কাব্য সৌরভ, মহেশখালী
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর ঘাটে মহেশখালীর ফিশিং বোটে আগুন লাগার ঘটনায় নিখোঁজ জেলে আব্দুল জলিলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৩০ মার্চ) সকালে কর্ণফুলী নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয় বলে টিটিএন-কে নিশ্চিত করেছে নিহতের চাচাতো ভাই মানিক মিয়া।।
নিহত আব্দুল জলিল মহেশখালী পৌরসভার ঘোনার পাড়া এলাকার আব্দুল গফুরের পুত্র। সে একই এলাকার আনছারুল করিমের মালিকানাধীন ফিশিং বোটের শ্রমিক ছিলো।
গেলো বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় ওই বোটে আগুনে লেগে আহত হোন ৪ জেলে। আহতদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলেও নিখোঁজ ছিলেন আব্দুল জলিল। আজ শনিবার সকালে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত আব্দুল জলিলের পরিবারের অভিযোগ, ট্রলারের মালিক আনছারুল করিম পুড়ে যাওয়া ওই ট্রলারে মায়ানমারে তেল পাচার করতেন এবং মায়ানমার থেকে বিভিন্ন মাদক আনতেন। এই বিষয়টি জানার পর, নিহত আব্দুল জলিল ওই ফিশিং বোটের শ্রমিকের কাজ ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন।
তাই পরিবারের অভিযোগ, মায়ানমারে পাচারের জন্য মজুত করা তেল থেকে বৃহস্পতিবার ওই ট্রলারে আগুন লাগে।
এই ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দাবী নিহতের পরিবারের।