এর মধ্যে কুতুবদিয়া, উখিয়া ও রামুত উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিচার্স বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এই তথ্য জানিয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে কাজ করে থাকে সংস্থাটি।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিশ্বে পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সচেতনামূলক র‍্যালী বের করে সিআইপিআরবি’র সি সেইফ প্রজেক্ট। র‍্যালী শেষে সি সেইফ প্রজেক্টের মাঠ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ২০১৪ সাল থেকে অদ্যবদি ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে তারা ৭৯৫ জনকে পানি থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে সি সেইফ লাইফগার্ড। এরমধ্যেই সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে যায়। তারমধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও এখনো ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও অরিত্র হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।

“বিশ্বে প্রতিবছর ২ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ প্রতি বছর পানিতে ডুবে মারা যায়। তারমধ্যে বাংলাদেশে ১৯ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। গড় হিসাব করলে প্রতিদিন ৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ৪০ জনই শিশু। এই নিরব মহামারীকে প্রতিরোধ করার জন্য জাতিসংঘ ২০২১ সালে ২৫ জুলাই বিশ্ব দিবস উপলক্ষে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা চাই মানুষ এই দিবসকে উপলক্ষ করে সকলেই সচেতন ও সতর্ক হোক। নিজেরা নিরাপদ থাকুক।”

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসলে লাইফগার্ডের পরামর্শ মেনে চলুন। বিভিন্ন এলাকায় সাঁতার প্রশিক্ষণ শুরু হোক। পানিতে ডুবে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু প্রতিরোধে সকলেকেই সতর্ক হওয়া জরুরি। এই নিরব মহামারী প্রতিরোধে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।

তবে কক্সবাজার পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়নি।

এবিষয়ে সমাজকর্মী কলিম উল্লাহ বলেন, সরকারের উচিত বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে সৈকতে লাইফগার্ড সেবা চালু করা। এছাড়া কোথায় গোসলে নামবে এবং কোথায় গোসলে নামা যাবেনা সেটি নির্ধারণ করে দেওয়া।

ট্যাগ :

বাবলু চেয়ারম্যান, রানিম আহবায়ক: ছাত্র ইউনিয়নের সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদ গঠিত

This will close in 6 seconds

পানিতে ডুবে মৃত্যুর উদ্বেগজনক চিত্র

কক্সবাজারে ৭ মাসে প্রাণ গেল ৬০ জনের

আপডেট সময় : ০৬:১২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫

চলতি বছর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে গোসলে নেমে ১২ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে এখন পর্যন্ত। আর জেলার বিভিন্ন স্থানে আরো ৫০ জনের অধিক মানুষ পানিতে ডুবে মারা গেছে।

এর মধ্যে কুতুবদিয়া, উখিয়া ও রামুত উপজেলায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিচার্স বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি) এই তথ্য জানিয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে কাজ করে থাকে সংস্থাটি।

শুক্রবার (২৫ জুলাই) সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বিশ্বে পানিতে ডুবা প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে সচেতনামূলক র‍্যালী বের করে সিআইপিআরবি’র সি সেইফ প্রজেক্ট। র‍্যালী শেষে সি সেইফ প্রজেক্টের মাঠ কর্মকর্তা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, ২০১৪ সাল থেকে অদ্যবদি ৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ে তারা ৭৯৫ জনকে পানি থেকে জীবিত উদ্ধার করেছে সি সেইফ লাইফগার্ড। এরমধ্যেই সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে যায়। তারমধ্যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হলেও এখনো ১৮ দিন পেরিয়ে গেলেও অরিত্র হাসানের মরদেহ উদ্ধার করা যায়নি।

“বিশ্বে প্রতিবছর ২ লাখ ৩৫ হাজার মানুষ প্রতি বছর পানিতে ডুবে মারা যায়। তারমধ্যে বাংলাদেশে ১৯ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়। গড় হিসাব করলে প্রতিদিন ৫০ জন মানুষের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ৪০ জনই শিশু। এই নিরব মহামারীকে প্রতিরোধ করার জন্য জাতিসংঘ ২০২১ সালে ২৫ জুলাই বিশ্ব দিবস উপলক্ষে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা চাই মানুষ এই দিবসকে উপলক্ষ করে সকলেই সচেতন ও সতর্ক হোক। নিজেরা নিরাপদ থাকুক।”

ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে আসলে লাইফগার্ডের পরামর্শ মেনে চলুন। বিভিন্ন এলাকায় সাঁতার প্রশিক্ষণ শুরু হোক। পানিতে ডুবে অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু প্রতিরোধে সকলেকেই সতর্ক হওয়া জরুরি। এই নিরব মহামারী প্রতিরোধে সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক।

তবে কক্সবাজার পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগে দিবসটি পালিত হয়নি।

এবিষয়ে সমাজকর্মী কলিম উল্লাহ বলেন, সরকারের উচিত বেসরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগে সৈকতে লাইফগার্ড সেবা চালু করা। এছাড়া কোথায় গোসলে নামবে এবং কোথায় গোসলে নামা যাবেনা সেটি নির্ধারণ করে দেওয়া।