শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিনারের কার্যালয়ের সর্বশেষ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৬৪ হাজার ৭ শত ১৮ জন রোহিঙ্গা নতুন করে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।
২৬ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) প্রকাশিত ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৭ হাজার ৪ শত ৭৮টি এফডিএমএন (বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক) তথা রোহিঙ্গা পরিবার গত কয়েক মাসে উখিয়া-টেকনাফের ক্যাম্পগুলোতে প্রবেশ করে।
এছাড়াও মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৪৪ জন চাকমা ও বড়ুয়া সম্প্রদায়ের ২ জন উখিয়ার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।
প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের রাখাইনে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরকান আর্মি নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় গত দুই বছর ধরে দেশটির সামরিক জান্তার সাথে লড়াই করছে।
চলতি মাসে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত অঞ্চলের পুরো মিয়ানমার অংশ (২৭১ কিলোমিটার প্রায়) নিজেদের দখলে নেওয়ার দাবী করে বিবৃতি দেয় আরকান আর্মি।
এর কিছুদিন পর জান্তার পশ্চিমাঞ্চলের সামরিক কমান্ড সদর দপ্তর দখল করার কথা জানায় বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি।
এদিকে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারিস সাঙ্গিয়াম্পংসার সভাপতিত্বে গত সপ্তাহের শেষদিনে ব্যাংককে ছয় দেশের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সভায় অংশ নিয়ে দেশে ফেরার পর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে বলেন,” বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে দুর্নীতির কারণে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটছে। এই দুর্নীতির কারণে স্থল, জলসীমাসহ সীমান্তের নানা রুট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আটকানো খুব কঠিন হচ্ছে।”