ঢাকা ০১:১৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র করবে যৌথ তিনটি সামরিক মহড়া বিএনপি নেতা সৈয়দ নুর জীবনের শেষ মুহুর্তেও ছিলেন মিছিলে, রেখেছেন বক্তব্য কাউন্সিলর একরাম হত্যা মামলায় বদি’কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ সৎ, নীতিবান ও পেশাদার অফিসাররা পদোন্নতির দাবিদার: প্রধান উপদেষ্টা খালি পেটে এই ৭ কাজ করলে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়বেন বেগুন আগে খেয়েছেন এভাবে? গোপালগঞ্জের ঘটনায় গণগ্রেপ্তার হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মধ্যরাতে চকরিয়ার সড়কে বিক্ষোভ নি’ষি’দ্ধ ছাত্রলীগের, খবর ছড়ালো ফেসবুকে! সালাহউদ্দিন আহমদকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে কুতুবদিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল এখন আমাদের লড়াই করতে হবে ‘ট্যাবলেটের’ বিরুদ্ধে- হাসনাত হাসপাতালে অসুস্থ জামায়াত আমির’কে দেখতে গেলেন মির্জা ফখরুল গণতান্ত্রিক শক্তির লড়াইয়ে আরামে আছেন দিল্লিওয়ালা: সালাহউদ্দিন আহমদ ‘সালাহউদ্দিন উঁচু্মানের নেতা, কটুক্তি’র সাহসদাতাদের মূল উৎপাটন করা হবে’ এনসিপি নেতা পাটোয়ারীকে গ্রেফতারের দাবী পেকুয়া বিএনপির ‘লাগামহীন মন্তব্যের বিপরীতে ছাত্র-জনতা কোন পদক্ষেপ নিলে এনসিপিই দায়ী’

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয়া সরকারি জায়গায় ‘রহস্যজনক’ স্থাপনা!

কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশে উখিয়ার কুতুপালংয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে প্রকাশ্যে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র।

কুতুপালং বাজার থেকে ৪শত মিটার অদূরে আমগাছ তলা নামক এলাকায় ২ ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতার লাগোয়া ঐ স্থানে ইতিমধ্যে গড়ে তোলা দুইটি আধাপাকা গুদামঘর এবং আরো একটি স্থাপনা নির্মাণাধীন।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ ভুক্ত সদর বিটের আওতাধীন আনুমানিক ৫০ শতকের এই জায়গাটি কিছুদিন আগেও ছিলো উন্মুক্ত মাঠ, এলাকাবাসীর উদ্যোগে গত ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল।

সূত্র বলছে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এই জায়গাটি দখলে নেন রাজাপালং ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ শরীফের পুত্র মোহাম্মদ শাহ আলম।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, নির্মিতব্য স্থাপনায় কাজ করছে ৭-৮ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক।

গুদামঘর সাদৃশ্য স্থাপনাটি কেনো নির্মাণ করা হচ্ছে তা জানেন না সেখানে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইলিয়াস (২৬) ।

স্থাপনার বিপরীত পাশে অবস্থিত পানের দোকানি মোহাম্মদ সিরাজ নিজেকে মোহাম্মদ শরীফের ‘মেয়ের জামাই’ পরিচয় দেন। জায়গাটি বনবিভাগের স্বীকার করে তিনি জানান, তার স্ত্রীর ভাই শাহ আলমই জায়গাটিতে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।

এ বিষয়ে শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম শাহীন প্রতিবেদক’কে বলেন, ” সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ গুরুতর অপরাধ। স্থানটি পরিদর্শন করে বিধি অনুযায়ী বনবিভাগ ব্যবস্থা নিবে।”

সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ” সরকারি সম্পদ-জমি রক্ষায় প্রশাসনের কর্মতৎপরতা অব্যাহত আছে, কোনোভাবেই দখলদার তথা ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না।

ট্যাগ :

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র করবে যৌথ তিনটি সামরিক মহড়া

This will close in 6 seconds

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয়া সরকারি জায়গায় ‘রহস্যজনক’ স্থাপনা!

আপডেট সময় : ১২:১২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশে উখিয়ার কুতুপালংয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে প্রকাশ্যে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র।

কুতুপালং বাজার থেকে ৪শত মিটার অদূরে আমগাছ তলা নামক এলাকায় ২ ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতার লাগোয়া ঐ স্থানে ইতিমধ্যে গড়ে তোলা দুইটি আধাপাকা গুদামঘর এবং আরো একটি স্থাপনা নির্মাণাধীন।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ ভুক্ত সদর বিটের আওতাধীন আনুমানিক ৫০ শতকের এই জায়গাটি কিছুদিন আগেও ছিলো উন্মুক্ত মাঠ, এলাকাবাসীর উদ্যোগে গত ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল।

সূত্র বলছে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এই জায়গাটি দখলে নেন রাজাপালং ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ শরীফের পুত্র মোহাম্মদ শাহ আলম।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, নির্মিতব্য স্থাপনায় কাজ করছে ৭-৮ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক।

গুদামঘর সাদৃশ্য স্থাপনাটি কেনো নির্মাণ করা হচ্ছে তা জানেন না সেখানে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইলিয়াস (২৬) ।

স্থাপনার বিপরীত পাশে অবস্থিত পানের দোকানি মোহাম্মদ সিরাজ নিজেকে মোহাম্মদ শরীফের ‘মেয়ের জামাই’ পরিচয় দেন। জায়গাটি বনবিভাগের স্বীকার করে তিনি জানান, তার স্ত্রীর ভাই শাহ আলমই জায়গাটিতে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।

এ বিষয়ে শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম শাহীন প্রতিবেদক’কে বলেন, ” সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ গুরুতর অপরাধ। স্থানটি পরিদর্শন করে বিধি অনুযায়ী বনবিভাগ ব্যবস্থা নিবে।”

সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ” সরকারি সম্পদ-জমি রক্ষায় প্রশাসনের কর্মতৎপরতা অব্যাহত আছে, কোনোভাবেই দখলদার তথা ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না।