ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
পুলিশের অসহযোগীতার অভিযোগ ভুক্তভোগীর ডাকাত শাহীনের ‘ক্যাশিয়ার’ ইকবালসহ র‍‍্যাবের হাতে দু’জন গ্রেফতার এসএসসিতে সাফল্য ধরে রেখেছে কুতুবদিয়া মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ পায়ুপথে ইয়াবা পাচার: বিএনপি নেতা আটক পাঁচ পুলিশ সদস্য ক্লোজড “আমার ছেলেটা বুকে ফিরে আসুক” উখিয়ার ইউপি সদস্য কামাল হত্যা: বিএনপি নেতাসহ ৮ জনের নামে হত্যা মামলা উখিয়ায় দোকানদার কর্তৃক নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি, থানায় মামলা ডাকাত শাহীনের সহযোগী গর্জনিয়ার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাহাঙ্গীর র‍‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার নিখোঁজের ৩ দিন পর নাইক্ষ্যংছড়ির বিবিশন বড়ুয়ার লাশ মিললো খালে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকানের ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: পুলিশ রাজসাক্ষী হিসেবে সহায়তার শর্তে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করেছে ট্রাইব্যুনাল পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ছুটিতে পাঠিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে জানান কাঠমান্ডুগামী বিমানে বোমা

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি দুর্নীতি মামলায় কারাগারে

মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কক্সবাজার জেলা জজ আদালত।

রোববার( ৯ ফেব্রুয়ারি) ১২ টা দিকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালত এই নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ। কক্সবাজার জেলা জজ আদালত আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মামলার বাদী এ কে এম কায়সারুল ইসলাম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাতারবাড়ীর বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। মামলার পরপরই ১ নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নথিপত্র পাঠান তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার।

পরে মামলার বাদী হয়ে এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী মামলার নথি জালিয়াতি অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন আদালতে কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এর পর ২৩ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা জজ আদালত জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এই মামলার সাবেক ডিসি রুহুল আমিন আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকী তিন আসামি সাবেক কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ জামিনে রয়েছে। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী পালাতক রয়েছে

কক্সবাজার মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমি, চিংড়িঘেরসহ বিভিন্নখাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ বরাদ্দ করা হয় ২৩৭ কোটি, শুধুমাত্র চিংড়ি ঘেরের অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের বিপরীতে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ২৫টি চিংড়ি ঘের দেখিয়ে ক্ষতিপূরণের ৪৬ কোটি টাকা থেকে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন সাবেক ডিসি মোঃ রুহুল আমিন।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

কক্সবাজারের সাবেক ডিসি দুর্নীতি মামলায় কারাগারে

আপডেট সময় : ১০:২৮:১৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলায় কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক মোঃ রুহুল আমিনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে কক্সবাজার জেলা জজ আদালত।

রোববার( ৯ ফেব্রুয়ারি) ১২ টা দিকে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালত এই নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশন- দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ। কক্সবাজার জেলা জজ আদালত আসামির জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন মামলার বাদী এ কে এম কায়সারুল ইসলাম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জমি অধিগ্রহণের প্রায় ২০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনকে প্রধান আসামি করে ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাতারবাড়ীর বাসিন্দা এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। মামলার পরপরই ১ নম্বর আসামি রুহুল আমিনের নাম বাদ দিয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে নথিপত্র পাঠান তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ মো. সাদিকুল ইসলাম তালুকদার।

পরে মামলার বাদী হয়ে এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী মামলার নথি জালিয়াতি অভিযোগে আরেকটি মামলা দায়ের করেন। দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন আদালতে কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমিন, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। এর পর ২৩ জানুয়ারি কক্সবাজার জেলা জজ আদালত জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এই মামলার সাবেক ডিসি রুহুল আমিন আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করে। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বাকী তিন আসামি সাবেক কক্সবাজার জেলা দায়রা জজ সাদিকুল ইসলাম তালুকদার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নাজির স্বপন কান্তি পাল এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের স্টেনোগ্রাফার জাফর আহমদ জামিনে রয়েছে। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী মোস্তাক আহমদ চৌধুরী পালাতক রয়েছে

কক্সবাজার মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ১ হাজার ৪১৪ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। জমি, চিংড়িঘেরসহ বিভিন্নখাতে ক্ষতিপূরণ বাবদ বরাদ্দ করা হয় ২৩৭ কোটি, শুধুমাত্র চিংড়ি ঘেরের অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণের বিপরীতে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও ২৫টি চিংড়ি ঘের দেখিয়ে ক্ষতিপূরণের ৪৬ কোটি টাকা থেকে ১৯ কোটি ৮২ লাখ ৮ হাজার ৩১৫ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন সাবেক ডিসি মোঃ রুহুল আমিন।