ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক

মৌসুমি বায়ু বৃষ্টি ঝরাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত

কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবিরাম বৃষ্টি ঝরিয়ে সক্রিয় মৌসুমি বায়ু মঙ্গলবারের মধ্যে আংশিক নিষ্ক্রিয় হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া দপ্তর। সোমবার আবহাওয়ার সর্বশেষ সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয় থাকায় বৃষ্টি মোটামুটি হচ্ছে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমে যেতে পারে।” তিনি জানান, আজ সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশি থাকবে। এছাড়া ঢাকা, রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায়ও বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বর্ষা মৌসুমের আগেই সর্বোচ্চ বৃষ্টি ঝরেছে কক্সবাজারের আকাশে।শহরে বেলা ১২ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ১৭৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সোমবার সকালে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব সর্বোচ্চ ছিল জানিয়ে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বলেন, “সকালে টানা ৩ ঘন্টা অঝোরে বৃষ্টি ঝরেছে কক্সবাজারে। ফলে শহরের কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছিল। তবে বৃষ্টি বন্ধ হলে পানিও নেমে যায়।”

ভূমিধসের শঙ্কার কথা জানিয়ে মি. হান্নান আরও বলেন, কক্সবাজারে আগামী ২৪ ঘন্টা অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।ফলে পাহাড়ী এলাকায় ভূমিধস হতে পারে। তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাবে বলে জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।

চলতি বছর স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত এক সপ্তাহ আগেই, ২৪ মে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয় লঘুচাপ, যা ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয় এবং দেশজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটায়। সেই নিম্নচাপ এখন আর সক্রিয় না থাকলেও, তার প্রভাবে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমি বায়ু।

আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, মৌসুমি বায়ুর এই সক্রিয়তা কমে গেলেও এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে, যা জনজীবনে সাময়িক দুর্ভোগের পাশাপাশি নদীভিত্তিক এলাকাগুলোতে বন্যার আশঙ্কাও তৈরি করছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

মৌসুমি বায়ু বৃষ্টি ঝরাবে মঙ্গলবার পর্যন্ত

আপডেট সময় : ০২:৩৭:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অবিরাম বৃষ্টি ঝরিয়ে সক্রিয় মৌসুমি বায়ু মঙ্গলবারের মধ্যে আংশিক নিষ্ক্রিয় হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া দপ্তর। সোমবার আবহাওয়ার সর্বশেষ সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

বার্তায় বলা হয়েছে, মৌসুমি বায়ু এখন সক্রিয় থাকায় বৃষ্টি মোটামুটি হচ্ছে। তবে আগামীকাল মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ আরও কমে যেতে পারে।” তিনি জানান, আজ সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বেশি থাকবে। এছাড়া ঢাকা, রংপুর, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু জায়গায়ও বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বর্ষা মৌসুমের আগেই সর্বোচ্চ বৃষ্টি ঝরেছে কক্সবাজারের আকাশে।শহরে বেলা ১২ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ১৭৮ মিলি মিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সোমবার সকালে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব সর্বোচ্চ ছিল জানিয়ে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বলেন, “সকালে টানা ৩ ঘন্টা অঝোরে বৃষ্টি ঝরেছে কক্সবাজারে। ফলে শহরের কিছু জায়গায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছিল। তবে বৃষ্টি বন্ধ হলে পানিও নেমে যায়।”

ভূমিধসের শঙ্কার কথা জানিয়ে মি. হান্নান আরও বলেন, কক্সবাজারে আগামী ২৪ ঘন্টা অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।ফলে পাহাড়ী এলাকায় ভূমিধস হতে পারে। তবে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাবে বলে জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।

চলতি বছর স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে অন্তত এক সপ্তাহ আগেই, ২৪ মে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরপর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয় লঘুচাপ, যা ধীরে ধীরে গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয় এবং দেশজুড়ে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ঘটায়। সেই নিম্নচাপ এখন আর সক্রিয় না থাকলেও, তার প্রভাবে সক্রিয় রয়েছে মৌসুমি বায়ু।

আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, মৌসুমি বায়ুর এই সক্রিয়তা কমে গেলেও এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে, যা জনজীবনে সাময়িক দুর্ভোগের পাশাপাশি নদীভিত্তিক এলাকাগুলোতে বন্যার আশঙ্কাও তৈরি করছে।