ঢাকা ০১:২৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
চাপাতি ধরে ফোন-মানিব্যাগ-ক্রেডিট কার্ডের সঙ্গে গায়ের জামা-জুতাও নিল ছিনতাইকারীরা সিইসির সঙ্গে বৈঠকে পাটোয়ারী-হাসনাত-সারজিসরা পুলিশের অসহযোগীতার অভিযোগ ভুক্তভোগীর ডাকাত শাহীনের ‘ক্যাশিয়ার’ ইকবালসহ র‍‍্যাবের হাতে দু’জন গ্রেফতার এসএসসিতে সাফল্য ধরে রেখেছে কুতুবদিয়া মডেল হাইস্কুল এন্ড কলেজ পায়ুপথে ইয়াবা পাচার: বিএনপি নেতা আটক পাঁচ পুলিশ সদস্য ক্লোজড “আমার ছেলেটা বুকে ফিরে আসুক” উখিয়ার ইউপি সদস্য কামাল হত্যা: বিএনপি নেতাসহ ৮ জনের নামে হত্যা মামলা উখিয়ায় দোকানদার কর্তৃক নারীকে মারধর ও শ্লীলতাহানি, থানায় মামলা ডাকাত শাহীনের সহযোগী গর্জনিয়ার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জাহাঙ্গীর র‍‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার নিখোঁজের ৩ দিন পর নাইক্ষ্যংছড়ির বিবিশন বড়ুয়ার লাশ মিললো খালে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনি প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাঁদাবাজি নয়, ভাঙারি দোকানের ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বেই মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: পুলিশ রাজসাক্ষী হিসেবে সহায়তার শর্তে চৌধুরী মামুনকে ক্ষমা করেছে ট্রাইব্যুনাল

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয়া সরকারি জায়গায় ‘রহস্যজনক’ স্থাপনা!

কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশে উখিয়ার কুতুপালংয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে প্রকাশ্যে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র।

কুতুপালং বাজার থেকে ৪শত মিটার অদূরে আমগাছ তলা নামক এলাকায় ২ ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতার লাগোয়া ঐ স্থানে ইতিমধ্যে গড়ে তোলা দুইটি আধাপাকা গুদামঘর এবং আরো একটি স্থাপনা নির্মাণাধীন।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ ভুক্ত সদর বিটের আওতাধীন আনুমানিক ৫০ শতকের এই জায়গাটি কিছুদিন আগেও ছিলো উন্মুক্ত মাঠ, এলাকাবাসীর উদ্যোগে গত ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল।

সূত্র বলছে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এই জায়গাটি দখলে নেন রাজাপালং ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ শরীফের পুত্র মোহাম্মদ শাহ আলম।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, নির্মিতব্য স্থাপনায় কাজ করছে ৭-৮ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক।

গুদামঘর সাদৃশ্য স্থাপনাটি কেনো নির্মাণ করা হচ্ছে তা জানেন না সেখানে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইলিয়াস (২৬) ।

স্থাপনার বিপরীত পাশে অবস্থিত পানের দোকানি মোহাম্মদ সিরাজ নিজেকে মোহাম্মদ শরীফের ‘মেয়ের জামাই’ পরিচয় দেন। জায়গাটি বনবিভাগের স্বীকার করে তিনি জানান, তার স্ত্রীর ভাই শাহ আলমই জায়গাটিতে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।

এ বিষয়ে শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম শাহীন প্রতিবেদক’কে বলেন, ” সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ গুরুতর অপরাধ। স্থানটি পরিদর্শন করে বিধি অনুযায়ী বনবিভাগ ব্যবস্থা নিবে।”

সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ” সরকারি সম্পদ-জমি রক্ষায় প্রশাসনের কর্মতৎপরতা অব্যাহত আছে, কোনোভাবেই দখলদার তথা ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না।

ট্যাগ :

This will close in 6 seconds

উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয়া সরকারি জায়গায় ‘রহস্যজনক’ স্থাপনা!

আপডেট সময় : ১২:১২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কের পাশে উখিয়ার কুতুপালংয়ে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের সরকারি জায়গা দখলে নিয়ে প্রকাশ্যে স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় একটি চক্র।

কুতুপালং বাজার থেকে ৪শত মিটার অদূরে আমগাছ তলা নামক এলাকায় ২ ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাঁটাতার লাগোয়া ঐ স্থানে ইতিমধ্যে গড়ে তোলা দুইটি আধাপাকা গুদামঘর এবং আরো একটি স্থাপনা নির্মাণাধীন।

কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের উখিয়া রেঞ্জ ভুক্ত সদর বিটের আওতাধীন আনুমানিক ৫০ শতকের এই জায়গাটি কিছুদিন আগেও ছিলো উন্মুক্ত মাঠ, এলাকাবাসীর উদ্যোগে গত ২০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল।

সূত্র বলছে, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের সুযোগে প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এই জায়গাটি দখলে নেন রাজাপালং ইউপির ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোহাম্মদ শরীফের পুত্র মোহাম্মদ শাহ আলম।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, নির্মিতব্য স্থাপনায় কাজ করছে ৭-৮ জন রোহিঙ্গা শ্রমিক।

গুদামঘর সাদৃশ্য স্থাপনাটি কেনো নির্মাণ করা হচ্ছে তা জানেন না সেখানে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইলিয়াস (২৬) ।

স্থাপনার বিপরীত পাশে অবস্থিত পানের দোকানি মোহাম্মদ সিরাজ নিজেকে মোহাম্মদ শরীফের ‘মেয়ের জামাই’ পরিচয় দেন। জায়গাটি বনবিভাগের স্বীকার করে তিনি জানান, তার স্ত্রীর ভাই শাহ আলমই জায়গাটিতে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।

এ বিষয়ে শাহ আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি কল ধরেননি।

উখিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা শাহীনুর ইসলাম শাহীন প্রতিবেদক’কে বলেন, ” সংরক্ষিত বনাঞ্চলের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ গুরুতর অপরাধ। স্থানটি পরিদর্শন করে বিধি অনুযায়ী বনবিভাগ ব্যবস্থা নিবে।”

সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে উখিয়ার বিভিন্ন স্থানে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করা হয়েছে জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন চৌধুরী বলেন, ” সরকারি সম্পদ-জমি রক্ষায় প্রশাসনের কর্মতৎপরতা অব্যাহত আছে, কোনোভাবেই দখলদার তথা ভূমিদস্যুদের ছাড় দেওয়া হবে না।