ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
‘প্রত্যাবাসন শুরু না হলে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান হবে না’ আয়নার মতো স্বচ্ছ নির্বাচন করতে চাই: সিইসি দ্বৈত বার্তা: বাংলাদেশের নির্বাচনে জাতিসংঘের কূটনৈতিক রহস্য মহেশখালীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হামলায় আহত ফোরকান চমেকে মারা গেছেন সড়ক অবরোধ, ১ ঘন্টা পর স্বাভাবিক যান চলাচল কানের দুলের জন্যে প্রাণ কেড়ে নিলো কন্যা শি’শুর! শিক্ষকের মর্যাদা, শিক্ষার মান- দুটোই হোক সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার সব প্রস্তুতি নিয়েও যেকারণে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে দেরি কক্সবাজার বিমানবন্দর ‘কুকুর’ ধরলো রাজমিস্ত্রীর ইয়াবা টেকনাফে মানব পাচারে ‘জিরো টলারেন্স’ বলছে বিজিবি পালংখালী জামায়াতের কর্মী সমাবেশে জেলা আমীর আনোয়ারী-ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দাঁড়ি পাল্লার বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ হোন টেকনাফে ১৪ মামলার পলাতক আসামী মুন্না র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার বিএফইউজে’র নির্বাহী পরিষদের সভায় সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার’র কমিটি অনুমোদন কক্সবাজার সৈকতে ‘লোক সমুদ্র’ ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৫’ বাস্তবায়নে কক্সবাজারে ৫টি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন নৌবাহিনীর

জমি দখলে নিতেই ‘পাহাড়তলীর মুজিবকে’ হত্যা – মানববন্ধনে স্থানীয়রা

জমি দখলে নিতে দক্ষিণ পাহাড়তলী হালিমা পাড়া এলাকায় তৎপর হয় একটি চক্র।

যার প্রতিবাদ করলেই মুজিব হত্যার পরিকল্পনা করা হয়,একই সঙ্গে কিলার হিসেবে ভাড়া করা হয় তিনজনকে।

নারকীয় এই মিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ পাহাড়তলীর হালিমা পাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম।

সম্প্রতি হত্যাকান্ড ঘটার পর ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে ইজিবাইক বিক্রির খবর ছড়ায় চক্রটি।

অনুসন্ধ্যানে বেরিয়ে এসেছে, জমি দখলে বাঁধা দেয়ায় হত্যা করা হয়েছে মুজিবকে।

তদন্ত শেষে হত্যাকান্ড জড়িত কিলার ও পরিকল্পনাকারীদেরও আসামী করেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।

হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করেন দক্ষিন পাহাড়তলীর হালিমা পাড়ার শাহ আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।

যার উদ্দেশ্য ছিল মুজিবকে সরাতে পারলেই জমিটি দখলে নেয়া যাবে।সে অনুসারে ভাড়াটিয়া হিসেবে আনা হয় গ্রেপ্তার মোহাম্মদ মোস্তফা ওরফে শাওন, মোহাম্মদ আনোয়ার, ছৈয়দ হোসেন ও রমজান আলীকে।

যারা পরিকল্পনা মত হত্যাকান্ড শেষ করে পালিয়ে যান। পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা গেছে-হালিমা পাড়ার জমিটি দখলে নিতে চেষ্টা করে শাহ আলম ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, সেখানে বাঁধা প্রদান করেন মুজিব।

ইঞ্জিনিয়ার নাজিম উদ্দিনের ছেলে বলেন, ‘গত ২১ বছর পূর্বে আমার বাবা হালিমা পাড়া মসজিদের পাশে প্রথমে ৭.৫ গন্ডা জমি ও পরবর্তীতে দুই গন্ডা জমি ক্রয় করেন। এই জমি আমাদের দখলে ছিল । হঠাৎ জাহাঙ্গীর আলম ও তার পিতা শাহাআলম মিলে কিছু সন্ত্রাসী ভাড়া করে রাতের আঁধারে আমাদের জমিটি দখলে নেন।’

তখন থেকে তাদেরকে খুন করার হুমকি দিচ্ছে জাহাঙ্গীর ও তার পালিত সন্ত্রাস বাহিনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ” আমরা এই নিয়ে থানায় অবগত করেছিলাম। ”

পৌরসভার সামনে মানববন্ধনে এলাকাবাসীরা বলেন, “মুজিবকে খুন করা পিছনে জাহাঙ্গীর ও শাহাআলম জড়িত রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।”

এসময় তারা দোষীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি এ ঘটনার বিচার দাবী করেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াছ খান বলেন,” ঘটনার পর পুলিশ ও র‍্যাব চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

তদন্ত সাপেক্ষে বাকি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

জমি দখলে নিতেই ‘পাহাড়তলীর মুজিবকে’ হত্যা – মানববন্ধনে স্থানীয়রা

আপডেট সময় : ০২:৫০:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫

জমি দখলে নিতে দক্ষিণ পাহাড়তলী হালিমা পাড়া এলাকায় তৎপর হয় একটি চক্র।

যার প্রতিবাদ করলেই মুজিব হত্যার পরিকল্পনা করা হয়,একই সঙ্গে কিলার হিসেবে ভাড়া করা হয় তিনজনকে।

নারকীয় এই মিশনের নেতৃত্ব দিয়েছেন কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ পাহাড়তলীর হালিমা পাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর আলম।

সম্প্রতি হত্যাকান্ড ঘটার পর ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে ইজিবাইক বিক্রির খবর ছড়ায় চক্রটি।

অনুসন্ধ্যানে বেরিয়ে এসেছে, জমি দখলে বাঁধা দেয়ায় হত্যা করা হয়েছে মুজিবকে।

তদন্ত শেষে হত্যাকান্ড জড়িত কিলার ও পরিকল্পনাকারীদেরও আসামী করেও মামলা দায়ের করা হয়েছে।

হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করেন দক্ষিন পাহাড়তলীর হালিমা পাড়ার শাহ আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।

যার উদ্দেশ্য ছিল মুজিবকে সরাতে পারলেই জমিটি দখলে নেয়া যাবে।সে অনুসারে ভাড়াটিয়া হিসেবে আনা হয় গ্রেপ্তার মোহাম্মদ মোস্তফা ওরফে শাওন, মোহাম্মদ আনোয়ার, ছৈয়দ হোসেন ও রমজান আলীকে।

যারা পরিকল্পনা মত হত্যাকান্ড শেষ করে পালিয়ে যান। পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সুত্রে জানা গেছে-হালিমা পাড়ার জমিটি দখলে নিতে চেষ্টা করে শাহ আলম ও তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, সেখানে বাঁধা প্রদান করেন মুজিব।

ইঞ্জিনিয়ার নাজিম উদ্দিনের ছেলে বলেন, ‘গত ২১ বছর পূর্বে আমার বাবা হালিমা পাড়া মসজিদের পাশে প্রথমে ৭.৫ গন্ডা জমি ও পরবর্তীতে দুই গন্ডা জমি ক্রয় করেন। এই জমি আমাদের দখলে ছিল । হঠাৎ জাহাঙ্গীর আলম ও তার পিতা শাহাআলম মিলে কিছু সন্ত্রাসী ভাড়া করে রাতের আঁধারে আমাদের জমিটি দখলে নেন।’

তখন থেকে তাদেরকে খুন করার হুমকি দিচ্ছে জাহাঙ্গীর ও তার পালিত সন্ত্রাস বাহিনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, ” আমরা এই নিয়ে থানায় অবগত করেছিলাম। ”

পৌরসভার সামনে মানববন্ধনে এলাকাবাসীরা বলেন, “মুজিবকে খুন করা পিছনে জাহাঙ্গীর ও শাহাআলম জড়িত রয়েছে। তাদেরকে গ্রেপ্তার করলে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে।”

এসময় তারা দোষীদের আইনের আওতায় আনার পাশাপাশি এ ঘটনার বিচার দাবী করেন।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াছ খান বলেন,” ঘটনার পর পুলিশ ও র‍্যাব চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

তদন্ত সাপেক্ষে বাকি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।