ঢাকা ০১:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আয়নার মতো স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই: সিইসি দ্বৈত বার্তা: বাংলাদেশের নির্বাচনে জাতিসংঘের কূটনৈতিক রহস্য মহেশখালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় আহত ফোরকান চমেকে মারা গেছেন সড়ক অবরোধ, ১ ঘন্টা পর স্বাভাবিক যান চলাচল কানের দুলের জন্যে প্রাণ কেড়ে নিলো কন্যা শি’শুর! শিক্ষকের মর্যাদা, শিক্ষার মান- দুটোই হোক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সব প্রস্তুতি নিয়েও যেকারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে দেরি কক্সবাজার বিমানবন্দর ‘কুকুর’ ধরলো রাজমিস্ত্রীর ইয়াবা টেকনাফে মানব পাচারে ‘জিরো টলারেন্স’ বলছে বিজিবি পালংখালী জামায়াতের কর্মী সমাবেশে জেলা আমীর আনোয়ারী-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দাঁড়ি পাল্লার বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন টেকনাফে ১৪ মামলার পলাতক আসামী মুন্না র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার বিএফইউজে’র নির্বাহী পরিষদের সভায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার সৈকতে ‘লোক সমুদ্র’ ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে কক্সবাজারে ৫টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর নারী নেতৃত্বকে জাতির গৌরব বললেন লুৎফুর রহমান কাজল

গভীর নিম্নচাপের তাণ্ডব: কক্সবাজারে টানা বৃষ্টি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, পাহাড় ধসের শঙ্কা

গভীর  নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম করলেও কক্সবাজারে এখনো এর তাণ্ডব থামেনি। শহরজুড়ে চলমান রয়েছে টানা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঝড়ো হাওয়ার গতিও বেশ উদ্বেগজনক। প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতি ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো আকারে কখনো কখনো ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে এখনো ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের প্রভাবে কক্সবাজার জেলার বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রামু, চকরিয়া, টেকনাফ, উখিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার সদর ও ঈদগাঁও উপজেলার নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আজ ও আগামীকাল পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যেসব মানুষ পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করছেন, তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।

প্রশাসন ও স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যদি দ্রুত নিরাপদে সরে না যাওয়া হয়, তবে বিগত বছরগুলোর মতো পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।

উল্লেখ্য, চলমান দুর্যোগের কারণে জেলা জুড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার ও অফিসগুলোতে উপস্থিতিও তুলনামূলক কম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে, এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও খুলে দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

আয়নার মতো স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই: সিইসি

This will close in 6 seconds

গভীর নিম্নচাপের তাণ্ডব: কক্সবাজারে টানা বৃষ্টি, প্লাবিত নিম্নাঞ্চল, পাহাড় ধসের শঙ্কা

আপডেট সময় : ১২:৩১:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

গভীর  নিম্নচাপটি উপকূল অতিক্রম করলেও কক্সবাজারে এখনো এর তাণ্ডব থামেনি। শহরজুড়ে চলমান রয়েছে টানা বৃষ্টি ও দমকা হাওয়া। গত ২৪ ঘণ্টায় সকাল ৯টা পর্যন্ত ১৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে কক্সবাজার আবহাওয়া অধিদপ্তর।

ঝড়ো হাওয়ার গতিও বেশ উদ্বেগজনক। প্রতি ঘণ্টায় বাতাসের গতি ২০ থেকে ২৫ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝড়ো আকারে কখনো কখনো ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছেছে। কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে এখনো ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।

কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

টানা ভারী বৃষ্টিপাত ও জোয়ারের প্রভাবে কক্সবাজার জেলার বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বিশেষ করে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, রামু, চকরিয়া, টেকনাফ, উখিয়া, পেকুয়া, কক্সবাজার সদর ও ঈদগাঁও উপজেলার নিচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। জলাবদ্ধতার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে, আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, আজ ও আগামীকাল পর্যন্ত ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে। এর ফলে পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধসের আশঙ্কা প্রবল হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যেসব মানুষ পাহাড়ের ঢালে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস করছেন, তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে প্রশাসন।

প্রশাসন ও স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যদি দ্রুত নিরাপদে সরে না যাওয়া হয়, তবে বিগত বছরগুলোর মতো পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে।

উল্লেখ্য, চলমান দুর্যোগের কারণে জেলা জুড়ে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বাজার ও অফিসগুলোতে উপস্থিতিও তুলনামূলক কম। প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেসকিউ টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে, এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোও খুলে দেওয়া হয়েছে।