ঈদগাঁ উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের চেয়ারে বসতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন আওয়ামীলীগ নেতা ছৈয়দ নুর। এর আগে আওয়ামীলীগের আরেক নেতা সাবেক চেয়ারম্যান রফিক আহমেদ দীর্ঘদিন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন।
জানা যায়, ছৈয়দ নুর পোকখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ছৈয়দ নুর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের দায়িত্বে থাকাকালীন ছৈয়দ নুরের নেতৃত্বে তৎকালীন জাতীয় নির্বাচনে পোকখালীর ভোট কেন্দ্র গুলোতে ভোট ডাকাতির পরিকল্পনা করা হয়েছিলো এবং তার নেতৃত্বে স্থানীয় বেশ কিছু বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলায় নাম দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভুক্তভোগী বিএনপি নেতাকর্মীরা।
আওয়ামীলীগের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পোকখালীতে বিভিন্ন চিংড়ি ঘের ও জায়গা জমি সহ সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে অঢেল সম্পদের মালিক হওয়ারও অভিযোগ রয়েছে ছৈয়দ নুরের বিরুদ্ধে।
শুধু তাই নয় নিজ পুত্র যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন আওয়ামীলীগের বড় বড় নেতাদের সাথে যোগ সাজশে বিএনপি, জামায়াতের নেতাদের মামলার ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। জয়নাল আবেদীন পোকখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড যুবলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।
স্থানীয়দের দাবি আওয়ামী দোসর ছৈয়দ নুর মেম্বার পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে বসলে গত ১৬ থেক ১৭ বছর আওয়ামীলীগের ক্ষমতা অপব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে যেভাবে জিম্মি করে রেখেছিলেন তার পুনরাবৃত্তি হবে। সুতরাং স্থানীয়দের দাবি দ্রুত এই আওয়ামী দোসর কে আইনের আওতায় এনে পোকখালী ইউনিয়নকে দোসরমুক্ত একটি ইউনিয়ন হিসেবে গড়ার তোলা হোক।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগ নেতা ছৈয়দ নুরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে তিনি কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত নেই এবং তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা বলেও দাবি করেন তিনি।