বিবৃতি
আমি আতাউল্লাহ সিদ্দিকী। পিতা- বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন। সাং -মহেশখালী, কক্সবাজার।
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংঝা মৌজার আরএস ১২২৪ /২০৪ খতিয়ান ও এমআরআর ১৩৬০ নং ও বিএস ২০০৩ নং খতিয়ানের ২০০০৩ নং দাগের ১ একর ১০ শতক জমি সায়রা খাতুনের নামে চূড়ান্ত প্রচার রয়েছে। ২০১৮ সালে ১৩৪৭ নং কবলা মূলে আমার নিকট আত্মীয় সায়রা খাতুন হইতে আমি অফেরতযোগ্য পাওয়ার অফ এটর্নি মূলে খরিদ করি।
একই সনে খরিদকৃত উক্ত জমি হইতে আমি নাজনীন সরওয়ার কাবেরীকে ত্রিশ শতক জমি বায়না রেজিস্ট্রি দেই এবং আরও কয়েকজন ব্যবসায়ী ব্যক্তিবর্গ কয়েক দফায় আমার কাছ হইতে জমি বায়না রেজিষ্ট্রি গ্রহণ করেন। এর পরবর্তীতে বানিজ্যিক এলাকায় মূল্যবান জমি বিধায় আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি স্বার্থ নষ্ট না হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে তৎকালীন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ‘জনাব মোহাম্মদ কামালউদ্দীন’ লিখিত প্রতিবেদন সহকারে তৎকালীন ভূমিকর্মকর্তা জনাব নাজিমউদ্দীন এক একর দশ শতক জমি আমাদের মেপে দেন। এরপর আমি এবং জমির বায়না রেজিস্ট্রির মাধ্যমে মালিকানা প্রাপ্ত অংশিগন এখানে দোকানপাট নির্মাণ করি। আমি উক্ত জায়গায় শুটকি বাজার ও জমির গ্রহীতা নাজনীন সরওয়ার কাবেরী যথাক্রমে “স্বপ্ন” ও “টং” নামক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ ও ব্যবসা পরিচালনা করেন।
২০২২ সালে কক্সবাজারের সৈনিক লীগের নেতা নামধারী ওবায়দুল হাসান, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা এডভোকেট একরাম, এডভোকেট নুরুল হক ও যুবলীগ নেতা মোনাফ সিকদার বিশাল টাকা পয়সা লেনদেনের মাধ্যমে প্রশাসনের একাংশের সহযোগিতায় আমাকে কয়েকটি মিথ্যা মামলার আসামী বানিয়ে গ্রেফতার করে। উক্ত মিথ্যা মামলায় আমি প্রায় দেড় বছর হাজত বাস করি এবং ঐসময় তারা আমার শুটকি বাজার খানা দখল করে “বাঁকখালী শুটকি মার্কেট” নামকরণ করে।
কক্সবাজারের বুকে এই এক বিশাল ভূমিদস্যূ সিন্ডিকেটের তান্ডবে আমার পরিবারের প্রত্যেক সদস্য মৃত্যূর হুমকিতে থাকেন। আমার সন্তানরা টানা দুবছর পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত হয়। জেল থেকে বের হয়ে আমি নাজনীন সরওয়ার কাবেরী ও সচেতন মহলের সহযোগিতায় সাংবাদিক সম্মেলনও করি। কিন্তু তৎকালীন সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল সহ বহু নেতার সহযোগিতা চেয়েও আমি ভূমিদস্যু ওবায়দুল হাসান গংয়ের হাত থেকে আমার জমি উদ্ধার পাইনি। বরং ক্ষমতাধরদেরকে জমি ফ্রী দেওয়ার উসিলায় হাত করে রেখেছিল এই ওবায়দুল হাসান। ৫ই আগস্ট ২০২৪ সাল থেকে কক্সবাজার বাসী দেখলেন তারা শুধুমাত্র আমার খতিয়ান জায়গা দখল করেও ক্ষান্ত নয়। উক্ত ভূমিদস্যু ওবায়দুল হাসান নতুন করে বিএনপি’র নাম ব্যবহার পূর্বক (সাচ্চিনানন্দ্র নামক) জাল জালিয়ত খতিয়ান তৈরী করে সুগন্ধা’য় বিশাল সরকারি জমি দখলে মরিয়া হয়ে প্রশাসনের শত বাঁধা তোয়াক্কা না করে শত শত দোকান নির্মাণ কাজ চালিয়ে আসছে। সাচ্চিননান্দ্র নামধারী ব্যক্তিটিকে কক্সবাজারের কেউ পূর্বে কখনো দেখেনি। তার ছবি ও নাম ব্যবহার করে আমার খতিয়ান জমি কেড়ে নেওয়া ওবায়দুল হাসান গংয়ের মূলত এটি একটি বিশাল কারসাজি। ইতিপূর্বে এই গং কউক চেয়ারম্যানের কাছে ভূমি ব্যবহারের ছাড়পত্র চাওয়াতে বেরিয়ে আসে ভূমি জালিয়াতির নগ্ন হস্তক্ষেপের করুণ কাহিনী, যেখানে এই জালিয়াতির বিরুদ্ধে কক্সবাজারের ভূমি কর্মকর্তা বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা করেছেন। এবং আমি দূদকে অভিযোগ দিয়েছি আমার জমি দখলের বিরুদ্ধে। উলটো এই জালিয়াতিকাতি গং আমাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও ভূমি আইনে অভিযোগ দিয়েছে।
আমি আশাবাদী সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সত্য প্রকাশিত হবে অত্যন্ত সন্নিকটে। সাচ্চিনানন্দ্র নামক অজানা ব্যক্তির উদ্ভট কাগজপত্র সম্পূর্ণ ভিত্তিহীণ এরই মধ্যে তার প্রমাণও সরকারের হাতে এসেছে। সরকারি সম্পত্তি এই দখলবাজ চক্রের হাত থেকে মুক্ত করার সাথে সাথে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে আর্জি যথাযথ নথি প্রমাণাদীর প্রমাণ সাপেক্ষে আমার মালিকানাধীন জমি খানা উক্ত ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের হাত থেকে অবমুক্ত করে আমি ও আমার পরিবার কে বাঁচবার সুযোগ প্রদান করলে, আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকিবো।
কাবেরীর বক্তব্য
দেখুন কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে ভূমিদস্যূতা ও যেকোন অনিয়মের বিরুদ্ধে আমার অবস্হান অত্যন্ত প্রমাণিত। অথচ কিছু মিডিয়া না জেনে আমার প্রসঙ্গে কলাতলি জমি দখল করেছি বলে প্রচার করেন।রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার আগে থেকে আমি একজন ব্যবসায়ী। সুগন্ধা কলাতলিতে ২০১৮ সালে আমি ২০০০৩ দাগের বি এস ২০০৩ খতিয়ানের ত্রিশ শতক জমি জনাব আতাউল্লাহ সিদ্দিকীর কাছ থেকে কক্সবাজার সাবরেজিস্টার অফিসের মাধ্যমে বায়না রেজিস্ট্রি করি।যা হাল সন নাগাদ ভূমি কর পরিশোধিত।আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব কামাল উদ্দীন সরকারি স্বার্থ নস্ট না হওয়ার বিষয়টি মাথায় রেখে উক্ত জমি আমাকে ও আতাউল্লাহ সিদ্দিকী কে প্রতিবেদন সহকারে অবস্হান পরিমাপ করে দেন।সেখানে আমি ব্যবসা পরিচালনা করছি।২০২২সালে ওবায়দুল হাসান নামক চিহ্নিত ভূমিদস্যু জমির মালিক আতাউল্লাহ কে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় জর্জরিত করে জেলে রেখে তার জমি দখল করে।কক্সবাজারের ক্ষমতাধর কিছু ব্যক্তির রাজনৈতিক আশ্রয়ে এখানে এই ভূমিদস্যু সিন্ডিকেট বলিয়ান ছিল।কিন্তু আমার জমি কেড়ে নেওয়ার সাহস তাদের ছিলনা।সাচ্চিনানন্দ্র নাম দিয়ে ভূমিদস্যুরা আমার মালিকের জমি পরে ও পরে সরকারি খাস জমি দখল করে।আশা করি অতিদ্রুত দখল হওয়া জমি যথাযথ মালিকের পক্ষে ফিরে আসবে ।এ বিষয়ে আমি ও আতাউল্লাহ চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়ও দূদক কে লিখিত আবেদন জানিয়েছি।জেলা প্রশাসক মহোদয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্হা নিলে কৃতজ্ঞ থাকব।