শহিদুল ওয়াহিদ সাহেদকে আহ্বায়ক, সাগর উল ইসলামকে সদস্য সচিব ও জিনিয়াকে মুখপাত্র করে বড় পরিসরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কক্সবাজার কমিটি প্রকাশিত হওয়ার এক ঘন্টার মধ্যেই সংগঠনটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর কক্সবাজার জেলাসহ বেশ কয়েকটি জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর কমিটি প্রকাশিত হয় ১৯ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) দিবাগত রাতে।
কক্সবাজারের কমিটি প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথেই ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় পদপ্রাপ্ত ও পদবঞ্চিতদের মাঝে।
প্রকাশের পঁচিশ মিনিটেই সদস্য পদ পাওয়া আতহার সাকিফ তাঁর ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেন “
হাসনাত আবদুল্লাহ এর ‘মাই ম্যান পলিসি’ দিয়ে চাঁদাবাজদের সম্মুখ সারিতে রেখে আন্দোলনে সমন্বয়ে কাজ করা শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে সদ্য প্রকাশিত কক্সবাজার জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর কমিটি থেকে পদত্যাগ করলাম “।
এছাড়াও তিনি আরো লিখেন, “কক্সবাজার জানে দীর্ঘ সময়ের ফ্যাসিবাদ বিরোধী কারা একইসাথে কক্সবাজার এটাও জানে সমন্বয়ক নাম দিয়ে চাঁদাবাজি করেছে কারা ।
হাসনাত আব্দুল্লাহ ভাই ভালো খেলেছেন, তবে কিসের স্বার্থে বা কিসের বিনিময়ে এই ধরনের নোংরা খেলা খেলেছেন জানতে পারলে খুশি হবো।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্রধান কমিটির সহ – সমন্বয়ক নুরুল ইসলাম নাহিদ ও একই সময়ে ফেইসবুকে পোস্ট দিয়ে লিখেন ” বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৭ জুলাই প্রকাশিত কমিটির ১৯নং সহ সমন্বয়ক, ৩ আগষ্ট বর্ধিত কমিটির ৩নং সহ সমন্বয়ক এবং সমাজকল্যাণ সেলের ১নং সদস্য সহ বৈষম্য বিরোধীছাত্র আন্দোলনের সকল পর্যায়ের কর্মকাণ্ড থেকে স্বেচ্ছায় স্ব জ্ঞানে পদত্যাগ করছি।”
নব্য ফ্যাসিষ্টদের হাতে এই সংগঠন কুক্ষিগত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি লিখেন ” আমি তো অসহায়, আল্লাহকে বিচার দিলাম,। আর কিছু বলার নেই!”
তিনি কমেন্টে যুক্ত করে বলেন, “আমি লজ্জিত কক্সবাজারের বিপ্লবীদেরকে আমি মূল্যায়ন করতে পারিনি। আপনারা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েন।”
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আরও সাঈদ স্বাধীনসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র প্রতিনিধি এই সদ্য প্রকাশিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি থেকে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন ফেইসবুকে।