জুলাই আন্দোলনের ৮ মাস পর মহেশখালী থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয়ে ইয়াছির আরাফাত নামের এক ব্যক্তি ১৫৩ জনের নাম উল্লেখ করে, করা মামলা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
ওই মামলায় স্বয়ং জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় আন্দোলনকারী শাহজাহান, বাদীর পাওনাদার সুমন, দৈনিক পূর্বকোণের কক্সবাজার প্রতিনিধি সাংবাদিক এরফান হোসাইন, রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত না থাকা বাদীর পূর্ব শত্রুসহ একাধিক নিরীহ মানুষকে আসামি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জুলাই আন্দোলনে কক্সবাজারের সক্রিয় আন্দোলনকারী রাকিব হাসান জানান, এটি একটি বাণিজ্য মামলা। মামলার বাদীকে আমরা চিনি না, তিনি জুলাই বিপ্লবের সাথে কোথাও সক্রিয় ছিলো বলে আমাদের জানা নেই। সে ব্যক্তি কিভাবে জুলাই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে মামলার বাদী হয়ে আন্দোলনকারীদের আসামি করে আমার বোধগম্য নয়।
ইয়াসির আরাফাতের করা মামলার এজাহারে যে ঘটনার অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে ওই ঘটনায় উপস্থিত ভুক্তভোগী আন্দোলনকারী মোহাম্মদ গোলাম নুসরাত তার ফেসবুকে লিখেছেন–
‘মহেশখালী থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয়ে যে ব্যক্তি বাদী হয়ে মামলা করছে সে জুলাই আন্দোলনে কোথাও ছিলো এরকম নজীর নেই।
২৪ এর জুলাই ১৬ তারিখের ঘটনায় মহেশখালী পৌরসভার বাবু দীঘির পাড়ে সে উপস্থিত ছিলো না। যারা ঐ দিন ঘটনায় ছিলো তারা কেউ এই মামলা সম্পর্কে জানে না বলে নিশ্চিত হলাম।
যাদের এই মামলায় সাক্ষী দেখানো হয়েছে তারা কেউ এই মামলা সম্পর্কে জানে না বলেও নিশ্চিত হলাম।
মামলায় ৬০ নং আসামি সুমন নামে যে ভদ্রলোককে আসামি করা হয়েছে সে এই মামলার বাদির কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা পায়। কক্সবাজার সাগরগাঁও হোটেলের সামনে আমিসহ আরো দুই জনের জিম্মায় ১ মাস সময় নিয়ে ছেড়ে দেয়। দুনিয়ার লীলাখেলায় আজ পাওনাদার উল্টো ছাত্রআন্দোলনের মামলার আসামী।
মামলায় আসামি করার হুমকি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করার অভিযোগও বাদীর বিরুদ্ধে রয়েছে বলে দাবী করেন আন্দোলনকারী গোলাম নুসরাত।
এই বিষয়ে জানতে মামলার বাদী ইয়াসির আরাফাতের ব্যবহারিত মুঠোফোন নং যার লাস্ট ডিজিট ৫৯৫ এ একাধিক বার কল করেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে এই মামলা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানামহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।