ঢাকা ০৩:১৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক খালেদার সেবাসঙ্গী ফাতেমা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাত দিন শোক পালনের কর্মসূচি বিএনপির

ইনজুরি নিয়েই মাঠে নেইমার, গোল-অ্যাসিস্টে জয় পেল সান্তোস

সান্তোসের মেডিকেল টিম সাফ জানিয়ে দিয়েছিল—এ অবস্থায় মাঠে নামা যাবে না। তবু সব সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে ইনজুরি নিয়েই খেলতে নামলেন নেইমার। শুধু নামাই নয়, পুরো ৯০ মিনিট দাপিয়ে খেলে গোল ও অ্যাসিস্টে দলকে টেনে তুললেন অবনমন অঞ্চলের দুঃস্বপ্ন থেকে।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে ব্রাজিলিয়ান লিগে স্পোর্তকে ৩–০ ব্যবধানে হারায় সান্তোস। ঘরের মাঠে এ জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে নেইমার।

গত ২০ নভেম্বর মিরাসোলের বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ পায়ের হাঁটুর পুরনো মেনিস্কাস ইনজুরির ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। অস্ত্রোপচার করালে মৌসুম শেষ হয়ে যেত—এটা জানার পরও সে পথ নেননি ৩৩ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বারবার ইনজুরিতে ভোগা নেইমার এবার ঠিক করলেন ঝুঁকি নেবেন, খেলবেন।

ইএসপিএন ব্রাজিল জানায়, সান্তোসের চিকিৎসকরা তার মাঠে নামার বিপক্ষে ছিলেন। কিন্তু ইন্টারন্যাসিওনালের বিপক্ষে ডাগআউট থেকে দলের পয়েন্ট খোয়ানোর দৃশ্য দেখার পর পরিস্থিতি আর সহ্য করতে পারেননি নেইমার। দল তখন অবনমন জোনে। ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার তাগিদও যে আছে, তাও অস্বীকার করার উপায় নেই।

অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত—ইনজুরি নিয়েই মাঠে নামলেন নেইমার। শুরু থেকেই আক্রমণে ধরে রাখলেন স্পোর্ত রক্ষণভাগকে। ১২ মিনিটে তাঁর দারুণ পাস থেকেও গোলের দেখা পায়নি সান্তোস। পাঁচ মিনিট পর আবারো রুখে দেন স্পোর্ত গোলরক্ষক। কিন্তু ২৫ মিনিটে আর থামতে পারেননি নেইমার। গিলহের্মের পাস বক্সে নিয়েই চার ডিফেন্ডার ঘুরিয়ে লক্ষ্যে পাঠান জোরালো শট—সান্তোস পায় লিড।

৩৪ মিনিটে তাঁর নিখুঁত কোণাকুণি শট ঠেকিয়ে দেন স্পোর্ত গোলরক্ষক। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজেদের ভুলে দ্বিতীয় গোল খেয়ে বসে অতিথিরা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরও একবার নেইমারের শট রুখে দেন গ্যাব্রিয়েল।

দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট ধরে রাখে সান্তোস। ৬৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে নেইমারের তোলা কর্নার ছয় গজ দূরে পেয়ে হেডে জাল খুঁজে নেন জোয়াও শমিদ—৩–০।

৯০তম মিনিটে বদলি হয়ে যান নেইমার। ততক্ষণে ম্যাচ প্রায় নিশ্চিত। যোগ করা সময়ে আর কোনো গোল না হলেও সান্তোস ধরে রাখে বড় জয়।

এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে সান্তোসের ঝুলিতে ৪১ পয়েন্ট। অবনমন অঞ্চল থেকে উঠে এসেছে তারা। মৌসুমের শেষ দুই ম্যাচ জুভেনতুদে ও ক্রুইজেরোর বিপক্ষে—রেলিগেশন এড়াতে লড়াই এখনও বাকি।

সূত্র: ইত্তেফাক

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে

This will close in 6 seconds

ইনজুরি নিয়েই মাঠে নেইমার, গোল-অ্যাসিস্টে জয় পেল সান্তোস

আপডেট সময় : ০১:১৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৫

সান্তোসের মেডিকেল টিম সাফ জানিয়ে দিয়েছিল—এ অবস্থায় মাঠে নামা যাবে না। তবু সব সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে ইনজুরি নিয়েই খেলতে নামলেন নেইমার। শুধু নামাই নয়, পুরো ৯০ মিনিট দাপিয়ে খেলে গোল ও অ্যাসিস্টে দলকে টেনে তুললেন অবনমন অঞ্চলের দুঃস্বপ্ন থেকে।

শনিবার (২৯ নভেম্বর) ভোরে ব্রাজিলিয়ান লিগে স্পোর্তকে ৩–০ ব্যবধানে হারায় সান্তোস। ঘরের মাঠে এ জয়ের নায়ক নিঃসন্দেহে নেইমার।

গত ২০ নভেম্বর মিরাসোলের বিপক্ষে ম্যাচে বাঁ পায়ের হাঁটুর পুরনো মেনিস্কাস ইনজুরির ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাকে। অস্ত্রোপচার করালে মৌসুম শেষ হয়ে যেত—এটা জানার পরও সে পথ নেননি ৩৩ বছর বয়সী এই উইঙ্গার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বারবার ইনজুরিতে ভোগা নেইমার এবার ঠিক করলেন ঝুঁকি নেবেন, খেলবেন।

ইএসপিএন ব্রাজিল জানায়, সান্তোসের চিকিৎসকরা তার মাঠে নামার বিপক্ষে ছিলেন। কিন্তু ইন্টারন্যাসিওনালের বিপক্ষে ডাগআউট থেকে দলের পয়েন্ট খোয়ানোর দৃশ্য দেখার পর পরিস্থিতি আর সহ্য করতে পারেননি নেইমার। দল তখন অবনমন জোনে। ব্রাজিলের বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়ার তাগিদও যে আছে, তাও অস্বীকার করার উপায় নেই।

অবশেষে সেই সিদ্ধান্ত—ইনজুরি নিয়েই মাঠে নামলেন নেইমার। শুরু থেকেই আক্রমণে ধরে রাখলেন স্পোর্ত রক্ষণভাগকে। ১২ মিনিটে তাঁর দারুণ পাস থেকেও গোলের দেখা পায়নি সান্তোস। পাঁচ মিনিট পর আবারো রুখে দেন স্পোর্ত গোলরক্ষক। কিন্তু ২৫ মিনিটে আর থামতে পারেননি নেইমার। গিলহের্মের পাস বক্সে নিয়েই চার ডিফেন্ডার ঘুরিয়ে লক্ষ্যে পাঠান জোরালো শট—সান্তোস পায় লিড।

৩৪ মিনিটে তাঁর নিখুঁত কোণাকুণি শট ঠেকিয়ে দেন স্পোর্ত গোলরক্ষক। কিছুক্ষণের মধ্যেই নিজেদের ভুলে দ্বিতীয় গোল খেয়ে বসে অতিথিরা। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আরও একবার নেইমারের শট রুখে দেন গ্যাব্রিয়েল।

দ্বিতীয়ার্ধেও দাপট ধরে রাখে সান্তোস। ৬৭ মিনিটে বাঁ দিক থেকে নেইমারের তোলা কর্নার ছয় গজ দূরে পেয়ে হেডে জাল খুঁজে নেন জোয়াও শমিদ—৩–০।

৯০তম মিনিটে বদলি হয়ে যান নেইমার। ততক্ষণে ম্যাচ প্রায় নিশ্চিত। যোগ করা সময়ে আর কোনো গোল না হলেও সান্তোস ধরে রাখে বড় জয়।

এই জয়ে ৩৬ ম্যাচ শেষে সান্তোসের ঝুলিতে ৪১ পয়েন্ট। অবনমন অঞ্চল থেকে উঠে এসেছে তারা। মৌসুমের শেষ দুই ম্যাচ জুভেনতুদে ও ক্রুইজেরোর বিপক্ষে—রেলিগেশন এড়াতে লড়াই এখনও বাকি।

সূত্র: ইত্তেফাক