কক্সবাজার জেলায় নিরাপদ, সুশৃঙ্খল এবং মানবিক অভিবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ জেলা অভিবাসন সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংলাপটি জেলা অভিবাসন সমন্বয় কমিটির (ডিএমসিসি) কার্যক্রমকে আরও শক্তিশালী করার উদ্দেশ্যে আয়োজিত হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় কক্সবাজারের ওশ্যান প্যারাডাইস হোটেলের শাহ সুজা হলে ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এবং দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন ও ফরেন, কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিসের (FCDO) সহায়তায় এ সংলাপটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. মাসুদ রানা এবং কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইয়ামিন হোসেন।
ডিএমসিসির উদ্দেশ্য ও কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন বিএমইটির ডেপুটি ডিরেক্টর মো. আলী সিদ্দিকী। ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক পারভেজ সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সংলাপটি সঞ্চালনা করেন ফাউন্ডেশনের প্রকল্প সমন্বয়কারী মারিয়াম প্রমা।
সংলাপে আরও বক্তব্য রাখেন এশিয়া ফাউন্ডেশনের যোগাযোগ সমন্বয়কারী ফারদিন রহমান, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান এবং এনটিভির জেলা প্রতিনিধি ইকরাম চৌধুরী টিপু। সংলাপে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটির সদস্য এবং গণমাধ্যমের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
এই সংলাপের মূল লক্ষ্য ছিল কক্সবাজার জেলায় অভিবাসন প্রক্রিয়াকে সুশৃঙ্খল, নিরাপদ এবং মানবিক করার জন্য অংশীজনদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা। এতে অভিবাসন প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে স্বচ্ছতা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি অভিবাসীদের অধিকার ও কল্যাণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দেওয়া হয়।
ফিল্মস ফর পিস ফাউন্ডেশন “বিল্ডিং এ ফেয়ার অ্যান্ড জাস্ট মাইগ্রেশন সিস্টেম” প্রকল্পের আওতায় এই সংলাপের আয়োজন করে। কোয়ালিশন ফর ফেয়ারার লেবার মাইগ্রেশন – পেরি কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত এই প্রকল্প বাস্তবায়নে দ্য এশিয়া ফাউন্ডেশন এবং FCDO বিশেষ সহায়তা প্রদান করেছে।
সংলাপে অংশগ্রহণকারী বক্তারা অভিবাসন প্রক্রিয়ার চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাবনা নিয়ে আলোকপাত করেন এবং সকল অংশীজনের সমন্বয়ে একটি নিরাপদ ও টেকসই অভিবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এই ধরনের সংলাপের মাধ্যমে অভিবাসন ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা, সমন্বয় এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা সম্ভব হবে বলে আয়োজকরা আশাবাদী।