কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ৮টায় প্রধান ঈদ জামাত শুরু হয়। এরপর মোনাজাতের মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন হয়। দ্বিতীয় ঈদ জামাত শুরু হয় সকাল ৯টায়।
প্রধান জামাতে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ জেলার প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এবং প্রায় ৮ হাজার মুসল্লি।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন বলেন,
“কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান থেকে পুরো দেশবাসী এবং কক্সবাজার জেলাবাসীকে ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানাই। ঈদ মোবারক। আমরা দীর্ঘ এক মাস যে সিয়াম সাধনার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ করেছি, তা যদি ধরে রাখতে পারি, তবে তা ব্যক্তিগত, সামাজিক, পারিবারিক, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সফলতা বয়ে আনবে।”
প্রথম জামাতে ইমামতি করেন কক্সবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ (বর্তমানে মডেল জামে মসজিদ)-এর দীর্ঘ ৩৪ বছরের খতিব আল্লামা মাহমুদুল হক। দ্বিতীয় জামাতে ইমামতি করেন কক্সবাজার মডেল জামে মসজিদের ইমাম ও কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি সোলাইমান কাসেমী।
ঈদের খুতবায় খতিব আল্লামা মাহমুদুল হক বলেন,
“মোনাজাতে পুরো বিশ্বের শান্তি কামনায় দোয়া করা হয়েছে। গাজাবাসীরা যেন শান্তিতে থাকতে পারে এবং স্বাধীন ফিলিস্তিন যেন প্রতিষ্ঠিত হয়, সে জন্যও দোয়া করা হয়েছে।”
নিরাপত্তা ব্যবস্থা:
কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ৫টি গেট দিয়ে মুসল্লিরা প্রবেশ করেন। ঈদের জামাত উপলক্ষে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে ছিলেন। অসুস্থ মুসল্লিদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়। স্টেডিয়াম, স্টেডিয়ামের দক্ষিণ পাশের রোড, হাসপাতাল সড়ক ও জেলা পরিষদ মোড়ে আর্চওয়ে (নিরাপত্তা গেট) স্থাপন করা হয়। কক্সবাজার জেলা পুলিশের উদ্যোগে দুই স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ৩০০ মুসল্লি একসাথে অজু করতে পারেন, এমন ব্যবস্থা করা হয়।
সুবিধা ও ব্যবস্থাপনা:
কক্সবাজার পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, মুসল্লিদের জন্য পর্যাপ্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কথা বিবেচনা করে প্যান্ডেলে ১১০টির বেশি ফ্যান, ১৫টি স্ট্যান্ড ফ্যান এবং ১৫টি এয়ার কুলার স্থাপন করা হয়। ৫টি গেট দিয়ে প্রবেশের সময় প্রতিটি মুসল্লিকে আতর, ৫০০ মি.লি. মিনারেল পানি, খেজুর এবং টিস্যু উপহার দেওয়া হয়।