বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ। ১৯৮০ সাল থেকে প্রতিবছর ২৭ সেপ্টেম্বর দিবসটি পালন করে আসছে জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য “পর্যটন এবং টেকসই রুপান্তর।
পর্যটন দিবস উপলক্ষে দেশের অন্যতম পর্যটক গন্তব্য কক্সবাজারে নেয়া হয়েছে নানান উদ্যোগ। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে থাকছে ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টায় শোভাযাত্রা, সৈকত পরিচ্ছন্নতা অভিযান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে পর্যটন সংশ্লীষ্ট সেবা প্রদানে ছাড়ের ব্যবস্থা থাকবে বলে জানা গেছে।
ঢাকা থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে আসা পর্যটক ইমরান হোসেন (৩৮) জানান,অভ্যন্তরীন পর্যটক নয়, আকৃষ্ট করতে হবে বিদেশী পর্যটক। তাতেই দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। তবে সে লক্ষ্যে আগে কক্সবাজারকে প্রস্তুত করতে হবে।
চট্টগামের আগ্রাবাদ থেকে আসা পর্যটক নাসরিন আক্তার (৪২) বলেন,কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত দেশের নয় পুরো পৃথিবীর সম্পদ, কিন্তু সৈকতে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা, হকার আর ক্যামেরম্যানদের উৎপাত এসবের কারণে আকর্ষণ হারাবে এ পর্যটন স্পট। প্রশাসনের উচীত এদিকে নজর দেয়া।
অন্যদিকে অচিরেই চালু হতে যাচ্ছে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। যার মধ্যদিয়ে পর্যটনখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে ধারণা করা হলেও, আন্তর্জাতিকমানের পর্যটন সেবা,পর্যটকদের বিনোদনের পর্যাপ্ত সুযোগ তৈরী না হলে তা কোনো সুফল বয়ে আনবে না, এমনই বলছেন বিশ্লেষকেরা।
পর্যটন বিশেষজ্ঞ জে হাসানের মতে,পর্যটনের নামে হু হু করে বাড়ছে ইমারত নির্মান। পাচঁশোর বেশী হোটেল মোটেল গেস্টহাউজ গড়ে উঠেছে, সেবা বা সার্ভিস নয় মুনাফাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। এভাবে ইট আর কংক্রিটের বস্তি বানিয়ে পর্যটন আগাবেনা। পর্যটনকে ঘিরে মহাপরিকল্পনা হাতে নিতে হবে যা হবে বাস্তবায়নযোগ্য ও টেকসই আর নিশ্চিত করতে হবে বিশ্বমানের পর্যটন সেবা।
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে,তাতে কক্সবাজারের পর্যটনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বলে নানা সুত্রে জানা গেছে। তবে তা নিয়ে আরো স্পষ্টীকরণ জরুরি বলে মতামত পর্যটন সংশ্লীষ্টদের।