রামুর কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের বালুবাসা গ্রামে নগদ টাকা ছিনতাই করতে গিয়ে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে সাহাব উদ্দিন নামে এক যুবক প্রাণ হারিয়েছে। শনিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় একাধিক সূত্র বলছে- গরু বিক্রির টাকা নিয়ে রামু থেকে ঘরে ফিরছিলেন কচ্ছপিয়ার বালুবাসা গ্রামের তিন বন্ধু। শনিবার রাত ১১টায় তাঁরা বালুবাসা রাস্তার মাথায় পৌঁছালে একদল অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী তাদের মোটরসাইকেল থামিয়ে নগদ ৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালান। এতে বাঁধা দিলে গুলিবর্ষণ করা হয়। এসময় গুলির শব্দ এবং রামু থেকে আসা রিমন ও আনসার উল্লাহর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসেন। পরে গ্রামবাসীর গণপিটুনিতে সাহাব উদ্দিন প্রচন্ডভাবে আহত হন। বাকি সদস্যরা অস্ত্র ও ৫ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে। পরে গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ি ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত সাহাব উদ্দিন ও ছিনতাইয়ের শিকার রিমনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাহাব উদ্দিন মারা যায়।
গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই রুবেল দেব নাথ বলেন- ঘটনাস্থল থেকে আহত অবস্থায় সাহাব উদ্দিন ও রিমনকে উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাহাব উদ্দিন মারা যায়।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন- ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। সাহাব উদ্দিন দলবল নিয়ে এলাকায় ডাকাতির উদ্দেশ্যে এসেছেন। এলাকাবাসী তাকে গণপিটুনি দিয়েছে। তার পরনের জ্যাকেট থেকে তিন রাউন্ড গুলি ও একটি আইসের প্যাকেট পেয়েছে স্থানীয়রা।
এদিকে নিহত সাহাব উদ্দিনের নিকটাত্মীয় সালাহ উদ্দিন বাবু বলেন- শনিবার রাতে একটি ফোন আসে সাহাব উদ্দিনকে বালুবাসা গ্রামে মেরে পেলে রাখা হয়েছে। কি কারণে এ ঘটনা তারা জানেন না। সাহাব উদ্দিনকে প্রচন্ডভাবে প্রহার করা হয়েছে। মাথা ও শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন তারা। তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পাওয়ায় সে মারা যায় বলে তাদের দাবি।
রামু থানার ওসি ইমন কান্তি চৌধুরী রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন- নিহত সাহাব উদ্দিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনাটি অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধীরা শীঘ্রই আইনের আওতায় আসবে।