প্রকৃতির বাতাসে উনুনের উত্তাপ। কক্সবাজারে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ। বৈশাখের শেষদিকে এসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও বিরাজ করছে ৩৭ ডিগ্রির ঘরে। চলমান এই তাপ প্রবাহে সমুদ্রপৃষ্ঠেও ছড়িয়ে পড়ছে উত্তাপ। যার ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড়ের।
তবে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সুখবর দিয়েছেন কক্সবাজারের সহকারি আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান।
বঙ্গোপসাগরে কোন ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে এই আবহাওয়াবিদ টিটিএন কে জানান, বর্তমানে ঘূর্ণিঝড়ের কোন আশঙ্কা নেই। আগামী ১০-১২ দিনের পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে নেই কক্সবাজারসহ সারাদেশ।
অন্যদিকে মে মাসের শেষে একটি ঘূর্ণিঝড় আসার সম্ভাবনার কথাও জানিয়েছেন এই আবহাওয়াবিদ।
তিনি বলেছেন, “মে মাসের শেষান্তে একটি ঘূর্ণিঝড় আসতেও পারে আবার নাও আসতে পারে।” বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তা মাসের শেষে। আর লঘু চাপ থেকে ধাপে ধাপে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে কিনা এটিও বোঝা যাবে মে মাসের শেষ সপ্তাহের পূর্বাভাসে।
তবে ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে ভিন্ন কথা জানিয়েছেন গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
রোববার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেয়া এক পোস্টে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপারে শঙ্কা প্রকাশ করেন। ফেসবুকে দেয়া ওই পোস্টে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার সম্ভাব্য সময়ের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
পোস্টে এই আবহাওয়াবিদ জানান, মে মাসের ২৩ তারিখ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘শক্তি’। এই নামটি শ্রীলঙ্কার দেয়া।
আবহাওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ আরও জানিয়েছেন, ২৪ থেকে ২৬ মে’র মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের ওড়িশা উপকূল ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলের মধ্যবর্তী যেকোনো স্থানের উপর দিয়ে স্থলভাগে আঘাত হানার প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও দেশের খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত বেশি।
এর আগে মে মাসের দীর্ঘমেয়াদী এক পূর্বাভাসে ঘূর্ণিঝড়ের শঙ্কার কথা জানিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর।
তাই যেকোনো দুর্যোগ কিংবা আবহাওয়ার পূর্বাভাসের ক্ষেত্রে সরকারি সংস্থার উপর আস্থা রাখতে বলেছেন আবহাওয়া অধিদপ্তর।