১৩ মাস হয়েছে ভালোবেসে বিয়ে করেছেন। সেই ভালেবাসার মানুষটির হাতেই মধ্যযুগীয় বর্বরতার শিকার হলেন সালমা আকতার। যৌতুকের জন্য তার হাত পিটিয়ে ভেঙে দেয়া হয়েছে। আঘাত করেছে শরীরের বিভিন্ন অংশে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড উত্তর বড়ঘোপ এলাকায় এ নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
২০২৪ সালের ৬ আগষ্ট
কুতুবদিয়া উপজেলার বড়ঘোপ ইউনিয়নের উত্তর বড়ঘোপ এলাকার আবুল বশরের পুত্র ওমর ফারুকের সাথে দীর্ঘদিনের ভালোবাসার পূর্ণতা দিতে পালিয়ে বিয়ে করেন একই এলাকার সালমা আকতার।
সালমা আকতার জানান, পরিবারের অমতে ভালোবেসে ওমর ফারুককে পালিয়ে বিয়ে করেছেন। বিয়ের ৬ মাসের পর থেকে ওমর ফারুকের মামা মোঃ আজিজ ওমর ফারুককে শ্বশুর বাড়ি থেকে যৌতুক নেওয়ার জন্য বলার পর থেকে শুরু জয় শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন। কয়েকমাস আগে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কয়েকদিন আগে স্বামী আর নির্যাতন করবে না বলার পর তার সরল কথা বিশ্বাস করে শ্বশুর বাড়িতে
ফিরল আসারএকদিন পর বৃহস্পতিবার রাতে যৌতুক ছাড়া কেন আসলাম বলে স্বামী ওমর ফারুক, তার মামা মোঃ আজিজ, দেবর মোঃ জাহেদ তাকে মারধর করে। সকালে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার পর বাড়ি ফিরলে আবারও মারধর করলে ডান হাত ভেঙে যায়। এসময় তাকে উদ্ধার করে কুতুবদিয়া হাসপাতালে নেয়া হয় এবং পরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয় বলে তিনি জানান।
যৌতুক লোভী স্বামী ওমর ফারুক, মামা শ্বশুর মোঃ আজিজ, দেবর মোঃ জাহেদ ও শ্বাশুড়ির বিচার দাবী করেন সালমা আকতার।
নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করে সালমা আকতারের স্বামী ওমর ফারুক বলেন, তাকে মারধর করা হয়নি। যৌতুক চাওয়ার বিষয়টি মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবী করেন তিনি।
সালমা আকতারের বড় ভাই জানান, যৌতুকের দাবীতে সালমা আকতারকে নির্যাতনকারী সবার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে।
এই বিষয়ে বড়ঘোপ ১নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য মাঈন উদ্দিন হাসেম (মিন্টু) জানান, এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। স্বামী ওমর ফারুক নির্যাতন করবে না প্রতিশ্রুতি দিলেও স্ত্রীকে মারধর করে। শুক্রবার সকালে সালমা আকতারকে নির্যাতনের বিষয়টি তার পরিবার জানানোর পর হাসপাতালে গিয়ে দেখি তার ডান হাতে আঘাত। ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করেছে।
এই বিষয়ে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরমান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিং এ ব্যস্ত থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদক : 
























