ঢাকা ০৪:২৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার? ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে সড়ক ছাড়লো বাসটার্মিনাল এলাকার বাসিন্দারা টেকনাফ জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক: দলীয় লেজুড়বৃত্তির সাংবাদিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন উখিয়ায় পুলিশের পৃথক অভিযানে মিলল ১০ হাজার ইয়াবা ওপার থেকে ছোড়া গুলি পায়ে বিঁধলো নারীর খুনিয়া পালংয়ে চলন্তগাড়িতে ফিল্মি কায়দায় ডা’কা’তি, মোবাইলও টাকা ছিনতাই চকরিয়ায় ফের ২ মোটরসাইকেল আরোহীর মৃ’ত্যু সেন্ট মার্টিন দখলকারীদের বিরুদ্ধে জোরালো বার্তা দিয়েছি: সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান উখিয়ায় ৮ খুদে হাফেজার কোরআন সবিনা খতম উপলক্ষে নানান আয়োজন বাবার সাথে মাছ ধরতে গিয়ে রেজুখালে স্কুল শিক্ষার্থী নিখোঁজ মহেশখালীর যুবদল নেতা রিয়াদ মোহাম্মদ আরফাতের অকাল মৃত্যুতে সালাহউদ্দিন আহমদের শোক রামু বিমুক্তি বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রে কঠিন চীবর দান সম্পন্ন বসতি বে রিসোর্টের সাথে লুৎফর রহমান কাজলের সম্পৃক্ততা নেই – কর্তৃপক্ষ নির্বাচনি জোট নিয়ে কোনো দলের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: আখতার রেস্তোরাঁ শিল্প বাঁচাতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি কক্সবাজারের রেস্তোরাঁ মালিকদের…

উপকূল এবং সাগরে প্লাস্টিক দূষণরোধে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযান

কক্সবাজারের নাজিরারটেকে প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্য ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপকূল এবং সাগরে প্লাস্টিক দূষণরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করা হয়। শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি মৎস্যজীবীদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্লাস্টিকজাত বা প্যাকেটজাত পন্য কিভাবে সাগর ও পরিবেশের সাথে মিশে যাচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এর পরিণাম কি হতে পারে সে বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে কর্মসূচিটির আয়োজন করে GenLab। এতে অংশগ্রহণ করে প্রায় ৫০ টি মৎস্যজীবী পরিবার, ২৫ জন স্কুল শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় মৎস্যজীবী, মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও মৎস্যজীবী পরিবারের নারী সদস্যগণ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে মাধ্যমে প্রায় ৮০ কেজি প্লাস্টিকজাত বর্জ্য সংগ্রহ করেন।

প্রধান অতিথি সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব সুজিত রায় তার বক্তব্যে বলেন, সাগরে প্লাস্টিকদূষণ বৃদ্ধির কারণে মাছের উৎপাদন আশংকাজনকহারে কমে যাবে। তাছাড়া মাইক্রোপ্লাস্টিক মাছের দেহে প্রবেশ করে পরবর্তীতে মানুষের শরীরে প্রবেশের মাধ্যমে ক্যান্সারসহ মরণঘাতী রোগ সৃষ্টি করবে। তাই প্লাস্টিক ব্যবহার এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সকলকে সচেতন হতে হবে।

মৎস্যজীবী লিডার জনাব আবুল কাশেম বলেন, আমরা মৎস্যজীবীরা যেসব প্লাস্টিকজাত খাবার বা পানীয় নিয়ে সাগরে যাই সেগুলোর প্যাকেট সাগরে না ফেলে কূলে নিয়ে এসে বর্জ্য ফেলার স্থানে ফেলব। এছাড়া বাড়িতে ব্যবহৃত বর্জ্যও যেখানে সেখানে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলব।
কর্মসূচির শেষে মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্য, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য সকলে জলবায়ুর পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করার লক্ষ্যে জলবায়ু শপথ পাঠ করেন।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কি হতে পারে: নির্বাচন, না নতুন অন্তর্বর্তী সরকার?

This will close in 6 seconds

উপকূল এবং সাগরে প্লাস্টিক দূষণরোধে মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযান

আপডেট সময় : ০৩:২৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারের নাজিরারটেকে প্রান্তিক মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্য ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে উপকূল এবং সাগরে প্লাস্টিক দূষণরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করা হয়। শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি মৎস্যজীবীদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত প্লাস্টিকজাত বা প্যাকেটজাত পন্য কিভাবে সাগর ও পরিবেশের সাথে মিশে যাচ্ছে এবং অদূর ভবিষ্যতে এর পরিণাম কি হতে পারে সে বিষয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে কর্মসূচিটির আয়োজন করে GenLab। এতে অংশগ্রহণ করে প্রায় ৫০ টি মৎস্যজীবী পরিবার, ২৫ জন স্কুল শিক্ষার্থী সহ স্থানীয় মৎস্যজীবী, মৎস্যজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা, সহ অন্যান্য ব্যক্তিবর্গ। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও মৎস্যজীবী পরিবারের নারী সদস্যগণ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে মাধ্যমে প্রায় ৮০ কেজি প্লাস্টিকজাত বর্জ্য সংগ্রহ করেন।

প্রধান অতিথি সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব সুজিত রায় তার বক্তব্যে বলেন, সাগরে প্লাস্টিকদূষণ বৃদ্ধির কারণে মাছের উৎপাদন আশংকাজনকহারে কমে যাবে। তাছাড়া মাইক্রোপ্লাস্টিক মাছের দেহে প্রবেশ করে পরবর্তীতে মানুষের শরীরে প্রবেশের মাধ্যমে ক্যান্সারসহ মরণঘাতী রোগ সৃষ্টি করবে। তাই প্লাস্টিক ব্যবহার এবং প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সকলকে সচেতন হতে হবে।

মৎস্যজীবী লিডার জনাব আবুল কাশেম বলেন, আমরা মৎস্যজীবীরা যেসব প্লাস্টিকজাত খাবার বা পানীয় নিয়ে সাগরে যাই সেগুলোর প্যাকেট সাগরে না ফেলে কূলে নিয়ে এসে বর্জ্য ফেলার স্থানে ফেলব। এছাড়া বাড়িতে ব্যবহৃত বর্জ্যও যেখানে সেখানে না ফেলে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফেলব।
কর্মসূচির শেষে মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্য, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য সকলে জলবায়ুর পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষায় কাজ করার লক্ষ্যে জলবায়ু শপথ পাঠ করেন।