ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫, ২৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
তিন দিনের রিমান্ডে আরসা প্রধান জুনুনি কক্সবাজারে এক ঘন্টার বৃষ্টি পুরো সপ্তাহের সর্বোচ্চ রেকর্ড ভুটানকে বাংলাদেশের সব অবকাঠামোগত সুবিধা নেওয়ার পরামর্শ প্রধান উপদেষ্টার কক্সবাজারে এক ঘন্টার বৃষ্টি পুরো সপ্তাহের সর্বোচ্চ রেকর্ড চকরিয়ায় পুলিশের ওপর হামলা করে ছিনিয়ে নেয়া আসামী সাজ্জাদ গ্রেফতার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলির নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা: ফাঁস হওয়া অডিওর সত্যতা পেয়েছে বিবিসি ফেনীতে আকস্মিক বন্যা, দুই নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে ভেসে উঠলো সাগরে নিখোঁজ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থীর মরদেহ রাত ১টার মধ্যে সাত অঞ্চলে ঝড়ের আভাস যে পদ্ধতিতে জানা যাবে এসএসসি পরীক্ষার ফল তাসনীম জারাকে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য: চাকরি থেকে বরখাস্ত মহেশখালী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের কর্মচারী বিপদসীমার কাছাকাছি মাতামুহুরি ও বাঁকখালীর পানি ২১ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে সাবেক এমপি জাফর চার বিভাগে অতিবৃষ্টি ও সাত জেলায় ঝড়ের শঙ্কা উখিয়ায় যুবলীগ নেতার মরদেহ পড়ে ছিলো ডোবায়

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়া এক ভয়াবহ বিপর্যয়- জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়া এক ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একারণে মানুষ কষ্ট পাবে, মানুষ মারা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উখিয়ার ২০ নম্বর ক্যাম্প এক্সটেনশনে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার অনুষ্ঠানে রমজান সংহতি সফর উপলক্ষে রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা এক গভীর মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। তহবিল সংকটের কারণে ২০২৫ সালে শুধুমাত্র ২০২৪ সালের তুলনায় ৪০% সহায়তা পাওয়া যাবে। এটি হবে এক ভয়াবহ বিপর্যয় – মানুষ কষ্ট পাবে, মানুষ মারা যাবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবশ্যই এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এই সংকটে যারা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব।

এসময় তিনি আরও বলেন, এমনিতেই শরণার্থীদের জন্য সহায়তা যথেষ্ট ছিল না, আর এখন আমরা ভয়াবহ বাজেট সংকটের মুখে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও বিভিন্ন মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো মারাত্মক তহবিল সংকটের সম্মুখীন। এটি সরাসরি মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা ও মৌলিক সেবার উপর প্রভাব ফেলবে। এই ক্যাম্পের প্রতিটি শরণার্থী মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।কক্সবাজার বাজেট সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এখানে তহবিল সংকোচন মানেই মানুষের দুর্ভোগ ও মৃত্যু।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, চূড়ান্ত সমাধান অবশ্যই মিয়ানমারেই খুঁজতে হবে।আমরা কখনও হাল ছাড়বো না যতদিন না রোহিঙ্গারা নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছামূলকভাবে তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারে। এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব গ্রহণের সময়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সংহতি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন – ঠিক যেমন প্রয়োজন বাংলাদেশের প্রতি সংহতি।

এদিকে আগামী বছর ঈদ যেন রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারের রাখাইনে উদযাপন করতে পারে সেজন্য জাতিসংঘের সঙ্গে মিলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের উপস্থিতিতে তিনি এ কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ইউনূস চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য রাখেন।

ট্যাগ :

তিন দিনের রিমান্ডে আরসা প্রধান জুনুনি

This will close in 6 seconds

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়া এক ভয়াবহ বিপর্যয়- জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস

আপডেট সময় : ১১:১৪:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা কমিয়ে দেওয়া এক ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। একারণে মানুষ কষ্ট পাবে, মানুষ মারা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উখিয়ার ২০ নম্বর ক্যাম্প এক্সটেনশনে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার অনুষ্ঠানে রমজান সংহতি সফর উপলক্ষে রোহিঙ্গাদের উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমরা এক গভীর মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। তহবিল সংকটের কারণে ২০২৫ সালে শুধুমাত্র ২০২৪ সালের তুলনায় ৪০% সহায়তা পাওয়া যাবে। এটি হবে এক ভয়াবহ বিপর্যয় – মানুষ কষ্ট পাবে, মানুষ মারা যাবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবশ্যই এখনই পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। এই সংকটে যারা সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব।

এসময় তিনি আরও বলেন, এমনিতেই শরণার্থীদের জন্য সহায়তা যথেষ্ট ছিল না, আর এখন আমরা ভয়াবহ বাজেট সংকটের মুখে। জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ও বিভিন্ন মানবিক ও উন্নয়ন সংস্থাগুলো মারাত্মক তহবিল সংকটের সম্মুখীন। এটি সরাসরি মানুষের খাদ্য, চিকিৎসা ও মৌলিক সেবার উপর প্রভাব ফেলবে। এই ক্যাম্পের প্রতিটি শরণার্থী মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।কক্সবাজার বাজেট সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এখানে তহবিল সংকোচন মানেই মানুষের দুর্ভোগ ও মৃত্যু।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, চূড়ান্ত সমাধান অবশ্যই মিয়ানমারেই খুঁজতে হবে।আমরা কখনও হাল ছাড়বো না যতদিন না রোহিঙ্গারা নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও স্বেচ্ছামূলকভাবে তাদের জন্মভূমিতে ফিরে যেতে পারে। এখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দায়িত্ব গ্রহণের সময়। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রতি সংহতি এখন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি প্রয়োজন – ঠিক যেমন প্রয়োজন বাংলাদেশের প্রতি সংহতি।

এদিকে আগামী বছর ঈদ যেন রোহিঙ্গারা নিজ দেশ মিয়ানমারের রাখাইনে উদযাপন করতে পারে সেজন্য জাতিসংঘের সঙ্গে মিলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার শেষে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের উপস্থিতিতে তিনি এ কথা বলেন। রোহিঙ্গাদের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য ইউনূস চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় বক্তব্য রাখেন।