২০২৪ সালের ১০ ডিসেম্বর, গণমাধ্যমে খবর আসে মিয়ানমারের রাখাইন প্রান্তে বাংলাদেশ লাগোয়া ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে আরকান আর্মি।
ঘটনার একবছর অতিক্রান্ত হলেও এখনো সংঘাত অব্যাহত আছে, বলার মত কোন ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি সামগ্রিক প্রেক্ষাপট জুড়ে।
তবে রাখাইনকে এক প্রকার রোহিঙ্গা শূন্য করার তৎপরতা জানান দিচ্ছে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান, সংঘাতের ফল হিসেবে নতুন করে আরো দেড় লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রিত হিসেবে পেয়েছে বাংলাদেশ।
আরকান আর্মি ১৪ টি টাউনশিপে কর্তৃত্ব স্থাপনের দাবী করে আসছে, কিন্তু জান্তার প্রত্যাঘাতে কয়েকটিতে তাদের এখন বেগতিক অবস্থা। আর গুরুত্বপূর্ণ ৩টি টাউনশিপের নাগাল পেতেই হিমশিম খাচ্ছে তারা।
আধিপত্য কায়েমের পর প্রায় চারশ জেলেকে নাফ নদী থেকে তুলে নিয়ে গেছে ইউনাইটেড লিগস অফ আরকানের এই সামরিক শাখা।
‘জেলেধরা’ বাহিনি হিসেবে টেকনাফের জেলেপল্লীতে তারা আতংকের নামে পরিণত হয়েছে, যেখানকার প্রায় দুশতাধিক জেলে এখনো ওপারে বন্দী।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে কোন সুসংবাদের দেখা নেই, শুধু আছে রাখাইনে নিপীড়িত জনগোষ্ঠীটির উপর অত্যাচার বৃদ্ধির খবর।
এখন দেখার বিষয়, রাখাইনে শান্তি কি আদৌ ফিরে আসবে নাকি অন্যকোন নতুন দুঃসংবাদ আসতে চলেছে সামনের দিন গুলোতে?
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: 

























