সম্পাদকীয়
২০২০ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি। যাত্রা শুরু করে টিটিএন। চার পেরিয়ে পাঁচের দুয়ারে পা রাখলো। চলার পথে যুক্ত হলো নয়া বছর। সৃষ্টি সুখের উল্লাসের এ দিনে আত্মতৃপ্তি নেই, আছে নিজেদের ভুলভান্তি ,যথেষ্ট আত্মসমালোচনার মধ্য দিয়ে সামনের অভিষ্ট সময়ে নিজেদের যতোটা সম্ভব দোষমুক্ত রাখার প্রচেষ্টা। এ পথে ভুল মানেই একটি নির্জলা সত্য। যা সুন্দরের প্রতিশব্দে পরিনত করা দুরুহই বটে। কেননা সাংবাদিকতার দিনরাত্রি আলো আঁধারির ডানায় বহুবার দোল খায়। একটি পক্ষ রুষ্টভাবাপন্ন হয়ে ওঠে সংবাদের পরিনাম সর্বস্বতায়, আবার নিজেদের ভ্রান্তিও কখনও কখনও নির্দেশিকার মানদন্ডকে করে মৃয়মান। তবুও ভুলের উর্ধ্বে নয়, ক্ষমার অযোগ্যও নয় এমন ব্রতকে সামনে রেখেই নতুন বছরে পথ চলার অভিপ্রায়কে অনুষঙ্গ করতে চাই।
শত্রুতা নয় ,সাংবাদিকতাকেই পাথেয় করে একদল তরুণ যুবাকে সাথে নিয়ে অতিক্রমনের সীমানায় পৌঁছানোর স্বপ্ন দেখতে দোষের কিছু নেই বলেই মনে করি। এখানেই কিছু প্রশ্ন নিজেদেরও করতে হবে। কতটা যোগ্য, কতটা দৃঢ়, কতটা বস্তনিষ্ঠ, কতোটা নিরপেক্ষ? সাংবাদিকতা আজকাল নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ। আমরাও সেই প্রশ্নের মুখোমুখি কি না? যদি তাই হই, তাহলে পরিত্রাণের উপায়ও খুঁজে বের করা জরুরি। হাল সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল সাংবাদিকতার আড়ালে উদ্বাস্তু হয়ে যায় প্রকৃত সাংবাদিকতা। ভাইরাল সাংবাদিকতা নয় ভায়াবেল সাংবাদিকতার বাসনা কতটুকু গ্রহণ করছি এসব নিয়েও নিজেদের অবস্থান খুব পরিস্কার তাও দাবি করা যাবে না। আবার একটি মিডিয়া হাউজ চালানোর জন্য অনেক উপযোগিতা প্রয়োজন যা কখনো কখনো আপোষের অন্ধকারকে উসকে দেয়। আজকাল সাধারণ পাঠক বা দর্শক বেশ সচেতন ,আগেকার দিনে সাংবাদিকেরা সত্য বের করতো। এখন পাঠকেরাই সত্য বিশ্লেষণ করে সংবাদের ধরণ ও প্রকরণ দিয়ে। তাই সাংবাদিকতা যেনো আরো বেশি অবিশ্বাস কিংবা অনাস্থার জায়গা তৈরী না করে এটি নিয়ে যথাসম্ভব সতর্কতার কোন বিকল্প নেই।
এমন সময়ে ৪ পেরিয়ে পাঁচের দুয়ারে টিটিএন, যদিওবা জনস্বার্থে, উন্নয়নে, মানবিকতায় এমনকি অপরাধ নিয়ন্ত্রণেও টিটিএনের ভূমিকা উল্লেখ করার মতো থাকলেও এটাই যথেষ্ট নয়। জাতির পিতা, মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে টিটিএনের অবস্থান পরিস্কার,স্পষ্ট এবং দৃঢ়। পাঠক আমাদের প্রাণ, তাদের সাথেই থাকার চেষ্টা করতে চাই আপ্রাণ। পাঠকের ভালোবাসায় সার্থকতার ষোলকলা পূর্ণ আগামীর প্রত্যাশা থাকলো।