টিটিএন ডেস্ক
দীর্ঘদিন কারাগারে আটক থাকার পর মিয়ানমার থেকে ফেরত আসছেন ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক। তাঁরা যে জাহাজে ফেরত আসছেন সেই জাহাজেই বৃহস্পতিবার ফেরত যাবে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ২৮৫ জন মিয়ানমার বিজিপি সদস্য।
আজ মঙ্গলবার(২৩ এপ্রিল) ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দূতাবাস জানিয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাখাইন রাজ্যের সিত্তে বন্দর থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে রওনা দিয়েছে মিয়ানমার নৌবাহিনীর জাহাজ চিন ডুইন। বুধবার জাহাজটি বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
এই বাংলাদেশিদের নামিয়ে মিয়ানমারের জাহাজটি ২৫ এপ্রিল নিজ দেশের সেনা ও বিজিপি সদস্যদের নিয়ে যাবে, তা আগেই জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সর্বশেষ হিসাবে মিয়ানমারের সেনা ও সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির ২৮৫ জন সদস্য রাখাইন থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির হেফাজতে রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমার থেকে আসা বাংলাদেশিদের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজারের, ৩০ জন বান্দরবানের, ৭ জন এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার রয়েছে একজন করে।
মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, এই ১৭৩ জনের মধ্যে ১৪৪ জন বাংলাদেশি দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ছিলেন। তাদের সবার সাজার মেয়াদ শেষ হয়েছে আগেই।
বাকি ২৯ জনের সাজার মেয়াদ শেষ না হলেও এই ফেরত পাঠানোর উদ্যোগের সময় তাদেরকে বিশেষ ক্ষমার আওতায় আনা হয়।
মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সীমান্তের দৈর্ঘ্য প্রায় পৌনে তিন শ কিলোমিটার। গত কয়েক বছরে বিভিন্ন সময় ওই বাংলাদেশিরা এই সীমানা পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে মিয়ানমারে প্রবেশ করেছিল বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের বাংলাদেশ দূতাবাস।
গত বছরের ১৩ নভেম্বর থেকে উত্তর রাখাইন ও প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যে মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালিয়ে আসছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। গোষ্ঠীটি বলছে, রাখাইনের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও সেনা সদরদপ্তরের দখল নিয়েছে তারা। আরাকান আর্মির সঙ্গে চলমান সংঘাতে টিকতে না পেরে এর আগেও বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছিল মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিপি), সেনা সদস্যসহ বিভিন্ন বিভাগের ৩৩০ কর্মকর্তা। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দুই ধাপে সমুদ্রপথে তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়।