ঢাকা ০৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
স্বামীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত খালেদা জিয়া জনজোয়ারে খালেদা জিয়ার জানাজা অনুষ্ঠিত ঢাকায় পৌঁছেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর খালেদা জিয়ার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকায় পাকিস্তানের স্পিকার মানিক মিয়া এভিনিউয়ে জনতার ঢল সংসদ ভবনের পথে খালেদা জিয়ার মরদেহ কক্সবাজারে খালেদা জিয়ার শেষ সফর ছিলো ২০১৭ সালে থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক
ব্যঙ্গার্থক দাবী করে অধ্যক্ষের পদত্যাগ চায় ছাত্রদল

কক্সবাজার কলেজে বেগম জিয়াকে নিয়ে ‘মিমিক্রি’

কক্সবাজার সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ ইভেন্টে এক ছাত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবয়ব নিয়ে অংশ নেন। সেখানে ওই ছাত্রী বেগম জিয়ার মিমিক্রি (নকল করে কথা বলা) করেন।

তবে মিমিক্রির বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলার সময় তার ধরন ‘নানান ইঙ্গিত পূর্ণ’ হওয়ার অভিযোগ তোলেন সেখানে উপস্থিত কলেজ শিক্ষার্থীরা। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ‘মিমিক্রি’টি ব্যঙ্গার্থক দাবী করে ওই ছাত্রীর অংশগ্রহণ বাতিল করতে বলেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আতাহার সাকিব টিটিএনকে জানান, এমন অভিযোগ উঠার সাথে সাথেই তাৎক্ষণিক ওই ছাত্রীকে প্রতিযোগী তালিকা থেকে বাতিল করে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।

সাকিব বলেন, ‘তবে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি উঠায় পরবর্তীতে কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন সে এটি নিছক একটি অভিনয় ছিলো বলেই দাবী করেন এবং বেগম জিয়ার বিভিন্ন বক্তব্যের ইউটিউব লিংক দেখান। যেখান থেকে সে স্ক্রিপ্ট তৈরি করেছেন।’

তারপরও অভিনয়টি সঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে না পারায় সে ওই মুহুর্তে সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন বলে জানান সাকিব।

কলেজ ছাত্রদলের সদস্য মিনহাজ উদ্দিন টিটিএনকে বলেন,” সফল রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রীকে নিয়ে অভিনয়টি ব্যঙ্গার্থক ছিলো। বিষয়টি আপত্তিকর হওয়ায় আমি ওই ছাত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলি। কিন্তু কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ানো হয়।”

মিনহাজ আরো বলেন, “আমরা বিষয়টির পেছনে কারো ইন্ধন রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানালেও কলেজ অধ্যক্ষ বিষয়টিতে কর্নপাত না করেই সমাধান করেছেন। তাই আমরা কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী করছি।”

বিষয়টি অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা এর নিন্দা জানান এবং নানান প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রদলের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ সোলাইমানের পদত্যাগ দাবী করা হয়।

এসময় ছাত্রদল নেতা শাহদাত হোসেন রিপন বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ একটি নির্দিষ্ট দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই বেগম জিয়াকে নিয়ে এমন কর্মকাণ্ড করার অনুমতি দিয়েছেন। আমরা তার পদত্যাগ দাবী করছি৷

এরপর সন্ধ্যায় কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ সোলাইমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়- “ওই প্রতিযোগীকে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রতিযোগিতা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষের কক্ষে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হলো।”

এদিকে এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে বিতর্কিত মন্তব্য করে অপসারণ দাবী করেন।

ওই ছাত্রী কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। তবে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

This will close in 6 seconds

ব্যঙ্গার্থক দাবী করে অধ্যক্ষের পদত্যাগ চায় ছাত্রদল

কক্সবাজার কলেজে বেগম জিয়াকে নিয়ে ‘মিমিক্রি’

আপডেট সময় : ০৪:০০:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজার সরকারি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার ‘যেমন খুশি তেমন সাজো’ ইভেন্টে এক ছাত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অবয়ব নিয়ে অংশ নেন। সেখানে ওই ছাত্রী বেগম জিয়ার মিমিক্রি (নকল করে কথা বলা) করেন।

তবে মিমিক্রির বিভিন্ন পর্যায়ে কথা বলার সময় তার ধরন ‘নানান ইঙ্গিত পূর্ণ’ হওয়ার অভিযোগ তোলেন সেখানে উপস্থিত কলেজ শিক্ষার্থীরা। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ‘মিমিক্রি’টি ব্যঙ্গার্থক দাবী করে ওই ছাত্রীর অংশগ্রহণ বাতিল করতে বলেন শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।

কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আতাহার সাকিব টিটিএনকে জানান, এমন অভিযোগ উঠার সাথে সাথেই তাৎক্ষণিক ওই ছাত্রীকে প্রতিযোগী তালিকা থেকে বাতিল করে দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ।

সাকিব বলেন, ‘তবে বিষয়টি নিয়ে আপত্তি উঠায় পরবর্তীতে কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন সে এটি নিছক একটি অভিনয় ছিলো বলেই দাবী করেন এবং বেগম জিয়ার বিভিন্ন বক্তব্যের ইউটিউব লিংক দেখান। যেখান থেকে সে স্ক্রিপ্ট তৈরি করেছেন।’

তারপরও অভিনয়টি সঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে না পারায় সে ওই মুহুর্তে সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন বলে জানান সাকিব।

কলেজ ছাত্রদলের সদস্য মিনহাজ উদ্দিন টিটিএনকে বলেন,” সফল রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান ও দেশনেত্রীকে নিয়ে অভিনয়টি ব্যঙ্গার্থক ছিলো। বিষয়টি আপত্তিকর হওয়ায় আমি ওই ছাত্রীকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলি। কিন্তু কলেজ অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে গিয়ে ক্ষমা চাওয়ানো হয়।”

মিনহাজ আরো বলেন, “আমরা বিষয়টির পেছনে কারো ইন্ধন রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানালেও কলেজ অধ্যক্ষ বিষয়টিতে কর্নপাত না করেই সমাধান করেছেন। তাই আমরা কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবী করছি।”

বিষয়টি অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর বিএনপি নেতাকর্মীরা এর নিন্দা জানান এবং নানান প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সন্ধ্যায় জেলা ছাত্রদলের ব্যানারে একটি বিক্ষোভ মিছিল থেকে কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ সোলাইমানের পদত্যাগ দাবী করা হয়।

এসময় ছাত্রদল নেতা শাহদাত হোসেন রিপন বলেন, কলেজ অধ্যক্ষ একটি নির্দিষ্ট দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতেই বেগম জিয়াকে নিয়ে এমন কর্মকাণ্ড করার অনুমতি দিয়েছেন। আমরা তার পদত্যাগ দাবী করছি৷

এরপর সন্ধ্যায় কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ সোলাইমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়- “ওই প্রতিযোগীকে তাৎক্ষণিক ভাবে প্রতিযোগিতা থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের উপস্থিতিতে অধ্যক্ষের কক্ষে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ করা হলো।”

এদিকে এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে কক্সবাজারের সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষকে বিতর্কিত মন্তব্য করে অপসারণ দাবী করেন।

ওই ছাত্রী কলেজের ইতিহাস বিভাগের স্নাতক ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। তবে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।