“এই হাসসোবাজার, হাসসোবাজার আইয়ো আইয়ো”- একসময় কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে চলাচল করা লোকাল মাইক্রোবাসে এভাবে ডেকে ডেকে যাত্রী তুলতেন হেলপার মাহমুদুল করিম খোকা।
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের টিএন্ডটি এলাকার মৃত ফকির আহমেদের ছেলে এই যুবক মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে ভয়ংকর মাদক ই’য়া’বার বদৌলতে তিনি বনে গেছেন অঢেল সম্পদের মালিক।
সীমান্ত ঘেষা অঞ্চলে বসবাসের সুবাদে মিয়ানমারের নাগরিক অসাধু রোহিঙ্গাদের যোগসাজশে স্থানীয় ১০/১৫ জন যুবক নিয়ে খোকা গড়ে তুলেন অবৈধ মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট।
প্রতিবেশী সহ স্থানীয়রা জানান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা কারবারি এই খোকাকে এখন নিজের এলাকায় দেখা পাওয়া দুঃসাধ্য।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খোকার এক প্রতিবেশী বলেন, ” খোকার উত্থান দেখে আমরা বিস্মিত, সে অল্প সময়ে কোটিপতি হয়ে গেছে। তাকে এখানে দেখা যায় না, ইয়াবা কারবার করে বলে শুনেছি।”
খোকার অবৈধ উপার্জনে গড়ে তোলা সম্পদ জব্দ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার (১ ডিসেম্বর) ওই আদেশ দিয়েছেন আদালত, একই সঙ্গে ওই সম্পদ দেখভালের জন্য রিসিভার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সুবেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, কক্সবাজারের সিনিয়র স্পেশাল জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদেশে খোকা সহ তিনজন মাদককারবারির সম্পদ জব্দ করা হয়েছে।
অন্য দুই মাদককারবারিরা হলেন- টেকনাফ উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ আলী।
খোকার স্থাবর সম্পদের মধ্যে কক্সবাজার শহরের ঝিলংজা মৌজায় ৫.৬ শতক নাল জমি এবং অস্থাবর সম্পদের মধ্যে আছে মিনিবাস ও মাইক্রোবাস।
আনুমানিক ৭২ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের এসব সম্পদের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দুদক।