নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজারের রামু সমাজসেবা অফিসে প্রতিবন্ধী ভাতার সিম ও নগদ একাউন্ট করতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক ভুক্তভোগী প্রতিবন্দীদের টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন রামু সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিব।
রবিবার এক সাক্ষাতকারে রামু সমাজসেবা কর্মকর্তা টিটিএনকে বলেন, কিছু প্রতিবন্ধী ভাতাপ্রাপ্তদের সিম ও নগদ একাউন্ট করতে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের একটি সংবাদ চোখে পড়ার সাথে সাথেই অভিযুক্তদের সাথে কথা বলেছি। যাদের কাছ থেকেই টাকা নিয়েছে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের টাকা ফেরতের নির্দেশও দিয়েছি। পাশাপাশি তাদেরকে কঠোর তীরষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে গত ১৯শে মে টিটিএনে “প্রতিবন্ধী ভাতা বিতরণে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছিলো। এরপরেই তৎক্ষনাৎ ব্যবস্থা নেন রামু সমাজসেবা কর্মকর্তা আল গালিব। তিনি আরও জানান, ট্রেনিংয়ে থাকার কারণে ভুক্তভোগীদের এসব অভিযোগ না পাওয়ায় আগে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। উপজেলায় নানান ভাতা প্রদানে সকল শ্রেণীর মানুষের সহজ যোগাযোগ ও কল্যাণেও কাজ করছনে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
পাশাপাশি রামু সমাজসেবা অফিসের যেকোনো সেবা ও অভিযোগ নিয়ে সহজেই যেকেউ সমাজসেবা অফিসে গিয়ে মৌখিক ও লিখিতভাবে জানাতে পারবেন বলেও আশ্বাস দেন এই কর্মকর্তা। তবে প্রতিবন্ধী ভাতায় অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার পর পরই সমাজসেবা কর্মকর্তার ব্যবস্থা নেওয়াকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন স্থানীয়রা।
এর আগেও রামু সমাজসেবা অফিসের ফিল্ড সুপারভাইজার নজির আহম্মদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের একাধিক অভিযোগ উঠে। বারবার এরকম ঘটনা ঘটলেও কোন বিভাগীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় এসব অসাধু কর্মচারীরা পার পেয়ে যান বলে দাবী স্থানীয় সুশীল সমাজের।