ঢাকা ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক খালেদার সেবাসঙ্গী ফাতেমা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি

আগামী দশ দিন মুখরিত থাকছে কক্সবাজার, আসবে ৫ লাখের বেশি পর্যটক

দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে আছে পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার।

ছুটির দিন না হলেও রবিবার (২১ ডিসেম্বর)  সকাল থেকেই সৈকতের লাবণী,সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সৈকতের বালুকাবেলায় নিজেদের মতো অবকাশ যাপনে সময় পার করছেন আগত পর্যটকেরা।

পাবনা ঈশ্বরদী থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক আলিমুর রহমান জানালেন, ‘ কক্সবাজারের সৌন্দর্য বরাবরই উপভোগ্য, শীতের সময় এই সমুদ্র তীরের শহর আরো নান্দনিক হয়ে উঠে। পরিবার নিয়ে সকালেই এলাম, তিন থাকবো এখানে।’

রুমের ভাড়া সহ অতিরিক্ত খরচের কারণে দুর্ভোগে পড়ার কথার জানিয়েছেন কিছু পর্যটক।

গাজীপুরের সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ আমরা ৮ বন্ধু এসেছি ঘুরতে, একটা হোটেলে গিয়েছিলাম প্রতি রুম চার হাজার টাকা চেয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া দাবী করা হচ্ছে, প্রশাসনের এসবে নজর রাখা উচিত।’

জানা গেছে, শহরের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলের অধিকাংশতেই এখন মিলছে না রুম এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আছে অগ্রিম বুকিং। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মনে করছেন চলতি বছরের শেষ দশদিনে কক্সবাজারে প্রায় ৫ লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে।

হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘ প্রতিদিন প্রায় দেড় লক্ষাধিক পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে শহরের আবাসিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বছরের শেষ দিকে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের ছুটি এবং এর পরের দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায়  পর্যটকের চাপ থাকবে। মৌসুমের শুরুতে কম থাকলেও আগামী কয়েক দিনে বিপুল পরিমাণ পর্যটক আসবে, ইতিমধ্যে প্রায় সব রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।’

তিনি জানান, ‘ অতিরিক্ত ভাড়া যেন চাওয়া না হয় সেজন্যে হোটেল মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের একাধিক টিম মাঠে আছে আমরা তাদের সহযোগিতা করছি।’

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘ আমরা পর্যটনের মৌসুমের শুরু থেকেই বাড়তি তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। কোনভাবেই পর্যটকদের হয়রানি করা যাবেনা, অভিযোগ পেলেই গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত হেল্পলাইন- ০১৩২০১৬০০০০ নাম্বারে যোগাযোগ করলে টুরিস্ট পুলিশের সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানান আপেল মাহমুদ।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে

This will close in 6 seconds

আগামী দশ দিন মুখরিত থাকছে কক্সবাজার, আসবে ৫ লাখের বেশি পর্যটক

আপডেট সময় : ০৩:৫৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে আছে পর্যটন রাজধানী খ্যাত কক্সবাজার।

ছুটির দিন না হলেও রবিবার (২১ ডিসেম্বর)  সকাল থেকেই সৈকতের লাবণী,সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। পরিবার-পরিজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সৈকতের বালুকাবেলায় নিজেদের মতো অবকাশ যাপনে সময় পার করছেন আগত পর্যটকেরা।

পাবনা ঈশ্বরদী থেকে ঘুরতে আসা পর্যটক আলিমুর রহমান জানালেন, ‘ কক্সবাজারের সৌন্দর্য বরাবরই উপভোগ্য, শীতের সময় এই সমুদ্র তীরের শহর আরো নান্দনিক হয়ে উঠে। পরিবার নিয়ে সকালেই এলাম, তিন থাকবো এখানে।’

রুমের ভাড়া সহ অতিরিক্ত খরচের কারণে দুর্ভোগে পড়ার কথার জানিয়েছেন কিছু পর্যটক।

গাজীপুরের সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘ আমরা ৮ বন্ধু এসেছি ঘুরতে, একটা হোটেলে গিয়েছিলাম প্রতি রুম চার হাজার টাকা চেয়েছে। অতিরিক্ত ভাড়া দাবী করা হচ্ছে, প্রশাসনের এসবে নজর রাখা উচিত।’

জানা গেছে, শহরের ৫ শতাধিক হোটেল-মোটেলের অধিকাংশতেই এখন মিলছে না রুম এবং ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আছে অগ্রিম বুকিং। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা মনে করছেন চলতি বছরের শেষ দশদিনে কক্সবাজারে প্রায় ৫ লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে।

হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘ প্রতিদিন প্রায় দেড় লক্ষাধিক পর্যটক থাকার ব্যবস্থা রয়েছে শহরের আবাসিক প্রতিষ্ঠানগুলো। বছরের শেষ দিকে ২৫ ডিসেম্বর বড়দিনের ছুটি এবং এর পরের দুইদিন সাপ্তাহিক ছুটি থাকায়  পর্যটকের চাপ থাকবে। মৌসুমের শুরুতে কম থাকলেও আগামী কয়েক দিনে বিপুল পরিমাণ পর্যটক আসবে, ইতিমধ্যে প্রায় সব রুম অগ্রিম বুকিং হয়ে গেছে।’

তিনি জানান, ‘ অতিরিক্ত ভাড়া যেন চাওয়া না হয় সেজন্যে হোটেল মালিকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের একাধিক টিম মাঠে আছে আমরা তাদের সহযোগিতা করছি।’

টুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার রিজিয়নের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘ আমরা পর্যটনের মৌসুমের শুরু থেকেই বাড়তি তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি। কোনভাবেই পর্যটকদের হয়রানি করা যাবেনা, অভিযোগ পেলেই গুরুত্ব দিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত হেল্পলাইন- ০১৩২০১৬০০০০ নাম্বারে যোগাযোগ করলে টুরিস্ট পুলিশের সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানান আপেল মাহমুদ।