Wednesday, May 8, 2024

টিটিএনের প্রতিবেদন: টিকিট কালোবাজারি নিয়ে আদালতের স্বপ্রণোদিত মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

কক্সবাজার – ঢাকা রেলের টিকিট কালোবাজারি নিয়ে টিটিএনে প্রচারিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন নজরে আসে আদালতের। এরপর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করে এবং বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয় র‍্যাব-১৫ অধিনায়ককে।

গেলো শুক্রবার ”কক্সবাজারে রেলের টিকিট কালোবাজারির সন্ধান” শিরোনামে প্রচারিত ওই প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে রোববার মামলাটি দায়ের হয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যার আদালতে।

এতে ই-টিকিটিং পোর্টাল সহজ ডটকমের অফিসার হাসিবুল ও তার দুই সহযোগীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ট্রেনের টিকিট কোথায় যাচ্ছে, কোনো সিন্ডিকেটের কবলে কালোবাজারি হচ্ছে কি না, এর সঙ্গে কারা জড়িত- এসব তদন্ত করতে র‍্যাব-১৫ কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মামলার পর্যালোচনায় আদালত উল্লেখ করে, টিটিএনের প্রতিবেদন বিশ্লেষনে আদালতের নিকট প্রতীয়মান হয় কক্সবাজার ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির হাতে ছড়িয়ে পড়ায় সাধারণ নাগরিকদের টিকিট প্রাপ্তিতে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে।

সেই সাথে টিকিট কালোবাজারি সুনির্দিষ্টভাবে আরো কার কার দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে তাদের বিস্তারিত নাম, ঠিকানা উল্লেখ করে অপরাধটি কাদের দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে তা প্রাথমিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে নিরুপন করা প্রয়োজন এবং সহজ ডট কমের কোনো কর্মকর্তা কর্মচারী তাতে জড়িত আছে কিনা সেই বিষয়ে তদন্তের মাধ্যমে আসামীদের সনাক্ত করা প্রয়োজন।

এরপ্রেক্ষিতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে র‍্যাবকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

মামলাটিতে সাক্ষ্য দিতে বলা হয় টিটিএনের প্রতিবেদককেও। জনস্বার্থ মূলক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আদালতকে টিটিএনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার কথা জানান প্রতিবেদক আব্দুর রশিদ মানিক।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) মো. আবু সালাম চৌধুরী জানান, আদালতের আদেশটি এখনও হাতে পৌঁছেনি। পেলে যথাযথভাবে তদন্ত করবে র‍্যাব।

এদিকে জনস্বার্থে প্রচারিত সংবাদটি নিয়ে স্বপ্রণোদিত হয়ে মামলা করায় আদালতকে ধন্যবাদ জানিয়েছে জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর ফরিদুল আলম। একইসাথে টিটিএনের এমন ‘জনস্বার্থ সাংবাদিকতার’ প্রশংসা করেন এই আইনজীবী।

ফরিদুল আলম বলেন, একটি সিন্ডিকেট এসব টিকিট ভাগিয়ে নেওয়ায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ছেন। যা ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৯০ (১) (সি) ধারায় আমলে নেওয়ায় ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে শ্রীজ্ঞান তঞ্চঙ্গ্যার নজরে আসে। এটি ১৯৭৪ এর ২৫ ধারায় অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে মর্মে সন্দেহ তৈরি হওয়ায় তদন্ত জরুরি মনে করেছেন আদালত।

এদিকে দ্যা টেরিটোরিয়্যাল নিউজ- টিটিএন এর প্রধান সম্পাদক জাহেদ সরওয়ার সোহেল বলেন, টিটিএন বিশ্বাস করে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায়। সেইসাথে সামাজিক অসংগতি- যা জনস্বার্থের সাথে সাংঘর্ষিক, তা সাহসিকতার সাথে তুলে ধরতে চাই আমরা।

আরও খবর

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

জনপ্রিয় সংবাদ

You cannot copy content of this page