প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘ বাংলাদেশ দুনিয়ার বড় মাঠে খেলার খেলোয়াড়, ছোট মাঠে খেলার খেলোয়াড় না। স্বপ্নের ও সাধের বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে দলবদ্ধ খেলোয়াড় হিসেবে খেলতে হবে। ‘
গত ১৭ মার্চ (সোমবার) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশের সাথে বৈঠকে এই মন্তব্যের মাত্র একদিনের মাথায় ১৮ মার্চ গণমাধ্যমের শিরোনামে এলো আলোচিত এক খবর।
রোহিঙ্গাদের বিতর্কিত সশস্ত্র সংগঠন আরকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি’র প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
দশ সহযোগী সহ র্যাবের হাতে নারায়ণগঞ্জে আটক হওয়া জুনুনি’র ১০ দিন রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত।
এর আগে ১৩ মার্চ বাংলাদেশে সফরে আসেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস।
পরদিন ১৪ মার্চ ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুতেরেসকে নিয়ে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে লাখো রোহিঙ্গাদের নিয়ে ইফতার করেন।
ইফতার পরবর্তী ভাষণে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নিজ দেশে ফিরতে মুখিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের ইউনূস আশ্বস্ত করেন এবার না হলেও আগামী ঈদে বাড়ি ফিরতে পারবে আশ্রিতরা।
ইউনূস বলেন, “আপনারা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিবকে যে অনুরোধ জানিয়েছেন, আমরা তা গুরুত্বের সঙ্গে তার কাছে উপস্থাপন করছি। আপনাদের যত দ্রুত সম্ভব নিজ দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করা যায়, আমরা নিরলসভাবে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি”।
গুতেরেসও সেসময় তাঁর বক্তব্যে বাংলাদেশের উদারতা’কে ধন্যবাদ জানান এবং রোহিঙ্গাদের ধৈর্য রাখার আহবান জানিয়ে এই সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি জোরালো ভাবে এই বিষয়টি বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরবো যে- এখানে জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা দরকার’।
সাবেক পর্তুগিজ প্রধানমন্ত্রী গুতেরেস এছাড়াও যাওয়ার বেলায় রাখাইনের জন্য বাংলাদেশের কাছে ‘মানবিক করিডোর’ প্রত্যাশা করেছেন ।
অন্যদিকে আতাউল্লাহ যখন গ্রেফতার হলো তখন বাংলাদেশে দুই দিনের সফরে এসে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটর গ্যারি চার্লস পিটার্স।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন তিনি। সাক্ষাৎকালে পারস্পরিক কুশল বিনিময়ের পাশাপাশি তাঁরা পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়ন এবং উভয় দেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন বলে জানা গেছে।
এবছর রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশে একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে, সব মিলিয়ে বলা চলে এই ইস্যু ঘিরে জোরেশোরে তৎপরতা চলছে।