মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের মতো শিক্ষা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষা গুলোর ফলাফল দেখতে আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসতো শিক্ষার্থীরা। গেলো দুই-তিন বছর আগেও শিক্ষার্থীদের আনাগোনা দেখা যেতো। উচ্ছ্বাসের বর্ণিল আবহ দেখা যেতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘিরে।
দেখা যেতো শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরম ভালোবাসার সব চিত্র। ফল প্রত্যাশীদের সাথে দেখা যেতো বর্তমান শিক্ষার্থীদের, আসতো প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও।
কিন্তু এখন ফল প্রকাশের দিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ গুলোতে দেখা মেলেনা কোনো শিক্ষার্থীকেও। ফাঁকা বিদীর্ণ চিত্র যেনো প্রতিষ্ঠান গুলোতে এমন খুশির দিনেও।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রকাশ করা হয় চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল। আমাদের প্রতিবেদকরা জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থান করে এমন বাস্তবতা জানান।
দুপুর ১টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত কক্সবাজার শহরের অন্তত ৪টি স্কুলে গিয়েছেন টিটিএনের নিজস্ব প্রতিবেদক আফজারা রিয়া। দুই-একজন অভিভাবককে দেখতে পেলেও তিনি কোনো শিক্ষার্থীকে দেখতে পাননি।
জ্যেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক রহিম উদ্দিন জানান, ৩ বছর আগেও স্কুল প্রাঙ্গনে এসে ফলাফল নিয়ে শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাসের ছবি তুলেছেন তিনি। কিন্তু দুই-এক বছর ধরে তা আর দেখা যায়না।
কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামমোহন সেন জানান, শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই সব পেয়ে যায়, তাই আর আসতে চায়না না।
রামমোহন বলেন, “আজ শুধু একজন গার্ডিয়ান এসেছিলেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীরা স্কুলের চেয়ে আগে পূর্ণাঙ্গ রেজাল্ট পেয়ে যায় অনলাইনে।”
“দুই-এক বছর আগেও ১০-২০ জন অন্তত আসতো৷ এখন আর সেই উচ্ছ্বাস নেই স্কুল ঘিরে”- বলেন রামমোহন সেন।