ঢাকা ০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কসউবিতে আন্তঃস্কুল বিতর্ক উৎসব শুরু শনিবার দ্রুত আ.লীগ নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘ঢাকা মার্চ’: নাহিদ ইসলাম শ্বশুরবাড়িতে মারধরে জামাইয়ের মৃত্যু- উখিয়ায় গ্রেফতার ৩ কক্সবাজারের সুগন্ধার আলোচিত জমি নিয়ে আতাউল্লাহ সিদ্দিকী ও কাবেরীর বিবৃতি সকলকে তারুণ্যের সমাবেশে যোগ দেয়ার আহবান রামুতে ডেবিল হান্ট অভিযানে আটক ৩ আওয়ামীলীগ নেতা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে কক্সবাজারে বিক্ষোভ “ইন্টেরিম তুমি কার, ফ্যাসিবাদের পাহারাদার” আপ বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ উখিয়ায় পিতার বাড়িতে মিললো গৃহবধূর মরদেহ, স্বামী পলাতক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনায় পিএসএল স্থানান্তর, আইপিএল অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত সরকার আ.লীগ নিষিদ্ধ করার দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে: প্রেস উইং রাতভর নাটকীয়তার পর সকালে গ্রেফতার আইভী, দিলেন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বিদ্যুৎহীন কক্সবাজার, ভোগান্তি যুবলীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগ নয়, নিষিদ্ধ করতে হবে আ.লীগকে: নাহিদ ইসলাম নিষিদ্ধ হচ্ছে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ : আসিফ মাহমুদ

ইমরান খানের ১৪ ও তার স্ত্রীর ৭ বছরের কারাদণ্ড

  • টিটিএন ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • 342

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় জেলবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। একই মামলায় তার স্ত্রী বুশরা খান বিবিকেও ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে। ইমরান খানকে এক মিলিয়ন রুপি এবং বুশরাকে পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা দিতে হবে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে ইমরান খানকে আরও ছয় মাসের জেল এবং বুশরা বিবিকে তিন মাসের জেল ভোগ করতে হবে।

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের পর ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় অভিযুক্ত হন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান ও বুশরা। মামলাটি আল-কাদির ট্রাস্ট নামে একটি দাতব্য সংস্থাকে ঘিরে, যা ২০১৮ সালে ইমরান খান ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওই সময় ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ট্রাস্টটি আসলে ছদ্মবেশী সংস্থা, যার মাধ্যমে ইমরান খান ও বুশরা খান দেশের অন্যতম প্রভাবশালী রিয়েল-এস্টেট ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজ হুসেইনের কাছ থেকে ঘুস হিসেবে মূল্যবান জমি গ্রহণ করেছেন। মালিক রিয়াজ হুসেইনকে পাকিস্তানের ধনী ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন ভাবা হয়। ইমরান খান ও বুশরা খান সবাই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শুক্রবারের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পিটিআই জানিয়েছে, তারা বিস্তারিত রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে এবং তাদের দাবি, ইমরান খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা মামলাটি ভিত্তিহীন।

পিটিআইয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সব প্রমাণ এবং সাক্ষীদের বক্তব্যে স্পষ্ট যে এখানে কোনো দুর্নীতি বা অব্যবস্থাপনার ঘটনা ঘটেনি। ইমরান খান ও বুশরা বিবি কেবল ট্রাস্টি হিসেবে ছিলেন, এর বাইরে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না।

ট্যাগ :

কসউবিতে আন্তঃস্কুল বিতর্ক উৎসব শুরু শনিবার

This will close in 6 seconds

ইমরান খানের ১৪ ও তার স্ত্রীর ৭ বছরের কারাদণ্ড

আপডেট সময় : ০৯:০৮:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় জেলবন্দি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। একই মামলায় তার স্ত্রী বুশরা খান বিবিকেও ৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাদের অর্থদণ্ডও দেয়া হয়েছে। ইমরান খানকে এক মিলিয়ন রুপি এবং বুশরাকে পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা দিতে হবে। জরিমানা দিতে ব্যর্থ হলে ইমরান খানকে আরও ছয় মাসের জেল এবং বুশরা বিবিকে তিন মাসের জেল ভোগ করতে হবে।

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের পর ২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় অভিযুক্ত হন পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান ও বুশরা। মামলাটি আল-কাদির ট্রাস্ট নামে একটি দাতব্য সংস্থাকে ঘিরে, যা ২০১৮ সালে ইমরান খান ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওই সময় ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষের দাবি, এই ট্রাস্টটি আসলে ছদ্মবেশী সংস্থা, যার মাধ্যমে ইমরান খান ও বুশরা খান দেশের অন্যতম প্রভাবশালী রিয়েল-এস্টেট ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজ হুসেইনের কাছ থেকে ঘুস হিসেবে মূল্যবান জমি গ্রহণ করেছেন। মালিক রিয়াজ হুসেইনকে পাকিস্তানের ধনী ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের একজন ভাবা হয়। ইমরান খান ও বুশরা খান সবাই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শুক্রবারের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পিটিআই জানিয়েছে, তারা বিস্তারিত রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে এবং তাদের দাবি, ইমরান খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা মামলাটি ভিত্তিহীন।

পিটিআইয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সব প্রমাণ এবং সাক্ষীদের বক্তব্যে স্পষ্ট যে এখানে কোনো দুর্নীতি বা অব্যবস্থাপনার ঘটনা ঘটেনি। ইমরান খান ও বুশরা বিবি কেবল ট্রাস্টি হিসেবে ছিলেন, এর বাইরে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না।