ঢাকা ০৫:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ অগাস্ট ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মায়ানমার: শান্তি ও গণতন্ত্রের নামে দাবার খেলায় রেফারি কে? মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক শাহাবুদ্দিন, মানুষের সাহায্যের অপেক্ষায়… কক্সবাজার জেলা ছাত্রদলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সমগ্র কক্সবাজার বিদ্যুৎ থাকবেনা শুক্রবার! অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করলো মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা অনলাইন মাল্টিমিডিয়ায় নুরুন্নাহারকে নিয়ে প্রচারিত সংবাদের প্রতিবাদ ‘নির্বাচন একদিনও পেছাবে না, তবে আগামী ৫-৬ দিন গুরুত্বপূর্ণ’ অতিরিক্ত রোগীর চাপে নিজেই রোগী কক্সবাজার সদর হাসপাতাল! কক্সবাজার সদর উপজেলা ফুটবল খেলোয়াড় সমিতির নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। নির্বাচন প্রধান উপদেষ্টা যে সময়ে বলেছেন, তার থেকে একটা দিন দেরি হবে না: প্রেস সচিব চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে দুই ট্রেনের সময় বদলে যাচ্ছে শিবির নেতা সাদিক কায়েম সমন্বয়ক ছিল না, ৫ আগস্ট থেকে এই পরিচয় ব্যবহার করেছে : নাহিদ জাতীয় ঐকমত্য কমিশন: প্রথম ধাপে ৬২ প্রস্তাবে একমত রাজনৈতিক দলগুলো প্লট বরাদ্দে দুর্নীতি : শেখ হাসিনার বিচার শুরু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি অনলাইনে ময়মনসিংহের তরুণীর সাথে প্রেম, বিয়ের এক বছর পর উখিয়ায় যুবকের মরদেহ উদ্ধার
হয়না কোনো উচ্ছ্বাস

রেজাল্ট দেখতে স্কুলে আসেনা শিক্ষার্থীরা!

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মতো শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা গুলোর ফলাফল দেখতে আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসতো শিক্ষার্থীরা। গেলো দুই-তিন বছর আগেও শিক্ষার্থীদের আনাগোনা দেখা যেতো। উচ্ছ্বাসের বর্ণিল আবহ দেখা যেতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে।

দেখা যেতো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরম ভালোবাসার সব চিত্র। ফল প্রত্যাশীদের সাথে দেখা যেতো বর্তমান শিক্ষার্থীদের, আসতো প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও।

কিন্তু এখন ফল প্রকাশের দিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ গুলোতে দেখা মেলেনা কোনো শিক্ষার্থীকেও। ফাঁকা বিদীর্ণ চিত্র যেনো প্রতিষ্ঠান গুলোতে এমন খুশির দিনেও।

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকাশ করা হয় চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। আমাদের প্রতিবেদকরা জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে এমন বাস্তবতা জানান।

দুপুর ১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের অন্তত ৪টি স্কুলে গিয়েছেন টিটিএনের নিজস্ব প্রতিবেদক আফজারা রিয়া। দুই-একজন অভিভাবককে দেখতে পেলেও তিনি কোনো শিক্ষার্থীকে দেখতে পাননি।

জ্যেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক রহিম উদ্দিন জানান, ৩ বছর আগেও স্কুল প্রাঙ্গনে এসে ফলাফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের ছবি তুলেছেন তিনি। কিন্তু দুই-এক বছর ধরে তা আর দেখা যায়না।

কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামমোহন সেন জানান, শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই সব পেয়ে যায়, তাই আর আসতে চায়না না।

রামমোহন বলেন, “আজ শুধু একজন গার্ডিয়ান এসেছিলেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা স্কুলের চেয়ে আগে পূর্ণাঙ্গ রেজাল্ট পেয়ে যায় অনলাইনে।”

“দুই-এক বছর আগেও ১০-২০ জন অন্তত আসতো৷ এখন আর সেই উচ্ছ্বাস নেই স্কুল ঘিরে”- বলেন রামমোহন সেন।

ট্যাগ :

মায়ানমার: শান্তি ও গণতন্ত্রের নামে দাবার খেলায় রেফারি কে?

This will close in 6 seconds

হয়না কোনো উচ্ছ্বাস

রেজাল্ট দেখতে স্কুলে আসেনা শিক্ষার্থীরা!

আপডেট সময় : ০৩:৩৭:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মতো শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা গুলোর ফলাফল দেখতে আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসতো শিক্ষার্থীরা। গেলো দুই-তিন বছর আগেও শিক্ষার্থীদের আনাগোনা দেখা যেতো। উচ্ছ্বাসের বর্ণিল আবহ দেখা যেতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে।

দেখা যেতো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরম ভালোবাসার সব চিত্র। ফল প্রত্যাশীদের সাথে দেখা যেতো বর্তমান শিক্ষার্থীদের, আসতো প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও।

কিন্তু এখন ফল প্রকাশের দিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ গুলোতে দেখা মেলেনা কোনো শিক্ষার্থীকেও। ফাঁকা বিদীর্ণ চিত্র যেনো প্রতিষ্ঠান গুলোতে এমন খুশির দিনেও।

বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকাশ করা হয় চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। আমাদের প্রতিবেদকরা জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে এমন বাস্তবতা জানান।

দুপুর ১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের অন্তত ৪টি স্কুলে গিয়েছেন টিটিএনের নিজস্ব প্রতিবেদক আফজারা রিয়া। দুই-একজন অভিভাবককে দেখতে পেলেও তিনি কোনো শিক্ষার্থীকে দেখতে পাননি।

জ্যেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক রহিম উদ্দিন জানান, ৩ বছর আগেও স্কুল প্রাঙ্গনে এসে ফলাফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের ছবি তুলেছেন তিনি। কিন্তু দুই-এক বছর ধরে তা আর দেখা যায়না।

কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামমোহন সেন জানান, শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই সব পেয়ে যায়, তাই আর আসতে চায়না না।

রামমোহন বলেন, “আজ শুধু একজন গার্ডিয়ান এসেছিলেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা স্কুলের চেয়ে আগে পূর্ণাঙ্গ রেজাল্ট পেয়ে যায় অনলাইনে।”

“দুই-এক বছর আগেও ১০-২০ জন অন্তত আসতো৷ এখন আর সেই উচ্ছ্বাস নেই স্কুল ঘিরে”- বলেন রামমোহন সেন।