ঢাকা ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক খালেদার সেবাসঙ্গী ফাতেমা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি

মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ: ছাত্রশিবিরকে ক্ষমা চাইতে বলল ছাত্রদল

জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের মাসিক প্রকাশনা ‘ছাত্র সংবাদ’ এর একটি প্রবন্ধে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

সংগঠনটি বলছে, এ ধরনের বক্তব্য একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসরদের ধৃষ্টতা এবং নিজেদের পরাজয়ের গ্লানি চাপা দেওয়ার অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নিন্দা জানিয়েছেন বলে ছাত্রদলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

ছাত্রশিবিরের ‘ছাত্র সংবাদ’ নামের মাসিক প্রকাশনাটির ডিসেম্বর সংখ্যায় আহমেদ আফঘানি রচিত ‘যুগে যুগে স্বৈরাচার ও তাদের করুণ পরিণতি’ নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেই প্রবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘অনেক মুসলিম না বুঝে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল, এটা তাদের ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা ছিল। আল্লাহ তায়ালা তাদের ক্ষমা করুন’।

প্রবন্ধের এই অংশ উদ্ধৃত করে ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “স্বাধীনতার দীর্ঘ পাঁচ দশক পেরিয়ে এসেও নিজেদের দলীয় প্রকাশনায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করাকে ভুল ও অদূরদর্শিতা হিসেবে প্রচার করা এবং ‘পাপকাজ মনে করে’ ক্ষমা প্রার্থনা করা একটি গর্হিত এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনা।

“প্রকৃতপক্ষে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ কোনো ধর্মযুদ্ধ ছিল না। এটি ছিল অত্যাচারী, জালিম, দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচারে গণহত্যার বিরুদ্ধে মজলুম বাংলাদেশীদের প্রতিরোধের যুদ্ধ। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণের কারণে মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি সত্যিকারের জনযুদ্ধ।”

ছাত্রদল বলেছে, “কেউ ভুল করে কিংবা না বুঝে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে এই বক্তব্য একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসরদের ধৃষ্টতা ও নিজেদের পরাজয়ের গ্লানি চাপা দেওয়ার অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। ছাত্রশিবিরের এরূপ কাণ্ডজ্ঞানহীন প্রচারণার কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বুদ্ধিবৃত্তিক পুনর্বাসনের প্রেক্ষাপট তৈরি করবে।

“ছাত্রশিবির একদিকে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে ‘স্বাধীনতা এনেছি, স্বাধীনতা রাখব’ স্লোগান দিয়ে র‌্যালি করে, আবার অন্যদিকে নিজেদের দলীয় প্রকাশনায় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়াকে ভুল ও অদূরদর্শিতা হিসেবে প্রচার করবে, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে, এটি সুস্পষ্ট দ্বিচারিতা। এই দ্বিচারিতার ফলে প্রমাণিত হয় প্রকাশ্যে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করার কৌশল গ্রহণ করলেও ভেতরে ভেতরে ছাত্রশিবির পূর্বসূরি ছাত্রসংঘের মতো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের মনোভাবই তারা ধারণ করে।”

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করার জন্য ছাত্রশিবিরকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “ছাত্রশিবির কর্তৃক নিজেদের দলীয় পত্রিকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে আপত্তিকর বক্তব্য প্রচারের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে ছাত্র শিবিরকে ক্ষমাপ্রার্থনা এবং মুক্তিযুদ্ধই আমাদের ভিত্তি ও অস্তিত্ব- এই সত্যকে মেনে নেওয়া ও ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে

This will close in 6 seconds

মুক্তিযুদ্ধকে কটাক্ষ: ছাত্রশিবিরকে ক্ষমা চাইতে বলল ছাত্রদল

আপডেট সময় : ০৩:২৫:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫

জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের মাসিক প্রকাশনা ‘ছাত্র সংবাদ’ এর একটি প্রবন্ধে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।

সংগঠনটি বলছে, এ ধরনের বক্তব্য একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসরদের ধৃষ্টতা এবং নিজেদের পরাজয়ের গ্লানি চাপা দেওয়ার অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়।

ছাত্রদল সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির এই নিন্দা জানিয়েছেন বলে ছাত্রদলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

ছাত্রশিবিরের ‘ছাত্র সংবাদ’ নামের মাসিক প্রকাশনাটির ডিসেম্বর সংখ্যায় আহমেদ আফঘানি রচিত ‘যুগে যুগে স্বৈরাচার ও তাদের করুণ পরিণতি’ নামে একটি প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। সেই প্রবন্ধে লেখা হয়েছে, ‘অনেক মুসলিম না বুঝে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল, এটা তাদের ব্যর্থতা ও অদূরদর্শিতা ছিল। আল্লাহ তায়ালা তাদের ক্ষমা করুন’।

প্রবন্ধের এই অংশ উদ্ধৃত করে ছাত্রদলের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “স্বাধীনতার দীর্ঘ পাঁচ দশক পেরিয়ে এসেও নিজেদের দলীয় প্রকাশনায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করাকে ভুল ও অদূরদর্শিতা হিসেবে প্রচার করা এবং ‘পাপকাজ মনে করে’ ক্ষমা প্রার্থনা করা একটি গর্হিত এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনা।

“প্রকৃতপক্ষে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ কোনো ধর্মযুদ্ধ ছিল না। এটি ছিল অত্যাচারী, জালিম, দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্বিচারে গণহত্যার বিরুদ্ধে মজলুম বাংলাদেশীদের প্রতিরোধের যুদ্ধ। ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে আপামর জনসাধারণের অংশগ্রহণের কারণে মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটি সত্যিকারের জনযুদ্ধ।”

ছাত্রদল বলেছে, “কেউ ভুল করে কিংবা না বুঝে মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছে এই বক্তব্য একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তাদের দোসরদের ধৃষ্টতা ও নিজেদের পরাজয়ের গ্লানি চাপা দেওয়ার অপকৌশল ছাড়া আর কিছুই নয়। ছাত্রশিবিরের এরূপ কাণ্ডজ্ঞানহীন প্রচারণার কারণে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বুদ্ধিবৃত্তিক পুনর্বাসনের প্রেক্ষাপট তৈরি করবে।

“ছাত্রশিবির একদিকে স্বাধীনতা ও বিজয় দিবসে ‘স্বাধীনতা এনেছি, স্বাধীনতা রাখব’ স্লোগান দিয়ে র‌্যালি করে, আবার অন্যদিকে নিজেদের দলীয় প্রকাশনায় মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেওয়াকে ভুল ও অদূরদর্শিতা হিসেবে প্রচার করবে, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবে, এটি সুস্পষ্ট দ্বিচারিতা। এই দ্বিচারিতার ফলে প্রমাণিত হয় প্রকাশ্যে তারা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করার কৌশল গ্রহণ করলেও ভেতরে ভেতরে ছাত্রশিবির পূর্বসূরি ছাত্রসংঘের মতো মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের মনোভাবই তারা ধারণ করে।”

মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কটাক্ষ করার জন্য ছাত্রশিবিরকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, “ছাত্রশিবির কর্তৃক নিজেদের দলীয় পত্রিকায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের ব্যাপারে আপত্তিকর বক্তব্য প্রচারের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবিলম্বে ছাত্র শিবিরকে ক্ষমাপ্রার্থনা এবং মুক্তিযুদ্ধই আমাদের ভিত্তি ও অস্তিত্ব- এই সত্যকে মেনে নেওয়া ও ধারণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”