আশ্রিত রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক বরাদ্দ আগামী এপ্রিল থেকে জনপ্রতি সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলার করতে হবে জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সম্প্রতি এক বিবৃতি প্রকাশ করে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি)।
বাংলাদেশে ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কাল্পেলি ঐ বিবৃতিতে বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট বিশ্বের বৃহত্তম ও দীর্ঘস্থায়ী সংকটগুলোর একটি। বাংলাদেশে বসবাসরত রোহিঙ্গারা পুরোপুরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল।’
বিবৃতি’র কিছুদিন পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আসেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস সহ লাখো রোহিঙ্গার ইফতারে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা চেয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
১৯ মার্চ (বুধবার) থেকে খবর পাওয়া যাচ্ছে, রোহিঙ্গাদের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ কমাচ্ছে না বিশ্ব খাদ্য সংস্থা। এবিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসলেও রোহিঙ্গারা অনেকেই কৃতজ্ঞতা জানাতে শুরু করেছেন।
রোহিঙ্গা যুব অধিকারকর্মী মুজিবুর রহমান বলেন, ‘এপ্রিল মাসে আগের মতোই নিয়মিত ১২ ডলার রেশন দিবে ডব্লিউএফপি, অব্যাহত সমর্থনের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।আশা করছি শীঘ্রই এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।’
এখন দেখার বিষয় মানবিক এই সংকটে সহায়তার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের নিজেদের দেশে ফিরতে কতটা ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়?