ঢাকা ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জুলাই শহীদদের স্বরণে টেকনাফে এনসিপি’র খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত জুলাই হ’ত্যা’কা’ণ্ড ইতিহাসের কলঙ্ক, শহীদদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিন : খালেদা জিয়া” সিসিএন ও সিজেএন এর জয় হাসনাত-সারজিসকে ১০০ বার ফোন দিলেও রিসিভ করে না: শহীদ আবদুল্লাহর মায়ের অভিযোগ ভোটের তারিখ বা সম্ভাব্য সময় নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়নি: সিইসি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ পাকিস্তানে বৃষ্টি ও বন্যায় একই পরিবারের ১৩ জনসহ ৪৬ জনের মৃত্যু জুলাইকে সবার গণজাগরণ ও ঐক্যের মাসে পরিণত করুন : প্রধান উপদেষ্টা তারেক জিয়া দেশে ফিরছেন ২৮ জুলাই! কচ্ছপিয়ায় বসতঘর থেকে স্বামী-স্ত্রীর ইয়াবা বিক্রি: ইয়াবা’সহ ধৃত ভুট্টো সালাহউদ্দিন আহমদের জন্মদিনে কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের নানা আয়োজন কক্সবাজার সরকারি কলেজ একাউন্টিং ক্লাবের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত, অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানকে ফুলেল শুভেচ্ছা আগামী ২০ জুলাই থেকে শহীদ দৌলত ময়দানে হবে বৃক্ষ মেলা সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নুরুল আবছারের পরিবারকে কোস্ট ফাউন্ডেশনের ১ লক্ষ টাকা অনুদান গর্জনিয়ার বড়বিল থেকে পরিত্যক্ত অস্ত্র উদ্ধার : পৃথক ঘটনায় দুজন আটক

ভালোবাসাই যেন বিজয়ের প্রেরণা: মেসি ও ভিরাট যেখানে মিলে যান একই বিন্দুতে..

এক সময় ছিল যখন ভিরাট কোহলি আইপিএলের ট্রফির সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও বারবার ফিরে এসেছেন খালি হাতে। আর লিওনেল মেসি—ফুটবল বিশ্বে শতাব্দীর সেরা হয়েও বারবার শুনেছেন, “তোমার তো বিশ্বকাপ নেই!” কিন্তু এই দুই কিংবদন্তির যাত্রা শুধু খেলার মাঠেই শেষ হয়নি, তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় এসেছে হৃদয়ের মাঠে—সঙ্গীর ভালোবাসা, সাহস আর সমর্থনে।

ভিরাট যখন ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত চাপে ভেঙে পড়ার উপক্রম, তখন আনুশকাই ছিলেন তার ছায়া হয়ে। মিডিয়ার আঘাত, ব্যর্থতার অভিশাপ, হাজারো সমালোচনার মাঝেও আনুশকা কখনো চোখ ফেরাননি। খেলার শেষে যখন সকলের চোখ ট্রফিতে, আনুশকার চোখ ছিল শুধুই ভিরাটের ক্লান্ত কিন্তু শান্ত মুখে। সে যেন শুধু একজন স্ত্রী নয়—একজন নীরব অনুপ্রেরণা, লড়াইয়ের দিনের মানসিক শক্তি, একজন যোদ্ধার হার না মানা অবয়ব..

অন্যদিকে, মেসির জীবনেও আন্তোনেলা ছিল তার শৈশবের আলো। ফুটবলের মাঠে একের পর এক ট্রফি উঠেছে তার হাতে, কিন্তু সাধের বিশ্বকাপ ছিল অধরাই। সবাই ভেবেছিল, হয়তো এটাই ফুটবল জাদুকরের জীবনের একমাত্র অপূর্ণতা।

কিন্তু আন্তোনেলা কখনো সেই ব্যর্থতাকে ব্যর্থতা ভাবেননি। তাঁর জন্য, মেসি সবসময়ই চ্যাম্পিয়ন। যখন বিশ্বকাপ হাতে মেসি চোখ বন্ধ করে হাসছিলেন, তখন আন্তোনেলার চোখে ভর করেছিলো শত শত নির্ঘুম রাতের প্রার্থনার জ্যোতি।

এই দুই মানুষ—ভিরাট আর মেসি—যারা শুধুই ক্রিকেট বা ফুটবল নয়, পুরো দুনিয়াকে দেখিয়েছেন যে, একজন মানুষের পেছনে যদি থাকে ভালোবাসা, সাহস আর একটুখানি নির্ভরতা, তবে সে পারে পৃথিবীর যেকোনো শৃঙ্গ জয় করতে।

এই গল্প শুধু খেলার নয়, ভালোবাসার, প্রতীক্ষার, আত্মবিশ্বাসের—আর নীরব সেই মানুষগুলোর, যারা সামনে না থেকেও পাশে থেকে বারবার প্রমাণ করে যান নজরুলকে-

” কোন কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারি,

প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষ্মী নারী”

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই শহীদদের স্বরণে টেকনাফে এনসিপি’র খতমে কোরআন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

This will close in 6 seconds

ভালোবাসাই যেন বিজয়ের প্রেরণা: মেসি ও ভিরাট যেখানে মিলে যান একই বিন্দুতে..

আপডেট সময় : ০৮:১৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ জুন ২০২৫

এক সময় ছিল যখন ভিরাট কোহলি আইপিএলের ট্রফির সামনে দাঁড়িয়ে থেকেও বারবার ফিরে এসেছেন খালি হাতে। আর লিওনেল মেসি—ফুটবল বিশ্বে শতাব্দীর সেরা হয়েও বারবার শুনেছেন, “তোমার তো বিশ্বকাপ নেই!” কিন্তু এই দুই কিংবদন্তির যাত্রা শুধু খেলার মাঠেই শেষ হয়নি, তাদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জয় এসেছে হৃদয়ের মাঠে—সঙ্গীর ভালোবাসা, সাহস আর সমর্থনে।

ভিরাট যখন ক্যারিয়ারের চূড়ান্ত চাপে ভেঙে পড়ার উপক্রম, তখন আনুশকাই ছিলেন তার ছায়া হয়ে। মিডিয়ার আঘাত, ব্যর্থতার অভিশাপ, হাজারো সমালোচনার মাঝেও আনুশকা কখনো চোখ ফেরাননি। খেলার শেষে যখন সকলের চোখ ট্রফিতে, আনুশকার চোখ ছিল শুধুই ভিরাটের ক্লান্ত কিন্তু শান্ত মুখে। সে যেন শুধু একজন স্ত্রী নয়—একজন নীরব অনুপ্রেরণা, লড়াইয়ের দিনের মানসিক শক্তি, একজন যোদ্ধার হার না মানা অবয়ব..

অন্যদিকে, মেসির জীবনেও আন্তোনেলা ছিল তার শৈশবের আলো। ফুটবলের মাঠে একের পর এক ট্রফি উঠেছে তার হাতে, কিন্তু সাধের বিশ্বকাপ ছিল অধরাই। সবাই ভেবেছিল, হয়তো এটাই ফুটবল জাদুকরের জীবনের একমাত্র অপূর্ণতা।

কিন্তু আন্তোনেলা কখনো সেই ব্যর্থতাকে ব্যর্থতা ভাবেননি। তাঁর জন্য, মেসি সবসময়ই চ্যাম্পিয়ন। যখন বিশ্বকাপ হাতে মেসি চোখ বন্ধ করে হাসছিলেন, তখন আন্তোনেলার চোখে ভর করেছিলো শত শত নির্ঘুম রাতের প্রার্থনার জ্যোতি।

এই দুই মানুষ—ভিরাট আর মেসি—যারা শুধুই ক্রিকেট বা ফুটবল নয়, পুরো দুনিয়াকে দেখিয়েছেন যে, একজন মানুষের পেছনে যদি থাকে ভালোবাসা, সাহস আর একটুখানি নির্ভরতা, তবে সে পারে পৃথিবীর যেকোনো শৃঙ্গ জয় করতে।

এই গল্প শুধু খেলার নয়, ভালোবাসার, প্রতীক্ষার, আত্মবিশ্বাসের—আর নীরব সেই মানুষগুলোর, যারা সামনে না থেকেও পাশে থেকে বারবার প্রমাণ করে যান নজরুলকে-

” কোন কালে একা হয়নি ক’ জয়ী পুরুষের তরবারি,

প্রেরণা দিয়াছে, শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষ্মী নারী”