ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে শোক পালন: সাগরতীরের তারকা হোটেলগুলোতে থার্টি-ফার্স্টের আয়োজন বাতিল চকরিয়ায় যুবদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যা রুমিন ফারহানা-নীরবসহ ৮ জনকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার থার্টি ফার্স্ট নাইট:জেলা পুলিশের কঠোর বিধি-নিষেধ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজার সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে যৌথ অভিযান কোস্টগার্ডের খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে জাতিসংঘের শোক খালেদা জিয়ার স্মৃতিচিহ্ন এবং একটি চেয়ার বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শোক খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শেখ হাসিনার শোক খালেদার সেবাসঙ্গী ফাতেমা খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ৩ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক, একদিনের সাধারণ ছুটি খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সাত দিন শোক পালনের কর্মসূচি বিএনপির
চাচার খুনের প্রতিশোধ নিলো ভাতিজা

টিপুকে ‘মধু ফাঁদে’ আনা হয় কক্সবাজার

চাচার খুনের প্রতিশোধ নিতেই ভাতিজা শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭) গুলি করে হত্যা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপুকে। এ হত্যাকাণ্ডে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ঋতু (২৪) নামের এক নারীকে।

৯ জানুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্টে গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার মৌলভীবাজার থেকে তিনজনকে গ্রেফতারের পর খুনের কারন হিসেবে এসব তথ্য জানায় পুলিশ।

গ্রেফতার তিনজন হলেন, খুলনার দেওয়ান মোল্লাপাড়ার মো. সেলিম আকন্দ এর কন্যা ঋতু (২৪), একই এলাকার জামাল শেখ এর পুত্র শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭) ও মধ্য কারিগর পাড়ার মো. হায়দার সরদার অদুদের পুত্র গোলাম রসুল (২৫)।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বলেন, চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি খুলনার নেতা ছিলেন হুজি শহীদুল। ২০১৩ সালে যাকে হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন কাউন্সিলর টিপু এবং এ হত্যা মামলায় ৪ আসামীর মধ্যে আরো এক আসামীকে একই ভাবে ২০২২ সালে হত্যা করা হয়। আর হুজি শহীদের ভাতিজা হলেন পুলিশের হাতে আটক শেখ শাহরিয়ার পাপ্পু। যেখান থেকে শত্রুতা ও ক্ষোভ তৈরি হয়।

রহমত উল্লাহ বলেন, স্থানীয় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারের বিষয়ও রয়েছে এ হত্যার পেছনে।

“খুব সুকৌশলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এ হত্যাকাণ্ড করার জন্য আসামীরা কক্সবাজারকে সুইটেবল প্লেস মনে করেছে” বলেন পুলিশ সুপার।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এই তিন জনই হত্যার সময় কক্সবাজার অবস্থান করেছেন। সাথে থাকা নারী, কাউন্সিলর টিপুর গতিবিধি জানিয়েছেন খুনে জড়িত পাপ্পুকে। সহযোগী গোলাম রসুলসহ পাপ্পু উঠেছিলেন কক্সবাজার শহরের কক্স কুইন রিসোর্টে। খুনের পর তারা ব্যবহৃত অস্ত্রটি ওই রিসোর্টের ২০৮ নং কক্ষের চিলেকোঠায় রেখে পালিয়ে যান। পরে অস্ত্রটি পুলিশ উদ্ধার করে।

অস্ত্রের যোগানদাতা কে বা কারা তাও তদন্ত করছে পুলিশ। এছাড়া এঘটনার পরপর আটক হয়ে কারাগারে থাকা খুলনার আরেক সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালুর কক্সবাজারে আসার কারন ও কক্সবাজারে টিপুর বন্ধু মেজবাহ উদ্দিন ভুট্টোর বিষয়েও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

৯ জানুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি গাল পয়েন্টে গুলি করে হত্যা করা হয় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপুকে। এরপর ১০ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন টিপুর ভগ্নিপতি মো. ইউনুস আলী শেখ।

ট্যাগ :
জনপ্রিয় সংবাদ

থার্টি ফার্স্টে লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম হবে: মানতে হবে পুলিশী নির্দেশনা, বার বন্ধ থাকবে

This will close in 6 seconds

চাচার খুনের প্রতিশোধ নিলো ভাতিজা

টিপুকে ‘মধু ফাঁদে’ আনা হয় কক্সবাজার

আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

চাচার খুনের প্রতিশোধ নিতেই ভাতিজা শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭) গুলি করে হত্যা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপুকে। এ হত্যাকাণ্ডে টোপ হিসেবে ব্যবহার করা হয় ঋতু (২৪) নামের এক নারীকে।

৯ জানুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি-গাল পয়েন্টে গোলাম রব্বানী টিপু হত্যার ঘটনায় মঙ্গলবার মৌলভীবাজার থেকে তিনজনকে গ্রেফতারের পর খুনের কারন হিসেবে এসব তথ্য জানায় পুলিশ।

গ্রেফতার তিনজন হলেন, খুলনার দেওয়ান মোল্লাপাড়ার মো. সেলিম আকন্দ এর কন্যা ঋতু (২৪), একই এলাকার জামাল শেখ এর পুত্র শেখ শাহরিয়ার ইসলাম পাপ্পু (২৭) ও মধ্য কারিগর পাড়ার মো. হায়দার সরদার অদুদের পুত্র গোলাম রসুল (২৫)।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে কক্সবাজার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার রহমত উল্লাহ বলেন, চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি খুলনার নেতা ছিলেন হুজি শহীদুল। ২০১৩ সালে যাকে হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন কাউন্সিলর টিপু এবং এ হত্যা মামলায় ৪ আসামীর মধ্যে আরো এক আসামীকে একই ভাবে ২০২২ সালে হত্যা করা হয়। আর হুজি শহীদের ভাতিজা হলেন পুলিশের হাতে আটক শেখ শাহরিয়ার পাপ্পু। যেখান থেকে শত্রুতা ও ক্ষোভ তৈরি হয়।

রহমত উল্লাহ বলেন, স্থানীয় আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারের বিষয়ও রয়েছে এ হত্যার পেছনে।

“খুব সুকৌশলে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে এ হত্যাকাণ্ড করার জন্য আসামীরা কক্সবাজারকে সুইটেবল প্লেস মনে করেছে” বলেন পুলিশ সুপার।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এই তিন জনই হত্যার সময় কক্সবাজার অবস্থান করেছেন। সাথে থাকা নারী, কাউন্সিলর টিপুর গতিবিধি জানিয়েছেন খুনে জড়িত পাপ্পুকে। সহযোগী গোলাম রসুলসহ পাপ্পু উঠেছিলেন কক্সবাজার শহরের কক্স কুইন রিসোর্টে। খুনের পর তারা ব্যবহৃত অস্ত্রটি ওই রিসোর্টের ২০৮ নং কক্ষের চিলেকোঠায় রেখে পালিয়ে যান। পরে অস্ত্রটি পুলিশ উদ্ধার করে।

অস্ত্রের যোগানদাতা কে বা কারা তাও তদন্ত করছে পুলিশ। এছাড়া এঘটনার পরপর আটক হয়ে কারাগারে থাকা খুলনার আরেক সাবেক কাউন্সিলর শেখ হাসান ইফতেখার চালুর কক্সবাজারে আসার কারন ও কক্সবাজারে টিপুর বন্ধু মেজবাহ উদ্দিন ভুট্টোর বিষয়েও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

৯ জানুয়ারি কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সি গাল পয়েন্টে গুলি করে হত্যা করা হয় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গোলাম রব্বানী টিপুকে। এরপর ১০ জানুয়ারি কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন টিপুর ভগ্নিপতি মো. ইউনুস আলী শেখ।