উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের জনাব আলী পাড়ায় গভীর রাতে জাতীয় দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকার উখিয়া প্রতিনিধি সাংবাদিক মুসলিম উদ্দিনের দীর্ঘদিনের বসতবাড়ি ও দোকানে ভয়াবহ লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, সন্ত্রাসীরা ২৮ আগষ্ট দিবাগত রাত ৩ টার দিকে প্রথমে ঘরে প্রবেশ করে মূল্যবান সামগ্রী লুটপাট করে, পরে অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে ঘর ও ভিটেবাড়ীতে ত্রাস সৃষ্টি করে।
সাংবাদিক মুসলিম উদ্দিনের পরিবারের তিন সদস্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা ধরে নিয়ে অপহরণ করার চেষ্টা করে, এ সময় এলাকাবাসীর বাঁধায় তাদের ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত ৫ জনকে উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আহতরা হলেন- মুসলিম উদ্দিনের পিতা মোহাম্মদ রশিদ (৮৫), তাঁর বড় ভাই আব্দুল বারি (৫২), হুমায়ুন (১৫), জান্নানু নাহার (৩৩) ও ছবুরা বেগম (৩৫)।
এর আগেই সম্ভাব্য হামলা ও লুটপাটের আশঙ্কা প্রকাশ করে উখিয়া থানা ও সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন মুসলিম উদ্দিন।স্থানীয়রা সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।
সাংবাদিক মুসলিম উদ্দিন জানান, আমি বহুদিন ধরে উখিয়ায় সাংবাদিকতা করে আসছি। ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে এর আগেই থানা ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অবগত করেছিলাম। ঘটনার আধা ঘণ্টা আগে ওসিকেও থানায় গিয়ে এবং ফোনে জানিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, তাৎক্ষণিক কোনো সহযোগিতা পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে পুলিশের সহায়তা চাইতে হয়। এর পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। আমি বিষয়টি এসপি কক্সবাজারকেও অবহিত করেছি।মূলত জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষরা এ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। তবে, আজ সকালে ওসি সাহেব ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। আমার পরিবারকে টার্গেট করে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া, লুটপাট ও হত্যার চেষ্টা শুধু ব্যক্তিগত আক্রোশ নয় বরং সাংবাদিক সমাজকে ভয় দেখানোর একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনা। আমি এর সুষ্ঠু তদন্ত, জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য উচ্চপর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।