সানজিদুল আলম সজীব
প্রকৃতি পুড়ছে তাপে, চলছে তাপদাহ, এমন গরমে জলের স্পর্শে ভিজে শরীর। মিলে স্বস্তি।বলছি জল উৎসবের কথা। আজ এই উৎসবের ২য় দিন। এদিনেও সাংগ্রেংএ মাতোয়ারা রাখাইন তারুণ্য।
রাখাইন বর্ষ ১৩৮৬ বরণে কক্সবাজার শহরের ১২ টি সহ প্রায় ৫০ টি মন্ডপে এই জল উৎসবে শামিল হয়েছে রাখাইন তরুণ তরুণীর দল। ১৭ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে রাখাইনদের বৃহত্তম এই সামাজিক উৎসব। এই সাংগ্রেং পোঁয়ের প্রধানতম আকর্ষণ একে অপরের প্রতি মঙ্গল জল ছিটিয়ে অতীতের গ্লানি মুছে নেচে-গেয়ে নতুন বছরকে বরণ করে তরুণ-তরুণীরা।
বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান আসেন আছিমং পেশকার পাড়ায় কক্সবাজার সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত জল উৎসব প্রাঙ্গনে। এসময় সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মং ছেং লার সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, এই চিরায়ত ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটি তাপ্তি চাকমা, রাখাইন সমাজকর্মী ডা. মায়েনু, ক্য থিন চ্য ডলিহ সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। এসময় জেলার ৫০ টি জল উৎসব আয়োজক কমিটির মাঝে অর্থ সহায়তার চেক হস্তান্তর করা হয়।
রাখাইন সম্প্রদায়ের এই জল উৎসব পরিণত হয়েছে সকল সম্প্রদায়ের মিলন মেলায়। এসময় সুষ্ঠু ভাবে জল উৎসব সম্পন্ন করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক মং ছেং লা।
এই জল উৎসব শেষ হবে শুক্রবার।